ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে হকি তারকা জুম্মন লুসাই!

প্রকাশিত: ০৬:১৩, ১৮ জানুয়ারি ২০১৫

জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে হকি তারকা জুম্মন লুসাই!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আশির দশকে বাংলাদেশ ও এশিয়া ছাড়িয়ে বিশ্ব হকি অঙ্গনে যার ছিল সুখ্যাতি, দেশের সর্বকালের অন্যতম সেরা সেই হকি তারকা সিলেটের জুম্মন লুসাই এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তাঁকে বাংলাদেশ মেডিক্যালের লাইফ সাপোর্টে (আইসিইউতে) রাখা হয়েছে। তাঁর অবস্থা বর্তমানে সঙ্কটাপন্ন। শুক্রবার বিকেলে ঢাকা আবাহনী ক্লাবে নিজ কক্ষে স্ট্রোক করলে তাঁকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন তারই সহকর্মী বন্ধু সাবেক তারকা হকি খেলোয়াড় হারুন। অসাধারণ নৈপুণ্যের কারণে ১৯৮৫ সালে জুম্মন লুসাই বিশ্ব হকি একাদশে সুযোগ পেয়েছিলেন। এ অনন্য কীর্তি তাঁকে বসায় সম্মানের উচ্চ শিখরে। তিনি ছিলেন অনেক খেলোয়াড়ের আদর্শ ও স্বপ্নের নায়ক। খেলতেন ডিফেন্সে। দীর্ঘদিন জাতীয় হকি দলে খেলেছেন তিনি। বাংলাদেশের হকিতে পেনাল্টি কর্নারের জন্য পারদর্শী (স্পেশালিস্ট) বলা হতো তাঁকে। আন্তর্জাতিক হকি ম্যাচে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম হ্যাটট্রিকম্যান তিনিই। ঢাকায় ১৯৮৫ সালে দ্বিতীয় এশিয়া কাপ হকিতে ইরানের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করেন তিনি। ১৯৮৯ সালে শেষবার জাতীয় দলে খেলেন এশিয়া কাপ হকিতে। ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ক্লাব হকি খেলেছেন দেশের অন্যতম হকি শক্তি আবাহনীর নিবেদিত প্রাণ জুম্মন লুসাই। তাঁর বড় ভাই ধনধন লুসাই পুলিশে হকি খেলেছেন। পরে তিনি পুলিশের কর্মকর্তা হন। জুম্মন লুসাইয়ের পরিবার এক ঐতিহ্যবাহী হকি পরিবার। তাঁদের পরিবারে বেশ কজন হকি খেলতেন। ছোট ভাই জুবেল লুসাই হকি খেলেছেন আবাহনীর জার্সি গায়ে। জুম্মন লুসাইয়ের বিয়াই রামা লুসাই সমানতালে হকি এবং ফুটবল খেলেছেন মোহামেডানে। সিলেটের আদিবাসী লুসাই পরিবারে জন্ম নেয়া জুম্মন লুসাই জীবন ধারণ করেছেন খুবই সাদাসিধে। বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের ৪০ বছরপূর্তিতে আজীবন সম্মাননা পাওয়া জুম্মন লুসাই ১৯৮৫ সালে করাচীতে পাকিস্তানের বিপক্ষে বিশ্ব একাদশের হয়ে খেলেছিলেন। হকি ফেডারেশনের ৪০ বছরপূর্তিতে আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন। এছাড়া দেশের মূল জনস্রোতের বাইরের একজন প্রতিনিধি হিসেবে বাংলাদেশের জন্য অনেক সম্মান বয়ে এনেছেন। সব সময় চেষ্টা করেছেন মানুষকে কিছু শেখাতে। আপাদমস্তক নিরহঙ্কারী জুম্মনদের পরিবার বর্তমানে ভারতে চলে গেলেও হকির টানেই সুযোগ পেলেই চলে আসতেন ঢাকায় তাঁর প্রাণপ্রিয় ক্লাব আবাহনীর টানে। এটাই ছিল তাঁর ঠিকানা। কালিয়া পৌরসভা ফুটবল একাদশ চ্যাম্পিয়ন স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ‘ওয়ালটন নড়াইল জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট’-এ শনিবার ফাইনাল ম্যাচে কালিয়া পৌরসভা ফুটবল একাদশ টাইব্রেকারে ১১-১০ গোলে নড়াইল সদর উপজেলা ফুটবল একাদশ দলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। ফাইনাল ম্যাচের সেরা ফুটবলার হন রানার্সআপ দলের আরিফ। তাঁকে ওয়ালটনের পক্ষ থেকে এলএইডি লাইট দেয়া হয়। টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন দল কালিয়া পৌরসভা ফুটবল একাদশকে ১০ হাজার ও ট্রফি দেয়া হয়। রানার্সআপ দল পায় ৫ হাজার টাকা ও ট্রফি। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন নড়াইল জেলা প্রশাসক আঃ গাফ্ফার খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন নড়াইলের ভারপ্রাপ্ত পুুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন। আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মিকু। সামিট কাপ গলফের পুরস্কার বিতরণ স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ পঞ্চম সামিট ওপেন গলফ এবং ১৯তম সামিট কাপ গলফের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শুক্রবার রাতে অনুষ্ঠিত হয়। কুর্মিটোলা গলফ ক্লাব ভবনের বেংকুয়েট হলে প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ী গলফারদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান। গত জানুয়ারি পঞ্চম সামিট ওপেন এবং ১৪-১৬ জানুয়ারি ১৯তম সামিট কাপ গলফ টুর্নামেন্ট কুর্মিটোলা গলফ কোর্সে অনুষ্ঠিত হয়। পেশাদার গলফারদের নিয়ে আয়োজিত সামিট ওপেনে চ্যাম্পিয়ন হন দেশসেরা গলফার সিদ্দিকুর রহমান ও রানারআপ হন দুলাল হোসেন। অপরদিকে এ্যামেচার গলফারদের নিয়ে অনুষ্ঠিত সামিট কাপ গলফে চ্যাম্পিয়ন হন কর্নেল আমিন-উল-ইসলাম (অব)। এ ইভেন্টে সিনিয়র উইনার ও লেডিস উইনার হন যথাক্রমে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আনোয়ার ফরিদ (অব) ও নীলা আজিজ।
×