ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চাঁপাইয়ে আওয়ামী লীগ নেতার ছেলেকে পিটিয়ে হত্যা করল জামায়াত-শিবির ক্যাডাররা

প্রকাশিত: ০৫:২৯, ১৮ জানুয়ারি ২০১৫

চাঁপাইয়ে আওয়ামী লীগ নেতার ছেলেকে পিটিয়ে হত্যা করল জামায়াত-শিবির ক্যাডাররা

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী/নিজস্ব সংবাদদাতা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ॥ চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে জামায়াত-শিবিরকর্মীদের নৃশংস হামলায় আহত স্কুলছাত্র রাজন আলী রকির (১৫) মৃত্যু হয়েছে। রকি শিবগঞ্জ পৌরসভার শেখটোলা এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিনের ছেলে ও রাধাকান্তপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র। শুক্রবার রাতে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। নিহত রকির ভাই রুবেল অভিযোগ করেন, গত বৃহস্পতিবার রকি স্কুলে ক্লাস করছিল। একই সময় ওই এলাকায় বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকা-ের সঙ্গে জড়িত জামায়াত-বিএনপি নেতাকর্মীদের আটকের জন্য পুলিশ অভিযান চালায়। অভিযান শেষে পুলিশ ঘটনাস্থল ত্যাগ করলে বিষয়টি দেখার জন্য রকিসহ তার তিন বন্ধু স্কুলের বাইরে আসে। এ সময় জামায়াত-শিবিরের কয়েকজন কর্মী রকিকে চিনতে পারে। রকি আওয়ামী লীগ নেতা রুহুলের ছেলে হওয়ায় তারা তাকে ধরে লোহার রড, পাইপ এবং গাছের ডাল দিয়ে বেধড়ক পেটায়। এ সময় রকি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে স্থানীয়রা তাকে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। রুবেল আরও জানান, রকির শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। তবে সবচেয়ে বেশি আঘাত ছিলে তার মাথা ও ঘাড়ে। দুদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে শুক্রবার গভীর রাতে মৃত্যুবরণ করে রকি। কান্নাজড়িত কণ্ঠে রকির ভাই বলেন, হামলাকারীরা রাধাকান্তপুর এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকার চিহ্নিত জামায়াত-শিবির ক্যাডার। আমার বাবা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তারা আমাকে বা আমার বাবাকে খুন করতে পারত। কিন্তু তারা রকির মতো ছোট এক নিষ্পাপ কিশোরকে নৃশংসভাবে খুন করল। আমরা এর বিচার চাই। রুবেল জানান, এর আগেও গত ১২ ডিসেম্বর জামায়াত-শিবির ক্যাডাররা তাদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করেছে। ঘটনার পর পুলিশ সুপার ও স্থানীয় প্রশাসন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। কিন্তু এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় রকির মৃতদেহের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের লোকের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর মৃতদেহ শিবগঞ্জের শেখটোলা এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। আসরের নামাজের পর তার মৃতদেহ পারিবারিক গোরস্তানে দাফন করা হয় বলে নিকটাত্মীয়রা জানান। এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মইনুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি জানি না। আমাকে কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
×