ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

‘যেভাবেই হোক বেগম জিয়াকে বাঁচাতে হবে!’

প্রকাশিত: ০১:৪৬, ২০ জানুয়ারি ২০১৫

‘যেভাবেই হোক বেগম জিয়াকে বাঁচাতে হবে!’

‘যেভাবেই হোক বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম জিয়াকে বাঁচাতে হবে।’ সবাই চমকে উঠল। কে রে বাবা এই সময় এমন বেগম জিয়াপ্রেমী? বক্তৃতা মঞ্চের দিকে তাকিয়ে দেখি টিভি ব্যক্তিত্ব মোজাম্মেল বাবু। অনেকের কাছে বাবু ভাই। সকলে তাকে আদিবাসী আওয়ামী লীগার মনে করে। জামায়াত-বিএনপির কাছে তো শত্রুসম। পারলে আজকেই খতম করে। শেষ পর্যন্ত বাবুর মুখ থেকেও এমন কথা? ঘটনাটি গত বুধবারের, একটি সেমিনারে। সেমিনারের মূল বিষয় ‘গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা ও সরকারের ১ বছর।’ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক আমি। বাবুর এই ভিরমি খাওয়া মন্তব্যটির খানিক পরেই ব্যাখ্যা পাওয়া গেল তার কাছে থেকে। বাবুর মতে বেগম জিয়া তার দলের মধ্যে কিছুটা হলেও উদারপন্থী কিন্তু এই মুহূর্তে কিছুটা স্বেচ্ছাবন্দী আর কিছুটা হাওয়া ভবনের কাছে বন্দী। সেই হাওয়া ভবন এখন লন্ডন হতে পরিচালিত হয়। তিনি ইচ্ছা থাকলে প্রথমটা হতে যে কোন মুহূর্তে বের হতে পারেন, বাসায় যেতে পারেন, কিন্তু পরেরটা হতে তার পক্ষে মুক্ত হওয়া সম্ভব নয়। পরের অবস্থান হতে বের হতে গেলে তার সহায়তা প্রয়োজন, যা বর্তমানে দলের কেউ করতে রাজি নন। বাবু এই প্রসঙ্গে পাকিস্তানের বেনজীর ভুট্টো ও তাঁর স্বামী আসিফ আলি জারদারির কথা মনে করিয়ে দেন। যে দিন এই সেমিনার তার আগের দিন ইংরেজী দৈনিক ‘ঢাকা ট্রিবিউন’ সরকারের এক বছরের সফলতা ও ব্যর্থতার ওপর একটি চকিত জরিপ প্রকাশ করেছে। জরিপে দেখা গেছে দেশের ৭২ শতাংশ মানুষ বর্তমান সরকারের কর্মকা-ে সন্তুষ্ট। বাবুর মতে এই সফলতার সিংহভাগ কৃতিত্ব একজন শেখ হাসিনার। একজন শেখ হাসিনা তাঁর দলের অনেক আগে আগে চলেন। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগই একমাত্র দল যার ৪০ শতাংশ নিবন্ধিত সমর্থক আছে কিন্তু সেই ভাবে নেতৃত্ব গড়ে উঠেনি। অন্যদিকে বিএনপিতে নেতার অভাব নেই কিন্তু তৃণমূল পর্যায়ে নিবেদিত কর্মী নেই। বাবুর এই মন্তব্যের সঙ্গে অনেকেই একমত হবেন। এই মুহূর্তে বেগম জিয়ার ধারে কাছে কেউ নেই। অনেকে কারাবন্দী হয়ে বেঁচে গেছেন। সে কারণেই তাদের কর্মসূচী বাস্তবায়নে জামায়াত-শিবিরের ওপর নির্ভর করতে হয়। হাওয়া ভবনের বন্দীদশা হতে মুক্ত না হলে বেগম জিয়া পুরোপুরি বেপথে চলে যেতে পারেন। বেগম জিয়াকে রক্ষা করা না গেলে বিএনপি নামক দলটি পুরোপুরোই একটি জঙ্গীবাদী দল হয়ে পড়বে, বাবুর আশঙ্কা। তা বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য ক্ষতি। সেমিনারের আর একজন আলোচক সাংবাদিক আবেদ খানের মতে বেগম জিয়া যদি নিজে আত্মহত্যার পথই বেছে নেন তা হলে তাঁকে তো বাঁচানো সম্ভব নয়। মোজাম্মেল বাবু বা আবেদ খানের পর্যবেক্ষণ আমার নিজের কাছে যথার্থই মনে হয়েছে। বেগম জিয়ার গত বছর দু’একের রাজনৈতিক কার্যকলাপ বিশ্লেষণ করলে এটি পরিষ্কার যে তিনি এই সময়ে তার সিদ্ধান্তসমূহে যত না রাজনৈতিক প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়েছেন তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন চরম হঠকারিতার পরিচয়। এর ফলে দেশের সুনাম ও জানমালের অভূতপূর্ব ক্ষতি হয়েছে। অনেকের ধারণা বেগম জিয়াকে ভুল পথে পরিচালিত করতে তার জ্যেষ্ঠ সন্তান তারেক জিয়ার অবদান তো আছেই সঙ্গে আরও আছে তার চার পাশে থাকা শীর্ষ পর্যায়ের কিছু দলীয় নীতিনির্ধারক। প্রণব মুখার্জী ভারতের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নিয়ে প্রথম রাষ্ট্রীয় সফরে এলেন বাংলাদেশে। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে বিএনপি বেগম জিয়ার জন্য প্রণব মুখার্জীর সঙ্গে একটি সাক্ষাতকারের আয়োজন করে। প্রণব মুখার্জী বাংলাদেশে এসে জামায়াত-শিবিরের হরতালের মুখে পড়েন। বেগম জিয়া ভারতের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তাঁর পূর্ব নির্ধারিত সাক্ষাত বাতিল করেন। এটি ছিল তাঁর একটি নজিরবিহীন চরম শিষ্টাচারবহির্ভূত কর্মকা-। কয়েকদিন আগে সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘এই সময়’-এ বিএনপি নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু এক সাক্ষাতকারে বলেছেন বেগম জিয়ার চার পাশে কিছু মীর জাফর আশ্রয় নিয়েছেন যে কারণে বিএনপির কর্মসূচীগুলো সফল হয় না। কতদিন অবরোধের নামে চলমান সহিংসতা বলবত থাকবে? এর উত্তর একেকজন একেকভাবে দেন। কেউ কেউ বলেন, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে মধ্যবর্তী নির্বাচন না দেয়া পর্যন্ত চলবে। আবার একজন বলেন, সভা সমাবেশ করার অনুমতি না দেয়া পর্যন্ত তাদের ডাকা কর্মসূচী চলবে। আর একধাপ এগিয়ে অন্য আর একজন বলেন, এই সমাবেশ তারা ১৮ জানুয়ারি করার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রশাসনের অনুমতি চাইবে। ১৮ তারিখ কেন? এটি তারা খুলে বলেন না। তবে এটি পরিষ্কার বিএনপি দ্বিতীয় দফার বিশ্ব এজতেমার আখেরি মোনাজাতের সুযোগ নিতে চায়। তাদের ধারণা এই দিন মোনাজাতে অংশগ্রহণ করার নামে সারাদেশ হতে দলে দলে তাদের নেতাকর্মীরা ঢাকায় এসে এজতেমাস্থলে অবস্থান করবেন এবং মোনাজাত শেষে তারা সমাবেশের দিকে কাতারবন্দী হয়ে রওনা দেবেন। এমন একটি পরিকল্পনা বিএনপি প্রথম দফার এজতেমার সময়ও করেছিল যা ফাঁস হয়ে যাওয়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর পদক্ষেপের কারণে তা ভেস্তে যায়। সেবার পরিকল্পনা হয়েছিল এজতেমা হতে সরাসরি দলীয় কর্মীরা বেগম জিয়ার গুলশান কার্যালয়ের দিকে রওনা দেবে। কারা এই পরিকল্পনা ফাঁস করল? কয়েকজনের কাছ হতে জানা গেছে বিএনপির ভেতরের মানুষই তা ফাঁস করে দিয়েছে। এখন শোনা যাচ্ছে তারা এই সমাবেশ ২০ তারিখও করতে পারে। আবার রুহল কবির রিজভী এক গায়েবি স্থান হতে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে মধ্যবর্তী নির্বাচন না দেয়া পর্যন্ত এই অবরোধ চলবে। গায়েবি স্থান হতে জাতিকে নির্দেশ দেয়া বিএনপি চালু করেছে। আগে কক্সবাজারের সালাহউদ্দিন ওরফে গরম মিয়া দিতেন এখন রুহুল কবির রিজভী দেন। এই সবের মধ্যে তারেক জিয়ার অবস্থান কোথায় বলা মুস্কিল। আদালতের নির্দেশে তার কোন বক্তৃতা বিবৃতি বাংলাদেশে আর প্রকাশিত বা প্রচারিত হয় না। তবে তার নিয়োগপ্রাপ্ত আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূতও বেগম জিয়ার দুই উপদেষ্টা, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মজিবুর রহমান মজুমদার ও জাহিদ এফ সর্দার সাদী বেগম জিয়ার পক্ষে ছয়জন কংগ্রেসম্যানের সই জাল করে গণমাধ্যমে এক বিবৃতি পাঠিয়ে ফেঁসে গেছেন। সেই ছয়জন কংগ্রেসম্যান পাল্টা বিবৃতি দিয়ে তাঁদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। ইতোমধ্যে এই দু’জনকে বেগম জিয়ার উপদেষ্টার পদ হতে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। নিউইয়র্কে অবস্থানরত সাদেক হোসেন খোকা বলেছেন, এই দু’জনের সঙ্গে সরকারের কোন যোগাযোগ আছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হবে। এই হচ্ছে বিএনপির অবস্থা। এই জালিয়াতির পেছনে তারেক রহমানের হাত থাকাটা বিচিত্র কিছু নয়। এর মধ্যে আর এক জালিয়াতি কারবার ঘটে গেল ভারতের কট্টরপন্থী হিন্দুত্ববাদী কেন্দ্রীয় সরকারে অধিষ্ঠিত বিজেপির সভাপতি অমিত শাহর বেগম জিয়ার সঙ্গে টেলিফোনে কথিত আলাপচারিতা নিয়ে। এমন কোন আলাপচারিতা হলে তাতে কোন অসুবিধা ছিল না। এক দেশের একজন দলীয় প্রধানের সঙ্গে অন্য দেশের দলীয় প্রধানের আলাপচারিতা হতেই পারে। কিন্তু দেশের দুটি চ্যানেল অমিত শাহর সঙ্গে সরাসরি কথা বলে জানিয়ে দিল তাঁর সঙ্গে বেগম জিয়ার কোন ফোনালাপ হয়নি। অমিত শাহ আপদমস্তক একজন সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক ব্যক্তি। প্রায় বলেন, ভারতে যারা বসবাস করেন তাদের সকলকেই হিন্দু হয়ে যেতে হবে! বিএনপি নিজেকে ইসলামের হেফাজতকারী দল হিসেবে সব সময় জাহির করে। তাহলে অমিত শাহর সঙ্গে এমন একটি নি®প্রয়োজনীয় টেলিফোনের বুদ্ধি কার মাথা হতে এসেছে? নিশ্চয় কাছের কেউ। ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া সাংবাদিকদের বলেছেন, টেলিফোনালাপ সত্য ছিল। তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সাদেক হোসেন খোকা নিউইয়র্কের রোগ শয্যা হতে উঠে এসে সংবাদ সম্মেলন করে জানালেন অমিত শাহর টেলিফোন সত্য ছিল। ওই দুই টিভি চ্যানেলের শাহ সাহেবের সঙ্গে ফোনালাপ জাল। তবে এই সব জাল জালিয়াতিতে অমিত শাহকে বাংলাদেশের মানুষ চিনেছে। আগে তারা বলিউডের নাসিরউদ্দিন শাহ আর বাংলাদেশের সালমান শাহকে চিনত। যাদের মাথা হতে এই টেলিফোন জালিয়াতির বিষয়টি এসেছে তারা একটু বুদ্ধি খরচ করে যদি বলতেন দিল্লীর জামে মসজিদের ইমাম সাহেব এই টেলিফোন করেছিলেন তা হলে তার কিছুটা বিশ্বাসযোগ্যতা হয়ত থাকত কারণ হাজার হলেও বেগম জিয়া এমন একটি দলের প্রধান যেটি ইসলামের রক্ষক বলে নিজেদের পরিচয় দেয়। বিএনপি-জামায়াত জোটের অবরোধ নিয়ে নানা জনের নানা মত আর চালবাজি প্রমাণ করে বেগম জিয়া আসলে বেশ বেকায়দায় আছেন। ৫ জানুয়ারি তিনি তার ২০ দলীয় সমাবেশে যাবেন বলে তার গুলশানের অফিস হতে নিচে নামলেন। গাড়িতে উঠে বসলেন। তিনি জানেন ওই দিন ঢাকায় কোন দলকেই সমাবেশের অনুমতি দেয়নি পুলিশ প্রশাসন। বাইরের দরজায় তালা লাগানো। গাড়িতেই বসে রইলেন তিনি। তার কয়েকজন মহিলা নেত্রী গেট ভাঙ্গার দুর্বল চেষ্টা করলেন। কিন্তু পুলিশের ছোড়া মরিচের গুঁড়ার স্প্রে সহ্য করতে না পেরে পিছু হটলেন। ওই গেটে যে তালা লাগানো ছিল তা একযোগে ধাক্কা দিলেই খুলে যেত। তারপর কী করতে হবে এই নেত্রীদের জানা নেই। বেগম জিয়ার শাসনামলে বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ও শেখ হাসিনার শিক্ষক ড. হুমায়ূন আজাদ উগ্র জঙ্গীবাদীদের চাপাতির আঘাতে গুরুতর আহত হলে তাঁকে ঢাকার সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি তাঁর শিক্ষককে দেখতে হাসপাতালে যাবেন। ঢাকা সেনানিবাসের জাহাঙ্গীর গেট পর্যন্ত যাওয়ার পর তাঁকে জানানো হলো ভেতরে যাওয়ার অনুমতি নেই। তিনি গাড়ি হতে নেমে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পথ হেঁটে গিয়ে সিএমএইচে গিয়ে বাধার মুখে দেখা করতে না পেরে একই পথে ফিরে আসেন। বেগম জিয়া বা তার সঙ্গের সঙ্গীদের সে দিন বাধা আসলে কী করতে হবে তার কোন বিকল্প পরিকল্পনা ছিল না। সাংবাদিকদের উদ্দেশে দু’চার কথা বলার পর কয়েকজন জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক জানতে চাইলেন ‘ম্যাডাম কাল থেকে হরতাল না অবরোধ’? প্রথমে তিনি প্রশ্নটা বুঝতেই পারেননি। কয়েকবার বলার পর বললেন, ‘অবরোধ চলছে চলবে’ অথচ তখন তার দল অথবা জোটের পক্ষ হতে ডাকা কোন অবরোধই চলছিল না। এদিন কোন কোন মিডিয়া কর্মী তাদের দায়িত্বটা সম্ভবত সঠিকভাবে পালন করেননি, তারা বেগম জিয়াকে উস্কানি দিয়েছেন যা তিনি বুঝতে পারেননি। জানা গেছে, এই অবরোধের ঘোষণা সংবলিত প্রেস রিলিজ বেগম জিয়া ঘোষণা করার আগেই তৈরি হয়ে গিয়েছিল। সেটির নির্দেশনাও এসেছিল লন্ডন হতে। বেগম জিয়া অবরোধের নামে এই সহিংসতার ঘোষণা না দিলে দেশে এত নিরীহ মানুষের জীবনহানি হতো না। আসলে এই মুহূর্তে তারেক রহমানের ক্ষমতা চাই। তার মা এখন অনেকটা তার হাতের পুতুল। ক্ষমতা প্রয়োজন কারণ তিনি জানেন তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির যে মামলা চলছে তাতে তাদের দু’জনেরই সাজা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে তারেক রহমান যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় পেয়েছেন। তাঁর কারাদ- হয়ে গেলে তাঁর পক্ষে দেশে আশা মুশকিল হয়ে যাবে। আর বেগম জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন না। জামায়াত খুব চতুরতার সঙ্গে বিএনপিকে টয়লেট পেপারের মতো ব্যবহার করছে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত তাদের নেতাদের কারাগার হতে মুক্ত করে আবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অংশীদার হতে। বেগম জিয়া বাস্তবমুখী হলে লাভ তার। তিনি ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে না গিয়ে আত্মঘাতী ভুল করেছিলেন। তিনি সেই নির্বাচনে যেতে অনেকটা রাজি ছিলেন কিন্তু বাদ সেধেছিলেন তারেক রহমান। তারেক রহমান নানা দিক দিয়ে হয়ত চতুর কিন্তু তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞার কোন আলামত এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। হয়ত মোজাম্মেল বাবুর কথাই ঠিক। বেগম জিয়াকে রাজনৈতিকভাবে বাঁচানো গেলে তার দল একটি ক্লাব হতে রাজনৈতিক দল হয়ে উঠতে পারবে। তবে তাঁকে তাঁর আমলাসর্বস্ব টিম বদলাতে হবে। কোথা হতে তিনি তার যাত্রা শুরু করবেন তা তাঁকেই ঠিক করতে হবে । দেশে একাধিক শক্তিশালী রাজনৈতিক দল থাকলে গণতন্ত্র বিকশিত হয়। জানুয়ারি ১৫, ২০১৫ লেখক : গবেষক ও বিশ্লেষক
×