ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

খালেদা ও মমতা ॥ দুই বাংলাতেই কি সর্বনাশের রাজনীতির খাল কাটছেন?

প্রকাশিত: ০২:৫৪, ২১ জানুয়ারি ২০১৫

খালেদা ও মমতা ॥ দুই বাংলাতেই কি সর্বনাশের রাজনীতির খাল কাটছেন?

খালেদা জিয়া এবং মমতা ব্যানার্জি। দুই বাংলার দুই নেত্রী। একজনকে বলা হয় দেশনেত্রী। অন্যজনকে বলা হয় মা মাটি মানুষের নেত্রী। বাংলাদেশে খালেদা জিয়া একাধিকবার ক্ষমতায় এসেছেন। মমতা ব্যানার্জি প্রথমবারের মতো পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। খালেদা একটি স্বাধীন দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। মমতা ভারতের একটি অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। দুই বন্ধু এখন রাজনৈতিকভাবে ভাগ হলেও দুটি অঞ্চলের মধ্যেই একটি অন্তস্রোত-মিল আছে। মিলটি ভূগোল, ভাষা, সংস্কৃতির। বড় অমিলটি ধর্মের। দুই বঙ্গের দুই নেত্রী হলেও খালেদা জিয়া ও মমতা ব্যানার্জির রাজনৈতিক পটভূমির পার্থক্য আছে। খালেদা জিয়া প্রকৃতপক্ষে একজন ভুঁইফোড় নেত্রী। সামরিক ছাউনিতে তৈরি একটি তথাকথিত রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে সহসা বরিত হয়ে ক্ষমতায় বসার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি গণতন্ত্রের পথে তার অবস্থান ধরে রাখেননি। অথবা ধরে রাখতে পারেননি। এক্ষেত্রে মমতা ব্যানার্জির রাজনৈতিক পটভূমি গৌরবোজ্জ্বল। তিনি ভুঁইফোড় নেত্রী নন। তিনি নিজের সংগঠনী প্রতিভা দ্বারা পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস গড়ে তুলেছেন। সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রামের কৃষক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বারবার নির্যাতন বরণ করেছেন। তারপর বিস্ময়করভাবে কেবলমাত্র জনসমর্থিত আন্দোলন দ্বারা ৩৪ বছরের সম্মিলিত বামফ্রন্ট সরকারকে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতা থেকে উচ্ছেদ ও নির্বাচনে পরাজিত করে নিজে রাজ্যটিতে ক্ষমতায় বসেছেন। বাংলাদেশে খালেদা জিয়া কখনও এত জনসমর্থন পাননি এবং গণতন্ত্রের পথেও শক্তভাবে পা রাখতে পারেননি। পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য নির্বাচনে বিশাল জয়ের অধিকারী হয়েই মমতা ব্যানার্জি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘বড়দিদি’ বলে সম্বোধন করে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। তাতে মনে হয়েছিল, দুই বাংলার রাজনৈতিক ইকুয়েশনটা (বয়ঁধঃরড়হ) দুটি অসাম্প্রদায়িক দল আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে হবে। বিএনপি ও তৃণমূলের মধ্যে হবে না। বাস্তবে পরিস্থিতিটা দাঁড়িয়েছে অন্যরকম। ক্ষমতায় বসে মমতা মা মাটি মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক ধরে রাখতে পারেননি। তার পূর্ববর্তী কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট সরকার গণসম্পৃক্ততা হারিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখার যে গণবিরোধী রাজনৈতিক বলয়টি তৈরি করে গেছেন তার মধ্যে দ্রুত ঢুকে গেছেন। সবচাইতে ভয়ঙ্কর কথা মমতা নিজের রাজনৈতিক হঠকারিতার জন্য যত দ্রুত গণসম্পৃক্ততা হারিয়েছেন, তত দ্রুত তিনি ক্ষমতার নতুন ভিত্তি তৈরি করতে চেয়েছেন। এই ভিত্তি হলো পশ্চিমবঙ্গের স্বার্থরক্ষার নামে বাংলাদেশের সঙ্গে ছিটমহল, নদীর পানি ও সীমান্ত সমস্যা না মিটিয়ে দুই বাংলার মধ্যে একটা আঞ্চলিক উত্তেজনা সৃষ্টি করে সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জন করা। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে বহিরাগত বাঙালী মুসলমানেরা গত ৪০ বছরে যে শক্ত রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থান গড়ে তুলেছে, তাদের ভোট ব্যাঙ্ক দখলে রাখার জন্য বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে কার্যত অমিত্রসুলভ আচরণ শুরু করা। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে বসবাসকারী বিহারি মুসলমানদের একটা বড় অংশ পশ্চিমবঙ্গে গিয়ে আশ্রয় নেয়। সেখানে গত ৪০ বছরে তারা স্থানীয় বাঙালী মুসলমানদের চাইতেও রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে প্রভাব ও প্রতিপত্তিশালী হয়ে ওঠে। বামফ্রন্ট সরকারের আমলেও জ্যোতি বসু বা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য্যরে মন্ত্রিসভায় প্রভাবশালী বাঙালী মুসলমান মন্ত্রীরা ছিলেন আসলে পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী অবাঙালী মুসলিম। মমতা ব্যানার্জির তৃণমূল মন্ত্রিসভাতেও একই অবস্থা ঘটেছে। এই অবাঙালী মুসলিম ভোট ব্যাঙ্কের চাপে সাবেক বামফ্রন্ট সরকার পর্যন্ত তসলিমা নাসরিনের বই পশ্চিমবঙ্গে নিষিদ্ধ করেছেন, তাকে কলকাতা থেকে তাড়িয়েছেন। মমতা ব্যানার্জি বিরোধী নেত্রী থাকাকালে তসলিমার প্রতি সহানুভূতি দেখিয়েছেন। এখন তার বিপরীত। তিনি বামফ্রন্ট সরকারের চাইতেও এক ধাপ এগিয়ে উর্দুকে পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় সরকারী ভাষা হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এই ‘অবাঙালী বাঙালীদের’ চাপে বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তা, টিপাইমুখ ইত্যাদি সমস্যা সমাধানে রাজি না হয়ে দেশটির অসাম্প্রদায়িক হাসিনা সরকারকে বিপাকে ফেলার চেষ্টা করেছেন। কারণ, তার শক্তিশালী অবাঙালী মুসলিম ভোট ব্যাঙ্ক বাংলাদেশের হাসিনা সরকার তথা আওয়ামী লীগ সরকারের ঘোর বিরোধী। এই বিরোধিতা কতটা মাত্রা ছাড়াতে পারে, তারই প্রমাণ মমতার দলের ও সরকারের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বাংলাদেশের সন্ত্রাসী জামায়াতের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন ও তাদের সারদা চিট ফান্ডের মাধ্যমে অর্থ জোগান দেয়ার অভিযোগ। বাংলাদেশে নাশকতামূলক কাজ চালাবার জন্য জামায়াতী সন্ত্রাসীরা পশ্চিমবঙ্গে যে বোমা তৈরির কারখানা গড়ে তুলেছিল সেগুলো ধরা পড়ায় এবং ব্যাপক গোয়েন্দা তদন্ত শুরু হওয়াতেও মমতা সরকার এখন বিব্রত। কথা ছিল দুই বাংলার বাঙালীর স্বার্থে হাসিনা সরকার ও মমতা সরকারের মধ্যে ইকুয়েশন গড়ে ওঠার, তা গড়ে ওঠেনি। তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পর্ক বরং তাদের জ্ঞাতসারে অথবা অজ্ঞাতসারে গড়ে উঠেছে বাংলাদেশের বিএনপি-জামায়াত জোটের সঙ্গে। বাংলাদেশে খালেদা জিয়া যেমন প্রথম ক্ষমতায় এসে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার দিকে পা বাড়িয়ে দেশের মানুষের মনে আশার আলো জ্বালিয়ে পরে দশচক্রে ভগবান ভূত হওয়ার মতো ক্ষমতার স্বার্থে জামায়াত ও স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের কোলে গিয়ে আশ্রয় নেন এবং দেশটির রাজনীতিতে সর্বনাশের খাল কাটতে শুরু করেন পশ্চিমবঙ্গেও তেমনি মমতা ব্যানার্জি ক্ষমতায় বসে মা মাটি ও মানুষের নেত্রী হওয়ার যে সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছিলেন, কিছুদিনের মধ্যে সেখান থেকে পদস্খলিত হয়ে তিনি পশ্চিমবঙ্গের গণবিরোধী বিভিন্ন চক্র এবং বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক ও হিংস্র মৌলবাদী চক্রের সঙ্গে প্রত্যক্ষ অথবা প্রচ্ছন্ন রাজনৈতিক ইকুয়েশন গড়ে তোলার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন। খালেদা ও মমতার রাজনীতির মধ্যে এখন তফাত টানা খুবই দুষ্কর। দু’জনই দায়িত্বহীন হঠকারী কথাবার্তা ও রাজনীতির জন্য এখন দ্রুত জনসমর্থন হারাচ্ছেন। বাংলাদেশে আবার সন্ত্রাস শুরু করে খালেদা প্রমাণ করেছেন, অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণের শিক্ষা দীক্ষা যেমন তার নেই, তেমনি এমন একটি চক্রের হাতে তিনি বন্দী, যে চক্র থেকে বেরিয়ে আসার শক্তি তার নেই। রাজনৈতিক হঠকারিতায় মমতাও খালেদার সমতুল্য। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের কেউ কেউ বলছেন, সারদা চিট ফান্ডের কেলেঙ্কারি, জামায়াত সন্ত্রাসের সঙ্গে সংশ্রব ইত্যাদি অভিযোগে কোণঠাসা হয়ে মমতা এখন কিছু ভুল শোধরাবার চেষ্টা করছেন। বাংলাদেশের সঙ্গে ছিটমহল বিনিময় দ্বারা সমস্যা সমাধানে তিনি রাজি হয়েছেন। এমনকি ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ সফরেও রাজি হয়েছেন। কিন্তু এই বিলম্বিত পদক্ষেপ তার রাজনৈতিক ভবিষ্যতকে রক্ষা করবে কিনা সে সম্পর্কে অনেকে আবার সন্দেহ পোষণ করেন। বাংলাদেশে খালেদা জিয়া যেমন কথায় কথায় শেখ হাসিনাকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমতা ও দেশ ছাড়ার হঠকারী হুমকি দেন, মমতা ততোধিক হঠকারী হুমকি দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী পদে নরেন্দ্র মোদির বসা যখন অনিবার্য, তখন তার বিরুদ্ধে। বলেছেন, ‘তাকে কোমরে দড়ি বেঁধে গ্রেফতার করে জেলে পাঠাবেন।’ অর্বাচীন ও মাথা মোটা না হলে শক্তিশালী রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে এমন হুমকি কেউ দেয় না। মততা দিয়েছেন। নরেন্দ্র মোদি তার চাইতে অনেক কূটকৌশলী ও সহিষ্ণু রাজনৈতিক নেতা। তিনি মমতার অশোভন হুমকির পাল্টা কোন হুমকি দেননি কিংবা তার বিরুদ্ধে সরাসরি কোন ব্যবস্থাও গ্রহণ করেননি। মনে হতে পারে দিল্লীর বিজেপি সরকার বুঝি উদারতার সঙ্গে এই অশোভন হুমকিটি ভুলে গেছেন। না, তারা তা ভোলেননি। সারদা ফান্ডের কেলেঙ্কারির জাল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে ধীরে ধীরে মমতা সরকারের গলায় এমনভাবে পেঁচানো হচ্ছে যে, এই জাল ভেদ করে মমতা বের হতে পারবেন কিনা সন্দেহ। তার প্রভাবশালী সহকর্মীরা একের পর এক এই জালে ধরা পড়ছেন। অতীতেও ভারতে বড় বড় অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারি হয়েছে। যেমন মুদ্রা কেস, বোফোর্স দুর্নীতি। কিন্তু তা নিয়ে সারদা চিট ফান্ডের মতো এত হৈচৈ হয়নি। মনে হয় মমতা সরকারকে ফাঁসাবার জন্য বিজেপি অত্যন্ত দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে এগুচ্ছে। একদিকে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার প্রচেষ্টা চালিয়ে মোদি সরকার বাংলাদেশের মানুষের সমর্থন অর্জন করছে তাতে পশ্চিমবঙ্গে মমতা জনপ্রিয়তা হারাচ্ছেন। অন্যদিকে সারদা কেলেঙ্কারিতে দড়ির ফাঁস ক্রমশই মমতা সরকারকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলছে। মমতা এই বেষ্টনী থেকে বেরুবার চেষ্টা করছেন। এখনও পেরে ওঠেননি। মমতা ও তৃণমূল যদি পশ্চিমবঙ্গে জনপ্রিয়তা হারায় তাহলে রাজ্যের আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা বিজেপির। বিজেপির নামের আড়ালে আসলে ক্ষমতায় আসবে উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংঘ পরিবার। তৃণমূলের জনপ্রিয়তা হ্রাসে কংগ্রেস বা বামফ্রন্ট লাভবান হচ্ছে না। লাভবান হচ্ছে বিজেপি। অথচ দুদিন আগেও পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির পায়ের তলায় মাটি ছিল না। সারা ভারতে মোদি-ঝড় বয়ে যাওয়া সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গে সেই ঝড় বয়নি। মমতার রাজনৈতিক হঠকারিতা, রাজ্যের মৌলবাদী মুসলমানদের তোল্লা দেয়া, বাংলাদেশের প্রতি অমিত্রসুলভ মনোভাব আজ পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রদায়িক শক্তির ক্ষমতা লাভ অনিবার্য করে তুলেছে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, যদি আগামী নির্বাচনে কংগ্রেস, বামফ্রন্ট ও তৃণমূল নিজেদের মধ্যে দলাদলি ভুলে শক্তিশালী সেক্যুলার ফ্রন্ট গড়ে তুলতে না পারে তাহলে পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রদায়িক শক্তির ক্ষমতায় বসা অনিবার্য হয়ে উঠবে। আর তা যদি হয় তাহলে মমতা ব্যানার্জির ক্ষমতালোভ, রাজনৈতিক হঠকারিতা ও বহুরূপী চরিত্রের জন্য। অন্যদিকে বাংলাদেশেও খালেদা জিয়া যে কোন প্রকারে ক্ষমতা দখলের লোভে যেভাবে জামায়াত ও হিংস্র মৌলবাদী দলগুলোর সন্ত্রাসের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছেন তাতে ভবিষ্যতে বিএনপির নির্বাচনে জেতার সম্ভাবনা থাকলেও সেই বিজয় আসলে হবে উগ্র মৌলবাদী শক্তির। বিএনপির সাইনবোর্ডের আড়ালে সিরিয়া ও ইরাকের আইসিস গোষ্ঠী বাংলাদেশেও ঘাঁটি গাড়বে। দুই বাংলাতেই যদি এভাবে সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী শক্তি ক্ষমতায় বসতে পারে, তাহলে গোটা উপমহাদেশের রাজনীতিতেই এক মহাসর্বনাশের সূচনা হবে। আর এই সর্বনাশের রাজনীতির খাল খননের জন্য সমভাবে দায়ী থাকবেন বাংলাদেশের খালেদা জিয়া এবং পশ্চিমবঙ্গের মমতা ব্যানার্জি। এখন শুধু একটাই আশা, দুই দেশের জনগণের মধ্যে শুভ শক্তির জাগরণ সহসাই হয়ত ঘটবে এবং এক মহাসর্বনাশ থেকে শুধু দুই বাংলা নয়, গোটা উপমহাদেশ রক্ষা পাবে। [লন্ডন ২০ জানুয়ারি, মঙ্গলবার, ২০১৫]
×