ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বরিশালে গুদাম ভাড়া দিয়ে বিপাকে বিএডিসি

তিন কোটি টাকার সার খোলা মাঠে

প্রকাশিত: ০৭:২৬, ১৯ জানুয়ারি ২০১৫

তিন কোটি টাকার সার খোলা মাঠে

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ নগরীর কীর্তনখোলা নদীর তীরের বিএডিসির সরকারী গুদাম ব্যক্তি মালিকানায় ভাড়া হয়ে যাওয়ায় বিসিআইসির তিন কোটি টাকা মূল্যের দুই হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার গত দশদিন থেকে ওই এলকায় খোলা আকাশের নীচে পড়ে রয়েছে। ফলে সারের গুণগত মান ব্যাহত হতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জেলা প্রশাসক মোঃ শহীদুল আলম ও বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) বরিশাল অফিসের ইনচার্জ আব্দুর রহিম খন্দকার। বিসিআইসি বরিশাল অফিসের ইনচার্জ আব্দুর রহিম খন্দাকার জানান, প্রতিবছর চাহিদা অনুযায়ী জানুয়ারি মাস থেকেই দেশের বিভিন্ন এলাকায় সার পাঠানো শুরু করা হয়। সে মোতাবেক গত দশদিন পূর্বে বরিশালে দুই হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আসে। যার বাজার মূল্য তিন কোটি টাকা। তিনি আরও জানান, নগরীর কীর্তনখোলার তীরে বিএডিসির সরকারী গুদাম না পেয়ে ওই এলকায় খোলা আকাশের নিচে সারের বস্তা রাখতে হয়েছে। এতে করে বৃষ্টি হলে সারগুলো বিনষ্ট হওয়ায় আশঙ্কায় তাঁরা উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছেন। এছাড়াও সারের বস্তা দীর্ঘদিন এভাবে থাকলে উপযুক্ত আবহাওয়ার অভাবে সারের গুণগতমান হারানোর শঙ্কা রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। গুদাম সঙ্কটের কারণ সম্পর্কে বিএডিসি বরিশাল অফিসের যুগ্ম-পরিচালক শাহ নেওয়াজ জানান, অতীতে সার আমদানি বন্ধ থাকায় মাসে ৪০ হাজার ৭৯৫ টাকা পরিশোধ শর্তে ১৯৯৫ সালের ২৯ আগস্ট বিএডিসির তিনটি গুদামের মধ্যে একটি (সার গুদাম-২) স্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান খান সন্স গ্রুপের কাছে ভাড়া দেয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, ২০০৫ সালে বিএডিসির সার আমদানি শুরু হলে গুদামটি ছেড়ে দেয়ার জন্য খান সন্স কর্তৃপক্ষকে তিনবার নোটিস দেয়া হয়েছে। এতে খান সন্সের পক্ষ থেকে কোন সাড়া মেলেনি। পরে ২০০৯ সালের ২১ জুলাই ফের আরেকটি নোটিস দেয়া হয় বিএডিসির পক্ষ থেকে। কিন্তু গুদাম ছাড়তে নারাজ খান সন্স গ্রুপ সর্বশেষ নোটিস পেয়ে ২০০৯ সালের ২৬ আগস্ট উচ্চ আদালতে একটি রিট আবেদন করে। ওই রিটের প্রেক্ষিতে আদালত বিষয়টির ওপর চার মাসের নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এরপরে সর্বশেষ বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন ২০১৪ সালের ২ এপ্রিল গুদাম খালি করে দেয়ার জন্য খান সন্স গ্রুপকে আরেকটি নোটিস পাঠায়। ওই নোটিসের কপি নিয়ে খান সন্স গ্রুপ উচ্চ আদালতের দারস্থ হলে বিষয়টির ওপর স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। যা এখনও চলমান।
×