ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ফিফা ব্যালন ডি’অর জয়ী জার্মান ফুটবল তারকা নাদিন কেসার

এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না আমি বিশ্বের সেরা

প্রকাশিত: ০৬:০৫, ১৮ জানুয়ারি ২০১৫

এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না আমি বিশ্বের সেরা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিশ্ব ফুটবলে টানা দু’বারের বিশ্বসেরা হয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের পর্তুগীজ ফরোয়ার্ড ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। তবে মেয়েদের ফুটবলে হয়েছে ব্যতিক্রম। জার্মান মহিলা ফুটবল দলের এ্যাটাকিং মিডফিল্ডার নাদিন কেসার হয়েছেন এবার ফিফা বর্ষসেরা। জিতেছেন ব্যালন ডি’অর। জার্মান দলের অধিনায়ক কেসার অবশ্য এখনও আচ্ছন্নতা কাটিয়ে উঠতে পারেননি। কোনভাবেই তাঁর বিশ্বাস হচ্ছে না বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনি। ২৬ বছর বয়সী এ জার্মান তারকা এক সাক্ষাতকারে এমন দাবি করেছেন। তবে কেসার নিজে যতই বিশ্বাস না করতে পারুন তাঁর অর্জনই কথা বলে জানিয়ে দিচ্ছে তিনি কি করেছেন। গত বছর কেসার তাঁর দলকে জিতিয়েছেন উয়েফা মহিলা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ও বুন্দেসলিগা শিরোপা। এছাড়া জার্মান দলকে পাইয়ে দিয়েছেন আলগারভে কাপ। সে জন্য গত আগস্টেই ইউরোপের বর্ষসেরা মহিলা ফুটবলারের স্বীকৃতি পেয়ে গিয়েছিলেন। বিশ্বসেরা ফুটবলার হওয়ার পথে গত বছর সাফল্যের মাঝেও দুঃসময়ও গেছে কেসারের। কয়েক মাস হাঁটুর ইনজুরির কারণে অস্ত্রোপচার করিয়ে থাকতে হয়েছে মাঠের বাইরে অক্টোবর থেকে। এসব কিছুকে জয় করে কিভাবে শীর্ষ খেলোয়াড়ে পরিণত হলেন সেটা নিয়ে বিস্তারিত বলেছেন সম্প্রতিই এক সাক্ষাতকারে। তা নিচে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো- প্রশ্ন ॥ বাজে ইনজুরি দিয়ে বছর শেষ করলেও বড় কিছু অর্জন ছিল। ২০১৪ সালটা আপনার কেমন ছিল? কেসার ॥ আমার বছরটা অবশ্য দুই ভাগে বিভক্ত করা যায়। প্রথম অর্ধেকটা সত্যিই খুব ইতিবাচক। আসলে এটা ছিল একেবারেই নিখুঁত ধরনের। তেমন কোন ভুলভ্রান্তিও ছিল না এর মধ্যে। কিন্তু বছরের দ্বিতীয়াংশ ছিল ইনজুরির নিয়ন্ত্রণে। সুতরাং সেটা কোনভাবেই আমার জন্য খুব সুখকর কোন পরিস্থিতি ছিল না। স্বাভাবিকভাবে আমি আশা করেছি যে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে। প্রশ্ন ॥ অস্ত্রোপচারের পর আপনার সময়টা কেমন গেছে? কেসার ॥ আমার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াটা বেশ ভালভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিল। আমি খুব আশাবাদী ছিলাম এ বিষয়ে আমরা উন্নতি করব। কিন্তু এখনও পর্যন্ত আমি নিশ্চিত করে বলতে পারছি না কবে মাঠে ফিরতে পারব। প্রশ্ন ॥ বিভিন্ন সময়ে দর্শকদের জন্য অনেক ম্যাচই স্নায়ুচাপের সৃষ্টি করে। কোচ এবং খেলোয়াড়দের জন্য সেসব ম্যাচের অভিজ্ঞতাটা কেমন? কেসার ॥ এটা সবসময়ই খেলোয়াড়দের জন্যও দারুণ উত্তেজনাকর। কিন্তু স্নায়ুটা অবশ্যই সামান্য ব্যতিক্রম আচরণ করে। সেগুলো স্থবির হয়ে যায় যখন বাইরে থেকে কেউ দেখে। কারণ কি ঘটে সেটা দেখা ছাড়া আর কিছুই করার নেই দর্শকদের। কিন্তু দলের খেলোয়াড় হিসেবে তখনও আমাদের দায়িত্ব সচেতন হয়ে ভাল কিছু করার জন্য শক্ত থাকতে হয়। আমাদের হাতেই নির্ভর করে ভক্তদের উল্লাস এবং দলের সাফল্য। আর এ কারণেই হয়ত খেলোয়াড়রা উত্তেজনাকর কিছু ঘটনার জন্ম দিতে পারেন। প্রশ্ন ॥ ক্লাব এবং জাতীয় দলে আপনার দায়িত্ব কী আলাদা কিছু অনুভূতির সৃষ্টি করে? কেসার ॥ খেলোয়াড় এবং অধিনায়ক হিসেবে আমার দায়িত্ব এবং কর্তব্য হচ্ছে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়া। নিশ্চিত করা যে আমরা উন্নতি করব, স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করব এবং দলগতভাবে নিজেরা সমন্বিত থাকব। আর এসবই মূল বিষয় সাফল্যের ক্ষেত্রে। তাই কোথায় খেলছি বিষয়টা সেটার ওপর নির্ভর করে না। নিজের দায়িত্ব এবং কর্তব্যের ওপর নির্ভর করে। প্রশ্ন ॥ বিশ্বের শীর্ষ খেলোয়াড় হওয়ার পথটা কেমন ছিল? কেসার ॥ গত কয়েকটা বছর খুবই ইতিবাচক সময়ের মধ্য দিয়ে কেটেছে। আমি ধারাবাহিকভাবেই উন্নতি করতে সক্ষম বলে বিশ্বাস করি। জাতীয় দলের হয়ে দীর্ঘদিন খেলার বিষয়টাও আমি অনেক উপভোগ করেছি। নিজের দেশটাকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারাটা সবসময়ই অনেক বড় মর্যাদার বিষয়। আর সেটা করার জন্য যে আমাকেও সুযোগ দেয়া হয়েছে এ জন্য আমি গর্বিত।
×