ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শাহবাগে বিক্ষোভ

যারা পুড়িয়ে মানুষ মারছে তারা জামায়াত শিবির ॥ গণজাগরণ মঞ্চ

প্রকাশিত: ০৭:৪৮, ১৭ জানুয়ারি ২০১৫

যারা পুড়িয়ে মানুষ মারছে তারা জামায়াত শিবির ॥ গণজাগরণ মঞ্চ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গণজাগরণ মঞ্চের একাংশের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেন, যারা যানবাহনে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারছে তারাও মানবতাবিরোধী অপরাধী। একদিন তাদেরও বিচার হবে। রংপুরে যারা আগুন দিয়েছে সেখানে জামায়াত-শিবিরের সম্পৃক্ততার খবর পাওয়া গেছে। জামায়াত-শিবির ছাড়া অন্য কেউ মানুষ পুড়িয়ে মারে না। ২০১৩ সালেও মানুষকে এই অপরাজনীতির বলি হতে হয়েছে, এখনও হতে হচ্ছে। ২০১৩ সালেই জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করে সব সমস্যার সমাধান করা যেত। শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগে রাজনীতির নামে দেশব্যাপী হত্যা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং যুদ্ধাপরাধী সংগঠন জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ ও রাজাকার কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় কার্যকরের দাবিতে ‘বিক্ষোভ ও গণঅবস্থান’ কর্মসূচীতে তিনি এসব কথা বলেন। জামায়াত-শিবিরকে উদ্দেশ করে ইমরান বলেন, তারা একদিকে মানুষ পোড়াচ্ছে, অন্যদিকে রাজনীতির নামে কূটনীতিকপাড়ায় ভিড় জমাচ্ছে। ২০১৩ সালেই জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ হলে এমন ঘটনা ঘটত না। অবিলম্বে জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করে তাদের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। কামারুজ্জামানের রায় দ্রুত কার্যকর করতে হবে। গণজাগরণ মঞ্চের এই অংশের মুখপাত্র ইমরান আরও বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজনৈতিক দলগুলো ব্যর্থ হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো এই সমস্যার সমাধান করতে না পারলে জনগণ রাস্তায় নেমে আসতে বাধ্য হবে। দলগুলোকে আলোচনার মাধ্যমেই এই সমস্যার সমাধান করতে হবে। ইমরান সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের রায় কার্যকর নিয়ে সরকার টালবাহানা করছে, যুদ্ধপরাধী সংগঠন জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ নিয়েও টালবাহানা চলছে। জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ত্বরান্বিত করতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে জনগণের নিরাপত্তা দিতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে বলেও এ সময় ইমরান দাবি করেন। ‘বার্ন ইউনিটে তাকিয়ে দেখো, জামায়াত-শিবির মানুষ খেকো’, ‘আর কোন দাবি নাই, রাজাকারের ফাঁসি চাই’ সেøাগান দিতে দেখা যায় তাদের। পরে তাঁরা বিক্ষোভ মিছিলসহকারে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের বার্ন ইউনিট পরিদর্শনে যান। বিএনপির অবৈধ অবরোধ-হরতালের আগুনে দগ্ধ স্বজনদের সঙ্গে ইমরান কথা বলেন। অসহায় নিরপরাধ দগ্ধ মানুষের খোঁজখবরও নেন তিনি। এ সময় স্বজনদের আহাজারিতে বার্ন ইউনিট এক করুণ রূপ ধারণ করে। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বার্ন ইউনিটের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশেও তিনি একইরকম কথা বলেন।
×