ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ক্রেতা নেই ধোলাইখালের পুরনো যন্ত্রাংশের বাজারে

প্রকাশিত: ০৪:৩৫, ২২ জানুয়ারি ২০১৫

ক্রেতা নেই ধোলাইখালের পুরনো  যন্ত্রাংশের বাজারে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ টানা অবরোধে ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়েছে ধোলাইখালের পুরাতন যন্ত্রাংশের মার্কেট। দেশে গাড়ির পুরনো যন্ত্রাংশ বিক্রির সবচেয়ে বড় এ মার্কেটে বেচাকেনা প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। ক্রেতার অভাবে অনেক ব্যবসায়ী দোকন বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছেন। অবরোধর মধ্যে যারা দোকান খোলা রাখছেন তারাও ক্রেতা সমাগম না হওয়ায় অর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। অনেক খুচরা ব্যবসায়ী বড় ব্যবসায়ীর কাছে কেনা দামে যন্ত্রাংশ বিক্রি করে দিচ্ছেন। ব্যবসায়ীদের দাবি, টানা হরতাল-অবরোধে এখানকার ১০ হাজার ব্যবসায়ীর ক্ষতির পরিমাণ এক হাজার কোটি টাকার মতো। আর বেচাকেনা কমে গেছে শতকরা ৯০ শতাংশ। ধোলাইখালে যেখানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ হাজার ক্রেতার সমাগম হতো সেখানে ক্রেতার সংখ্যা দুই থেকে তিন শ’তে নেমে এসেছে। ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, রাজনৈতিক কর্মসূচীর বলি হচ্ছেন তারা। হরতাল-অবরোধে তারা ঢাকার বাইরের কোন ক্রেতা ভেড়াতে পারছেন না। ব্যবসায়ীদের কথা না ভেবে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের স্বার্থ হাসিলে ব্যস্ত বলেও জানান এখানকার ব্যবসায়ীরা। রাজধানীর পুরান ঢাকার জনসন রোডের ট্রাফিক সিগন্যাল থেকে নারিন্দা পর্যন্ত ধোলাইখালের বিস্তৃতি। এখানে মোটরগাড়ি ও কলকারখানার পুরনো যন্ত্রাংশ, জাহাজভাঙ্গা লোহালক্কড় ও ইলেকট্রিক সরঞ্জামাদিসহ প্রায় সব ধরনের পুরনো যন্ত্রাংশ পাওয়া যায়। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে এখন নতুন যন্ত্রাংশও বিক্রি হচ্ছে। কিছু প্রতিষ্ঠান লেদমেশিন ব্যবহার করে অনেক নতুন যন্ত্রাংশও তৈরি করছে। এসব যন্ত্র ব্যবহৃত হচ্ছে দেশের বিভিন্ন কলকারখানায়। তবে অবরোধে মন্দা এ ব্যবসায়। সরেজমিনে দেখা যায়, ধোলাইখালের পুরাতন যন্ত্রাংশের দোকান খুলে বসে থাকলেও ক্রেতার সংখ্যা একেবারেই নেই। দোকান কর্মচারীরা অলস সময় কাটাচ্ছেন। অন্য সাধারণ দিনের মতো ক্রেতা ভেড়ানোর জন্য হাঁকডাকের ব্যস্ততাও নেই তাদের। একেবারে প্রয়োজন ছাড়া তেমন কোন ক্রেতাও আসছেন না। ক্রেতাদের কেউ কেউ এ্যাম্বুলেন্স নিয়ে আসেন যন্ত্রাংশ ক্রয় করতে।
×