ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ছুটি নিয়ে মা-মেয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে

প্রকাশিত: ০৪:৩৩, ১৮ জানুয়ারি ২০১৫

ছুটি নিয়ে মা-মেয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে

এইচএম এরশাদ, কক্সবাজার ॥ ‘স্যার আগামী ২৪ জানুয়ারি আমার মেয়ে তাম্মির বিয়ে। ১০ দিনের ছুটি দরকার। ছুটি মঞ্জুর হয়। মেয়ের বিয়েতে স্কুল পরিবারকে দাওয়াত দেয়া হয়। সবাইকে নিয়ে চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটে চলে আসার কথা জানান। এসব বলে ছুটি নিয়ে স্কুল ত্যাগ করেন সবার প্রিয় সহকারী প্রধান শিক্ষিকা তাহেরা ম্যাডাম। ১৫ জানুয়ারি প্রিয় স্কুল আঙ্গিনা থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসেন তিনি। কিন্তু প্রিয় স্কুল আঙ্গিনা হতে এই বিদায় যে ছিল চিরবিদায় তা কেউ জানত না। শনিবার দুপুরে সহকারী প্রধান শিক্ষিকা প্রয়াত তাহেরা বেগমের জানাজার মাঠে এসব অনুভূতির কথা প্রকাশ করেন কক্সবাজার কেজি এ্যান্ড মডেল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক রমজান আলী। কক্সবাজার সদর মডেল থানার সম্মুখে অবস্থিত পুরাতন পুলিশ লাইন মাঠে জানাজাপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি প্রয়াত তাহেরা ম্যাডামের জীবন ও স্কুলের বিভিন্ন স্মরণীয় মুহূর্তের কথা উপস্থাপন করে বলেন, আমার দায়িত্ব গ্রহণের আগে ৩ বছর তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্ব পালন করেন। দায়িত্বের খাতিরে তিনি নিজ বাড়ি ছেড়ে স্কুলের পাশে ভাড়া বাসায় চলে আসেন। মাতৃ¯েœহে তিনি সকল শিক্ষার্থীকে আগলে রাখতেন। এ সময়কালে তার কোন দুর্বলতা দেখা যায়নি। প্রয়াত তাহেরা ম্যাডাম নিজ দায়িত্বে কঠোর ছিলেন। প্রধান শিক্ষক রমজান আলী আরও বলেন, শিক্ষিকা তাহেরা ১৯৮২ সালে স্কুলে সাধারণ শিক্ষক পদে যোগদান করেন। এ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ তুলতে পারেনি। তার জন্য স্কুলে ৩ দিন শোক ঘোষণা করা হয়েছে। জানাজার মাঠে বক্তব্য রাখেন, মরহুমার ভাই নুরুল হুদা চৌধুরী, দেবর শরফুদ্দিন চৌধুরী রাজু। জানাজায় তামিয়ার হবু স্বামী, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, পেশাজীবী, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের লোকজন অংশ নেন। জানাজা শেষে স্থানীয় পারিবারিক গোরস্তানে মা-মেয়েকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। টানা অবরোধে সবজি চাষী বিপাকে নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝিনাইদহ, ১৭ জানুয়ারি ॥ টানা অবরোধের কারণে ঝিনাইদহের ছয়টি উপজেলার সবজি চাষীরা চরম বিপাকে পড়েছেন। উৎপাদিত সবজি বাজারে নিয়ে পাইকার ব্যবসায়ী না থাকায় দাম পাচ্ছেন না সবজি চাষীরা। ফলে লাখ লাখ টাকা লোকসানের শিকার হচ্ছেন তাঁরা। অনেক কৃষক সবজির মূল্য না পেয়ে ক্ষেত থেকে সবজি তুলছেন না। ক্ষেতেই পচে নষ্ট হচ্ছে সবজি। পাইকার ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, তাঁরা পরিবহন না পাওয়ায় সবজি কিনে বাইরে পাঠাতে পারছেন না। সরেজমিন জেলার সবজি উৎপাদনের এলাকা হিসেবে পরিচিত কালীগঞ্জের বারোবাজার ও মহেশপুরের খালিশপুর বাজার, সদর উপজেলার ডাকবাংলা বাজার, শৈলকূপার চড়ুই বিল, ভাটই বাজার এলাকা ঘুরে এবং কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, টানা অবরোধের কারণে কৃষকের জমিতে উৎপাদিত বাঁধাকপি, মুলা, বেগুন, কাঁচামরিচ বাজারে নিয়ে গিয়ে কাক্সিক্ষত দাম পাচ্ছেন না।
×