ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আলোচনার বিষয় হতে চান তাসকিন

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ১৮ জানুয়ারি ২০১৫

আলোচনার বিষয় হতে চান তাসকিন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অস্ট্রেলিয়া থেকে অস্ত্রোপচার শেষে দেশে ফিরে শনিবার বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ক্যাম্পেও যোগ দেন বাংলাদেশ ওপেনার তামিম ইকবাল। তার দিকেই সবার দৃষ্টি থাকে। কিন্তু বিশ্বকাপের মঞ্চে প্রতিটি ম্যাচেই প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের ঘায়েল করতে নজর থাকবে পেসারদের দিকেই। মঞ্চে বিশেষ কিছুই করে দেখানোর চেষ্টার কথাই বলেছেন দুই পেসার তাসকিন আহমেদ, আল আমিন হোসেন। তাসকিন বলেছেন, ‘আলোচনার বস্তু হতে চাই। সেরা ১০ বোলারের একজন হতে চাই।’ আর আল আমিন বাস্তব ধ্যানধারণা থেকে বলছেন, ‘১২-১৫ উইকেট নিতে চান।’ সকাল-দুপুর টানা অনুশীলন করে যাচ্ছেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। এর মাঝেই প্রতিদিন দুইজন করে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন। বিশ্বকাপ নিয়ে নিজের ভাবনার কথা জানাচ্ছেন। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ মঞ্চে খেলার আগে কী লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন, তা জানাচ্ছেন। শনিবার যেমন জানালেন তাসকিন, আল আমিন। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলতে যাচ্ছেন। লক্ষ্য কী? এমন প্রশ্নে তাসকিনের জবাব, ‘আসলে বিশ্বকাপ সবারই স্বপ্নের মতো। আমারও স্বপ্ন অনেকটা বাস্তবায়নের দিকে। যদি সুযোগ হয়, চেষ্টা করব নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে ভাল কিছু করার। আলোচনা বস্তু হওয়ার যে বাংলাদেশের এ ফাস্ট বোলার অনেক ইমপ্রেসিভ। উইকেট ভাগ্যেরও ব্যাপার। বল ভাল করলেও অনেক সময় উইকেট পাওয়া যায় না। টপ বোলারদের মধ্যেই থাকার চেষ্টা করব। সেরা ১০ বোলারের মধ্যে থাকার চেষ্টা করব।’ তা কী সম্ভব? তাসকিন যে অলীক স্বপ্ন দেখছেন তা যেন বুঝিয়ে দিলেন আরেক পেসার আল আমিন হোসেন। নিজের লক্ষ্যের কথা জানাতে গিয়েই ইঙ্গিত দিলেন, ‘ফাইনাল খেলতে পারলে ১-১০ নম্বরে ঢোকা সম্ভব, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি। আমাদের শুরুতে ৬টা ম্যাচ। এর মধ্যে ১২ থেকে ১৫ উইকেট নিতে পারলে খুব একটা ভাল পজিশনে থাকব।’ তাসকিন যখন ইমপ্রেসিভ বোলার হওয়ার কথা ভাবছেন, তখন ২০০৩ সালে তালহা যুবায়েরের মতো একজন ইমপ্রেসিভ বোলার হওয়ার সম্ভাবনার অপমৃত্যুর দিকেই সবার ভাবনা ঘুরে গেল। তাসকিনকে জানানোও হলো, ২০০৩ সালে তালহা যুবায়েরের মতো একজন ইমপ্রেসিভ পেস বোলার ছিলেন। কিন্তু বড় মঞ্চে গিয়ে দেখা যায় সেই ইমপ্রেস থাকে না। তাসকিন বললেন, ‘আসলে আন্তর্জাতিক সব ম্যাচই আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। উইকেট বাউন্সি সবাই বলছে। মূল জিনিসটা হচ্ছে লাইনে বল করতে হবে। সবাই বলছে বাউন্সি উইকেট। এখানে কী করা যেতে পারে? আমরা বিগব্যাশ দেখছি। অস্ট্রেলিয়া-ভারত সিরিজও দেখেছি। এখানে ভাল জায়গায় বল না ফেললে ব্যাটসম্যান সহজেই খেলতে পারছে। আমরা যে ট্রেইনিং সেশন করছি তা অনেক হেল্প হচ্ছে। আমরা নেট বোলিং ও স্পট বোলিং দুটিই করছি।’তাসকিনের ইতিবাচক দিক হচ্ছে গতি আছে। যা সবার থাকে না। এ গতির ঝড় কী তোলা যাবে? তাসকিন বলছেন, ‘আমি যেহেতু পেস বোলার। আমাকে সেভাবে বল করতেই হবে। বর্তমান যুগে জোর দিয়েই সব কিছু হয় না। লাইন ও লেন্থ বজায় রেখে সব করতে হবে। আমার ছোট্ট অভিজ্ঞতা আছে। যেহেতু অনুর্ধ-১৯ বিশ্বকাপ সেখানে খেলেছি, যতটুকু দেখেছি যে ভাল জায়গায় বল করলে বল ভাল হয়। এখন যেহেতু সামনে খেলা শক্তিশালী দিকগুলো নিয়েই কাজ করছি। নতুন কিছু নিয়ে ভবিষ্যতে কাজ করব।’ দলের নির্ভরযোগ্য আরেক পেসার আল আমিন। কিন্তু জিম্বাবুইয়ে সিরিজে এ পেসারের চমক ছিল না। এমনকি ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগেও আবাহনীর হয়ে আহামরি কোন নৈপুণ্য দেখাতে পারেননি। আল আমিন তাই নিজেকে ফিরে পাবার চেষ্টাই করে যাচ্ছেন, ‘শেষ একবছর অনেক ভাল যাচ্ছিল। আশাও বেড়ে গিয়েছিল। জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে একটি ম্যাচেই খারাপ গেছে। ইনজুরিতে ছিলাম। ফাইনাল পরীক্ষা চলছিল। ফিটনেস লেভেলটাও সে রকম ছিল না, তাই এ রকম হচ্ছিল। আসলে প্রত্যেকটা ম্যাচ খেলাই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটা ম্যাচ খেললেই চেষ্টা করি পারফর্ম করার। অধিনায়ক মাশরাফি ভাই, উনি অনেক হেল্প করে।’ সঙ্গে যোগ করলেন, ‘আমার নরমালি ইনসুইং হতে হতে যেটা আউটসুইং সেটা নিয়েই কাজ করছি। সেখানে পেস ফ্যাক্ট মনে করি না। ভাল বল করা গেলে উইকেট মিলবে। এখন কোন কথা বলে লাভ নেই। আমাদের অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে বুঝতে হবে। দ্রুত মানিয়ে নিতে হবে। যে দ্রুত মানিয়ে নিতে পারবে, সেই ভাল করবে। শুরুতেই যদি দুই তিনটা উইকেট নিয়ে নিতে পারি আত্মবিশ্বাস বাড়ে। যে ম্যাচগুলো ভাল করেছি সেগুলো দেখছি।’
×