ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ধাতব মুদ্রার পাশাপাশি এক ও দুই টাকার নোট চালু থাকবে

প্রকাশিত: ০৩:৫৭, ২০ জানুয়ারি ২০১৫

ধাতব মুদ্রার পাশাপাশি এক ও দুই টাকার নোট চালু থাকবে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ প্রচলিত ধাতব মুদ্রার পাশাপাশি এক ও দুই টাকার নোট দেশে চালু থাকবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এক দিনের মাথায় নিজের বক্তব্য থেকে সরে এসে তিনি বললেন, ১ ও ২ টাকার নোট বাজারে থাকবে। মানুষ ব্যবহার না করলে তা আপনাআপনি বাজার থেকে ওঠে যাবে। সোমবার সকাল দশটায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) মিলন হলে আন্তর্জাতিক অটিজম এবং অর্থোপেডিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, ১ ও ২ টাকার নোট এখনই উঠে যাচ্ছে না। যেসব নোট বাজারে রয়েছে সেগুলো চলতে থাকবে। এটি একটি প্রক্রিয়া। যখন সবকিছুর মূল্য ৫ ও ১০ টাকায় চলে আসবে তখনই ১ ও ২ টাকার নোট বাজার থেকে তুলে নেয়া হবে। এদিকে, রবিবার সচিবালয়ে ভ্যাট আইন সংশোধন সংক্রান্ত এক সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, দেশের সর্বনিম্ন মুদ্রা হবে ৫ টাকা। বাজারে প্রচলিত এক ও দুই টাকার মুদ্রা ও যেসব কাগুজে নোট রয়েছে তা তুলে নিয়ে ধ্বংস করা হবে। আর এগুলো ধ্বংস করতে সরকারের ব্যয় হবে ৩০০ কোটি টাকা। তাঁর ওই বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচারের পর বিভিন্ন মহল থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। অর্থনীতিবিদ, সুশীল সমাজ, সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা এটাকে একটি অযাচিত ও অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত হিসেবে মন্তব্য করেন। তাঁরা বলেন, অর্থমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের ফলে ছোট ছোট লেনদেনে সমস্যা হবে। মানুষ বেশি দামে জিনিস কিনতে বাধ্য হবেন। এর ফলে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাবে। ফলে সাধারণ মানুষ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। কারণ বাজারে এখনও ১ থেকে ৪ টাকার মধ্যে প্রায় ৫ শতাধিক আইটেম কেনাবেচা হয়ে থাকে। এমনকি গণপরিবহন ভাড়াও ৫ টাকার নিচে রয়েছে। ফলে এক ও দুই টাকার নোট বাতিল হলে লেনদেনে বড় ধরনের সঙ্কট তৈরি হওয়ার আশঙ্কা ছিল মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে অর্থমন্ত্রী নিজের বক্তব্য থেকে সরে আসায় স্বস্তি এসেছে সাধারণ মানুষের। এছাড়া অর্থনীতিবিদরাও এটাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। এদিকে বিএসএমএমইউর সম্মেলনে অংশ নিয়ে মুহিত বলেন, অটিজম সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। বাংলাদেশের এ সমস্যা মোকাবেলায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। অটিজম আক্রান্ত শিশুকে সেই পরিবেশ সৃষ্টি করে দিতে হবে। এ সময় মন্ত্রী ইউকে মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশনকে ধন্যবাদ জানান। সভাপতির বক্তব্যে বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, বাংলাদেশে অটিজমের বিপ্লবাত্মক পরিবর্তন হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কন্যা পুতুলের জন্য। এখানে অটিজমে আক্রান্তদের অভিভাবক নিয়ে ফোরাম করা হয়েছে। প্রায় প্রতিমাসে ফোরামের সেমিনার হয়। তিনি বলেন, অটিজমে আক্রান্তরা যেন সমাজে বৈষম্যের শিকার না হয়, সেজন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন- জাতীয় অধ্যাপক শাহেলা খাতুন, বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশসের (বিএমএ) ইউকে চ্যাপ্টারের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ হাসান, বিএমএর মহাসচিব ডাঃ ইকবাল আর্সলান প্রমুখ।
×