ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দর্শক-শ্রোতার কাছে আবৃত্তির জনপ্রিয়তা বাড়ছে ॥ মাহিদুল ইসলাম মাহি

প্রকাশিত: ০৪:০৫, ২০ জানুয়ারি ২০১৫

দর্শক-শ্রোতার কাছে আবৃত্তির জনপ্রিয়তা বাড়ছে ॥ মাহিদুল ইসলাম মাহি

দেশের জনপ্রিয় আবৃত্তিশিল্পী মাহিদুল ইসলাম মাহি। কণ্ঠের মাধ্যমে শ্রোতাদের মন জয়ের পাশাপাশি এ শিল্পের বিকাশে তরুণদের প্রশিক্ষণও দিচ্ছেন। আজ বিকেলে শিল্পকলা একাডেমির নাট্যশালা মিলনায়তনে তাঁর একক আবৃত্তি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে তাঁর তিনটি এ্যালবামও প্রকাশ হবে। এ বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কথা হয়। আপনার একক আবৃত্তি অনুষ্ঠান সম্পর্কে বলুন... এাহি : আমার ত্রয়োদশ একক পরিবেশনা এটি। আবৃত্তি মেলা ও স্বরচিত্র যৌথভাবে ‘অভিজ্ঞান আগামী পৃথিবীর’ শীর্ষক এ আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানটিকে তিনটি পর্বে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম পর্বে রয়েছে আমার তিনটি একক আবৃত্তির এ্যালবাম প্রকাশনা। এগুলো হলোÑ সৈয়দ শামসুল হকের নির্বাচিত কবিতা ‘অগ্নি জলে কবিতা কমল’, ‘অভিজ্ঞান আগামী পৃথিবীর’ ও পূর্ণেন্দু পত্রীর ‘কথোপকথন’। শেষ এ্যালবামটিতে আমার সহশিল্পী হচ্ছেন তামান্না ডেইজি। দ্বিতীয় পর্বে আমার নির্বাচিত ২১টি নতুন কবিতা আবৃত্তি করব। এতে রবীন্দ্রনাথ থেকে শুরু করে এ প্রজন্মের শাওন শুভ্র’র কবিতাও রয়েছে। আর শেষ পর্বে থাকবে দর্শক-শ্রোতার অনুরোধে কিছু আবৃত্তি। দেশে আবৃত্তি চর্চা তুলনামূলক কম কেন? মাহি : আমাদের দেশে এখনও অনেক মেধাবী আবৃত্তিশিল্পী আছে। পেশাদারিত্বের সঙ্কটের কারণে এ শিল্পকে অনেকে ধরে রাখতে পারছে না। কিন্তু দর্শক-শ্রোতাদের কাছে আবৃত্তির জনপ্রিয়তা বাড়ছে। এ শিল্পকে এগিয়ে নিতে করণীয় কী? মাহি : প্রথমত টেলিভিশন ও মঞ্চে আবৃত্তির প্রোগ্রাম আরও বাড়াতে হবে। দ্বিতীয়ত সরকারী ও বেসরকারী পৃষ্ঠপোষকতা বাড়াতে হবে। এর ফলে মেধাবীরা আবৃত্তির দিকে এগিয়ে আসবে। আবৃত্তিকে এগিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক হতে হবে। আবৃত্তিশিল্পে সংগঠনগুলোর অবস্থান কেমন মনে হয়? মাহি : ‘আবৃত্তি ও সংবাদ পাঠ’ নামে এক ধরনের খিচুড়ি কর্মশালার আয়োজন করছে কেউ কেউ। এতে ব্যবসায়িকভাবে হয়ত তারা লাভবান হচ্ছে কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। চাল ও গম উভয় চাষেই মাটি প্রয়োজন কিন্তু প্রক্রিয়া ভিন্ন। আপনার পূর্বের এ্যালবামগুলো সম্পর্কে বলুন.. মাহি : এর আগে একক ও যৌথ মিলিয়ে আমার ৫০টি এ্যালবাম বাজারে রয়েছে। এরমধ্যে ৪০টি এ্যালবাম খুবই শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছে। এরমধ্যে ‘মেঘবালিকার জন্য রূপকথা’, ‘সুবর্ণ সেই আলোর রেখা’, ‘নীরা এবং অন্যান্য’, ‘বাজুক বীণা অগ্নিবীণা’, ‘তুমি সুন্দর আমি ভালবাসি’, ‘বিলুপ্ত হৃদয়ে আরক্ত প্রেম’, ‘ছাড়পত্র’, ‘কিংবদন্তির কথা বলছি’, ‘তোমার জন্য লিখি তোমাকে লিখি না’ প্রভৃতি। আবৃত্তি নিয়ে পরিকল্পনা কী? মাহি : বরেণ্য কবিদের বিখ্যাত কিছু কবিতা নিয়ে একটি এ্যালবামের কাজ করছি। এছাড়া কবি জয় গোস্বামীর নির্বাচিত কবিতা ‘হৃদি ভেসে যায় অলকানন্দ জলে’ এ্যালবামের কাজ চলছে। পাশাপাশি আমার শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি আবৃত্তি এ্যালবামের কাজ করছি। এতে প্রথম থেকে দশম শ্রেণীর পাঠ্যবইয়ে যত কবিতা আছে তার সবগুলো আবৃত্তি করবে শিক্ষার্থীরা। -গৌতম পাণ্ডে
×