ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্বকাপ ফুটবল ও এশিয়ান কাপে সরাসরি বাছাইপর্বে বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৪:১৩, ২০ জানুয়ারি ২০১৫

বিশ্বকাপ ফুটবল ও এশিয়ান কাপে সরাসরি বাছাইপর্বে বাংলাদেশ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ ফুটবলের জন্য শুভ সমাচার! আগে আশঙ্কা ছিল ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে হেরফের হলেই বিশ্বকাপ ফুটবল এবং এশিয়ান কাপের প্লে-অফে খেলতে হবে বাংলাদেশকে। কিন্তু সে আশঙ্কা দূরীভূত হয়েছে সোমবার। এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে) চিঠি দিয়ে জানিয়েছে- ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপ এবং ২০১৯ এশিয়ান কাপের জন্য প্লে-অফে খেলতে হবে না। অর্থাৎ সরাসরি বাছাইপর্বে খেলতে পারবে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। উল্লেখ্য, এএফসির ৪৬ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান ৩৪তম। নিয়ম অনুযায়ী ৩৪টি দল খেলবে সরাসরি বাছাইপর্বে, বাকি ১২টি দল খেলবে প্লে-অফে। প্রাথমিক বাছাইপর্বের ড্র অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি। এ দলগুলোর খেলা শুরু হবে মার্চে। সেখান থেকে ৬টি দল উঠবে বাছাইপর্বে। এ ৬টি দলসহ মোট ৪০ দলকে নিয়েই হবে বিশ্বকাপ এবং এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব। দলগুলোকে ভাগ করা হবে আটটি গ্রুপে। গ্রুপ পর্ব নির্ধারণের জন্য ড্র হবে। জুনে শুরু হবে বিশ্বকাপের মূলপর্বের খেলা। ৮টি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন এবং সেরা ৪ রানার্সআপ অর্থাৎ ১২ দল সরাসরি রাশিয়া বিশ্বকাপ এবং ২০১৯ সালের এশিয়া কাপে খেলা টিকেট নিশ্চিত করবে। এই ১২ দলের মধ্যে না থাকতে পারলে বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলতে পারবে না বাংলাদেশ। যদিও এই আশা পূরণ করা কঠিন হলেও এশিয়া কাপের মূলপর্বে খেলার স্বপ্ন দেখতেই পারে লাল-সবুজরা। ৪০ দলের মধ্যে ১২ দল মূলপর্বে উঠলে বাকি থাকে ২৮ দল। এই ২৮ দলের মধ্যে বাদ পড়বে ৪ দল। যাদের গ্রুপ পর্বে অবস্থা খারাপ ছিল। সেক্ষেত্রে বাজে চার দলের মধ্যে বাংলাদেশের না থাকার সম্ভাবনাও কম। কারণ শ্রীলঙ্কা, ব্রুনাই, ভুটান, পাকিস্তানের চেয়েও বাংলাদেশের অবস্থা ভাল। চার দল বাদ পড়লে বাকি ২৪ দল লড়াই করবে এশিয়ান কাপের জন্য। সেখানেও হবে গ্রুপিং। ২৪ দলকে ৬ গ্রুপে বিভক্ত করা হবে। সেখান থেকে ১২টি দল যাবে এশিয়া কাপে। সেই বার দলের মধ্যে বাংলাদেশকেও দেখছেন ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য হলো এশিয়া কাপ। যেভাবে এখন যেহেতু আমাদের প্লে-অফ খেলতে হবে না তাতে করে ২০১৯ সালের এশিয়া কাপে খেলার একটা ভাল সম্ভাবনা আছে।’ এর আগে গত কয়েকটি আসরেই বিশ্বকাপের প্লে-অফে খেলেছিল বাংলাদেশ। গত বছর কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলায় র‌্যাঙ্কিংয়েও উন্নতি হয়েছে। তারই ফল এটা। আর বিশ্বকাপ এবং এশিয়া কাপের বাছাইয়ের জন্য গ্রুপ পর্বে হোম এ্যান্ড এ্যাওয়েভিত্তিক ৮টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। দলগুলো চূড়ান্ত না হলেও ম্যাচের সূচী বাফুফেকে ই-মেইলে পাঠিয়েছে এএফসি। তাতে ১০টি তারিখ পাঠিয়েছে এএফসি। ২০১৫ সালের ১১ ও ১৬ জুন, ৩ ও ৮ সেপ্টেম্বর, ৮ ও ১৩ অক্টোবর, ১২ ও ১৭ নবেম্বর এবং ২০১৬ সালের ২৪ ও ২৯ মার্চ। এই ১০ তারিখের মধ্যে হোম এ্যান্ড এ্যাওয়েভিত্তিক ৮টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এর ফলে ২০১৪ সালের চেয়েও চলতি বছর বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল।
×