ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কুড়িগ্রামে ধর্ষণ মামলা করায় গ্রাম ছাড়ার হুমকি

প্রকাশিত: ০৩:৩৬, ২২ জানুয়ারি ২০১৫

কুড়িগ্রামে ধর্ষণ মামলা করায় গ্রাম ছাড়ার হুমকি

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম থেকে ॥ জেলার রাজীবপুর ডিগ্রী কলেজের একাদশ শ্রেণীর এক হিন্দু ছাত্রীকে জিম্মি করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন সুরুজ মিয়া (২৫) নামে এক লম্পট। ধর্ষণের মামলা করায় ধর্ষিতার পরিবারসহ সাক্ষীদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে ধর্ষক ও তার পরিবার। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার যুবতি বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। বন্ধ হয়ে গেছে কলেজ যাতায়াত। ঘটনার ১৩ দিন পেরিয়ে গেলেও আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। জানা যায়, রাজীবপুর উপজেলার দুর্গম এলাকার ঐ যুবতি ৯ জানুয়ারি একই গ্রামের আবু বক্করের বাড়িতে তার এক সহপাঠির সঙ্গে দেখা করতে গেলে বখাটে সুরুজ মিয়া তাকে ঘরে আটকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় ধস্তাধস্তিতে তার জামা-কাপড় ছিঁড়ে যায়। মেয়েটির চিৎকারে গ্রামবাসী এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে রাজিবপুর হাসপাতালে ভর্তি করে। নিরাপত্তাহীনতার কারণে মেয়েটি পরে গোপনে এসে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। ঘটনার এক সপ্তাহ পর ঢুশমারা থানা পুলিশ মামলা রেকর্ড করলেও আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ধর্ষকের চাচা ফকির আলী ও সহিজল প্রকাশ্যেই ধর্ষণের শিকার ঐ হিন্দু পরিবারটিকে গ্রাম ছাড়া করার হুমকি দিচ্ছে। বুধবার ধর্ষিতা মোবাইলে বলেন, ওই ঘটনার পর সন্ধ্যায় আমগর বাড়িতে যাই হুমকি দিয়েছে সুরুজ। কইছে এ নিয়া যদি থানায় অভিযোগ কর তাহলে তোমার অবস্থা খুব খারাব হব। মাইরা ফেলামু। এছাড়া মামলার সাক্ষী আলী আকবর ও আনোয়ার হোসেনকে আসামিরা হুমকি দিয়েছে সাক্ষী না দেয়ার জন্য। এ প্রসঙ্গে ঢুশমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহরাব হোসেন বলেন, ধর্ষণের মামলা হয়েছে। আসামিকে ধরতে পুলিশ চেষ্টা করছে।
×