ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

এ মৌসুমে ৬১ হাজার ৮শ’ ৫৯ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা

কুয়াশা ও শৈত্য প্রবাহ থেকে রক্ষায় পলিথিনে ঢাকা বীজতলা

প্রকাশিত: ০৩:১১, ২১ জানুয়ারি ২০১৫

কুয়াশা ও শৈত্য প্রবাহ থেকে রক্ষায় পলিথিনে ঢাকা বীজতলা

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও, ২০ জানুয়ারি ॥ প্রতি বছর ঘন কুয়াশায় ইরি-বোরো ধানের বীজতলা বিবর্ণ হয়ে নষ্ট হয়ে যায়। ফলে এ বছর ঘন কুয়াশা ও শৈত্য প্রবাহের ছোবল থেকে ইরি-বোরোর বীজতলা রক্ষা করতে ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষকেরা এখন পলিথিন ঢাকা দিয়ে বীজতলা তৈরি করছে। কম সময়ে স্বাস্থ্যবান ও ভালো বীজ পাওয়ায় ইতোমধ্যে এ পদ্ধতিটি চাষীদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কৃষি সম্প্রাসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলায় চলতি মৌসুমে ৬১ হাজার ৮শ’ ৫৯ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত মৌসুমে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৬৭ হাজার ৫শ’ ৫৪ হেক্টর জমিতে। আর আবাদ হয়েছিল ৭০ হাজার ৪শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে। ডিসেম্বর মাসের প্রথম থেকে কৃষকেরা বাড়ির পাশে খাল-বিল-ডোবা ও নদীর ধারে বীজতলা তৈরি করে থাকে। কিন্তু প্রতি বছর ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের কারণে অনেক বীজতলা নষ্ট হয়ে যায়। এ সময় কৃষকেরা পড়ে বেকায়দায়। তখন বাইরের থেকে চারাবীজ সংগ্রহ করতে হয়। এ অবস্থায় পলিথিন ঢাকা দিয়ে উঁচু জমিতে বীজতলা তৈরির পরামর্শ দিয়ে আসছে কৃষিবিভাগ। ইতোমধ্যে এ জেলায় যেসব বীজতলা তৈরি করা হয়েছে তার অর্ধেকই পলিথিন দিয়ে ঢাকা। বীজ গাজার পর রোদ্রজ্জ¦ল দিনে দিনের বেলায় পলিথিনের ঢাকা তুলে ফেলতে হয়। মাঝে মাঝে পানি সেচ দিতে হয়। পলিথিন ঢাকা দিয়ে তৈরি বীজতলা শৈত্যপ্রবাহ ও কুয়াশায় নষ্ট হয় না এবং সময়মতো ক্ষেতে লাগানো যায়। এ বীজ হতে ধানের উৎপাদনও তুলনামূলকভাবে বেশি। তাই এ পদ্ধতি কৃষকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সদর উপজেলার শুখানপুকুর লাউথুতি গ্রামের কৃষক আব্দুর রশিদ জানান, গত ৩ বছর ধরে পলিথিন দিয়ে বীজতলা তৈরি করা হচ্ছে। কারণ শীতে বীজতলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই বীজতলা রক্ষার জন্য পলিথিন ব্যবহার করা হচ্ছে। একই কথা জানালেন ওই এলাকার কৃষক আব্দুর রাজ্জাক।
×