ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পটুয়াখালী বিএনপি নেতারা অধিকাংশই ঢাকায় ॥ অবরোধে নেই

প্রকাশিত: ০৭:১৩, ১৭ জানুয়ারি ২০১৫

পটুয়াখালী বিএনপি নেতারা অধিকাংশই ঢাকায় ॥ অবরোধে নেই

শংকর লাল দাশ / মোঃ মোখলেছুর রহমান, পটুয়াখালী থেকে ॥ দক্ষিণের জেলা পটুয়াখালীতে বিএনপির ডাকা অবরোধের সামান্যতম কোন আঁচ নেই খোদ বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে। নেই অবরোধের প্রভাব। দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের অধিকাংশই অবরোধের আগ থেকেই অবস্থান করছেন ঢাকায়। কেউ কেউ অবরোধে পড়ে চলে গেছেন। আর বাদবাকি যারা এলাকায় আছেন তারাও শীতের মিঠেকড়া রোদে হয় লেপ মুড়ি দিয়ে বাসায় ঘুমাচ্ছেন। নয়ত ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত আছেন। আবার কেউ কেউ রাতের আঁধারে পুলিশ কিংবা আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে আপোস করে দিন কাটাচ্ছেন। এসব কারণে পটুয়াখালীতে এখন বিএনপি রীতিমতো অস্তিত্ব সঙ্কটে ভুগছে। অবরোধ যেন গ্রাস করে নিয়েছে বিএনপিকে। এ সুযোগে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলও চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। বিএনপির নেতাকর্মীদের সূত্রে এসব তথ্য মিলেছে। এমনিতেই বরাবর পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসাবে পরিচিত। প্রতিটি অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচনে এখানকার চারটি আসনের সব ক’টি আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে জয়লাভ করে। এর পরও নির্বাচন বিশেষ করে সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে এলে বিএনপির তৎপরতা বাড়ে। ফাঁকফোকর দিয়ে দু’একটি আসন ছিনিয়েও নেয়। কিন্তু এরপরে আর মাঠেময়দানে বিএনপির দেখা মেলে না। এবারের লাগাতার অবরোধ বিএনপির মূল অস্তিত্ব ধরেই টান দিয়েছে। ভেঙ্গে পড়েছে দলটির ‘চেন অব কমান্ড’। অবরোধের দিনদুয়েক আগে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস -চেয়ারম্যান, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী পটুয়াখালী শহরে এসে নেতাকর্মীদের লাগাতার অবরোধে সক্রিয় অংশ নেয়ার আহ্বান জানান এবং তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন। কিন্তু অবরোধের একদিন পর থেকেই তাকে আর মাঠে দেখা যায়নি। তিনি সরাসরি ঢাকা চলে যান। বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, আলতাফ হোসেন চৌধুরী শুধু কেন্দ্রীয় নেতাই নন। তিনি জেলা বিএনপিরও সভাপতি। আর সেই সভাপতি যদি নিজে মাঠে না থাকেন তবে মাঠে যে নেতাকর্মীদের দেখা পাওয়া যাবে না; এটিই স্বাভাবিক। তারা বলেন, সহ-সভাপতিদের দীর্ঘ তালিকা। যা তাদের মতে ‘আনলাকি থার্টিন’ হিসাবে পরিচিত। অর্থাৎ ১৩ জন নেতাকে সহ-সভাপতি বানানো হয়েছে। তারাও প্রায় সকলেই ঢাকার বাসিন্দা। নেতাদের বেহাল দশায় জেলার কোথাও বিএনপির রাজনীতিতে এবারকার লাগাতার অবরোধের ন্যূনতম প্রভাব পড়েনি। বরং বিএনপির নেতাদের অধিকাংশ নিজ নিজ ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে বহাল তবিয়তে দিন পার করছেন। আজ মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন নিজস্ব সংবাদদাতা মানিকগঞ্জ, ১৬ জানুয়ারি ॥ দীর্ঘ এক যুগ পর শনিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশন। সম্মেলনকে ঘিরে দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সম্মেলনস্থল বিজয় মেলার মাঠের আশপাশের এলাকাসহ সারা জেলা শহর ছেয়ে গেছে রং-বেরংয়ের পোস্টার, ব্যানার, প্লাকার্ড, ফেস্টুন ও তোরণে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীরা সরাসরি কাউন্সিলরদের ভোটের মাধ্যমেই নির্বাচিত হতে চান। বিজয় মেলার মাঠে মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক কাউন্সিলের উদ্বোধন করবেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এবং প্রধান অতিথি হিসেবে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। এছাড়াও বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা উপস্থিত থাকবেন। ২০০৩ সালের ডিসেম্বর মাসে সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল জেলা আওয়ামী লীগের। ক্ষমতাসীন এই দলের দীর্ঘদিন সম্মেলন না হওয়াতে নতুন নেতৃত্বের বিকাশ ঘটেনি। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পর সম্মেলন হওয়ায় এবারের সম্মেলন নেতাকর্মীদের কাছে খুবই গুরুত্ব পাচ্ছে। জেলা থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত এবং চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন। এবারের সম্মেলনে সভাপতি পদে দু’জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়ে মাঠে নেমেছেন।
×