ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চ্যাম্পিয়ন রিয়ালকে বিদায় করলেন টোরেস

প্রকাশিত: ০৬:৪০, ১৭ জানুয়ারি ২০১৫

চ্যাম্পিয়ন রিয়ালকে বিদায় করলেন টোরেস

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অপ্রতিরোধ্য রিয়াল মাদ্রিদ এখন জয়ের জন্য হন্যে! শুনতে কেমন লাগলেও সাম্প্রতিক সময়ের প্রেক্ষিতে এটিই ঠিক। গেল বছরের শেষ থেকে পতনের শুরু রিয়ালের। যা অব্যাহত আছে নতুন বছরের শুরু থেকেই। ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না গ্যালাক্টিকোরা। এবার স্প্যানিশ কোপা ডেল’রে ফুটবল থেকে বিদায়ঘণ্টা বেজেছে রিয়ালের। শেষ ষোলো থেকে তাদের বিদায় করে আসরের কোয়ার্টার ফাইনালে নাম লিখিয়েছে এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। বৃহস্পতিবার প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদ ও এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের মধ্যকার ম্যাচটি ড্র হয় ২-২ গোলে। সান্টিয়াগো বার্নাব্যুতে অনুুষ্ঠিত ম্যাচে রিয়ালের হয়ে গোল করেন সার্জিও রামোস ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। এ্যাটলেটিকোর হয়ে জোড়া গোল করে চ্যাম্পিয়ন রিয়ালকে একাই বিদায় করে দেন সদ্যই ঘরে ফেরা ফার্নান্ডো টোরেস। প্রথম লেগের ম্যাচে রিয়ালকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল লা লিগার চ্যাম্পিয়নরা। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-২ গোলের জয় নিয়ে সেরা আটে পৌঁছেছে দিয়াগো সিমিওনের দল। এলচেকে আরেকবার উড়িয়ে দিয়ে আসরের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে বার্সিলোনাও। পরশু রাতে এ্যাওয়ে ম্যাচে অতিথি বার্সা ৪-০ গোলে হারায় স্বাগতিক এলচেকে। এই ম্যাচে দুই তারকা লিওনেল মেসি, নেইমারসহ আরও অনেক তারকাকে বিশ্রাম দিয়েছিলেন বার্সা কোচ লুইস এনরিকে। এরপরও জয়ের জন্য বেগ পেতে হয়নি কাতালানদের। প্রথম লেগে ন্যুক্যাম্পে ৫-০ গোলে জিতেছিল বার্সা। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে বার্সিলোনার জয় ৯-০ গোলে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, পরের পর্বেই মুখোমুখি হচ্ছে বার্সিলোনা ও এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। অর্থাৎ সেমিফাইনালে উঠার লড়াইয়ে দল দুটি কোয়ার্টার ফাইনালে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। প্রথম লেগের ম্যাচ হবে ন্যুক্যাম্পে ২১ জানুয়ারি। আর ফিরতি লেগ হবে ভিসেন্টে ক্যালডেরনে ২৮ জানুয়ারি। বার্সা কোচ লুইস এনরিকের আশা, এলচের বিরুদ্ধে তাদের সাবলীল জয় এ্যাটলেটিকোর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আগে দলকে অনুপ্রাণিত করবে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা জানি এ্যাটলেটিকোর বিরুদ্ধে লড়াইটা কঠিন হবে। তারা ইউরোপের অন্যতম সেরা দল। কিন্তু আমরা তাদের খেলার ধরন এবং তাদের ফুটবলের মান সম্পর্কে জানি। প্রতিপক্ষের মাঠে ফিরতি লেগে নিয়মিত একাদশের প্রায় সবাইকে বিশ্রাম দিয়ে বার্সিলোনা ‘বি’ দলের ছয় জনকে দলে রাখেন এনরিকে। এরপরও সহজ জয় পায় কাতালানরা। এ্যাটলেটিকোর বিরুদ্ধে ম্যাচের শুরুতে ফিফা সেরা রোনাল্ডো বর্ষসেরা ফুটবলারের স্মারক হাতে দর্শকদের সামনে হাজির হন। সঙ্গে ছিলেন ফিফা ফিফপ্রোর বিশ্ব একাদশে জায়গা পাওয়া রামোস, টনি ক্রুস ও বর্ষসেরা গোলদাতার পুরস্কার হাতে জেমস রড্রিগুয়েজ। এদেরসহ সেরা দল নিয়েই মাঠে নেমেছিল রিয়াল। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। প্রথম লেগে দুই গোলের ব্যবধানে হারায় কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে রিয়ালের সামনে এমনিতেই ছিল কঠিন লক্ষ্য। ম্যাচের শুরুতে সেটা হয়ে যায় আরও কঠিন। রক্ষণের ভুলে প্রথম মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে তারা। মাঝ মাঠের কাছাকাছি থেকে পর্তুগীজ ডিফেন্ডার পেপের ভুলে এ্যান্টোনিও গ্রিজম্যান বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ক্ষিপ্র গতিতে ছুটে গিয়ে ডি বক্সের ডানদিক দিয়ে ঢোকা ফার্নান্ডো টোরেসকে দারুণ পাস দেন। ঠা-া মাথায় গোল করেন তিনি। ২০০১ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত এ্যাটলেটিকো হয়ে রিয়ালের মাঠে মোট ৮ ম্যাচ খেললেও কখনও গোল করতে পারেননি টোরেস। দ্বিতীয় মেয়াদে শৈশবের দলে ফিরে তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নেমেই সে অপূর্ণতা ঘোচান তিনি। ম্যাচ শেষে টোরেস বলেন, আমি খুব খুশি। এই ম্যাচ, এই পর্বের ফল নিয়ে আমরা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতে পারি। শুরুতেই গোল পাওয়ায় আমরা যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে ম্যাচটা খেলতে পেরেছি। ২০ মিনিটে রামোস গোল করে রিয়ালকে সমতায় ফেরান। এরপর ৪৬ মিনিটে টোরেস দ্বিতীয় গোল করলে রিয়ালের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। ৫৪ মিনিটে রোনাল্ডো দারুণ হেডে গোল করে ফের রিয়ালকে সমতায় ফেরালেও দলের বিদায় রুখতে পারেননি।
×