ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আজ আবার অনুশীলনে নামছেন মাশরাফিরা

প্রকাশিত: ০৬:২৯, ১৭ জানুয়ারি ২০১৫

আজ আবার অনুশীলনে নামছেন মাশরাফিরা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আসন্ন বিশ্বকাপের জন্য গত সোমবার থেকেই অনুশীলন শুরু করেছিল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। টানা তিনদিন অনুশীলন শেষে গত দু’দিন বিশ্রামে ছিলেন ক্রিকেটাররা। তবে আবারও শুরু হচ্ছে সেই অনুশীলন। মূলত অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের উইকেটের ধরন অনুসারে সেভাবেই এই অনুশীলন চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আগামী বিশ্বকাপ এ দুই দেশেই যৌথভাবে আয়োজিত হবে। এ দুটি দেশে বাউন্সি আর গতিময় উইকেটের কথা মাথায় রেখে সে জন্য প্রধান কোচ চান্দিকা হাতুরাসিংহে উইকেটে পাথর বিছিয়ে ব্যাটিং-বোলিং করিয়েছেন। শর্ট অব লেন্থ বলে ব্যাটসম্যানদের খেলার দক্ষতা বাড়ানোর চেষ্টা হয়েছে। আজ আবারও দক্ষতা বাড়ানোর অনুশীলন শুরু হচ্ছে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে সকাল থেকেই। অস্ট্রেলিয়ায় অস্ত্রোপচার শেষে দেশে ফিরে আজ বাংলাদেশ ওপেনার তামিম ইকবালের অনুশীলনে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে। ব্যাট হাতে দেখা যেতে পারে তাকে। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এভাবেই অনুশীলন চালিয়ে যাবেন মাশরাফি বিন মর্তুজারা। এর দু’দিন পরই অস্ট্রেলিয়া যাত্রা করবে বাংলাদেশ দল। তিনদিনের অনুশীলন শেষে ক্রিকেটাররাই জানিয়েছেন মূলত নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। আর কোচ হাতুরাসিংহেও নতুন করে কোন কিছু প্রয়োগে মনোযোগী হননি। কারণ বিশ্বকাপ প্রায় চলে এসেছে। নতুন কোন কৌশল ক্রিকেটারদের রপ্ত করাতে গেলে তা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তাই প্রতিটি ক্রিকেটারের নিজস্ব শক্তিমত্তা, যোগ্যতা আর দুর্বলতা নিয়েই কাজ করছেন তিনি। ক্রিকেটারদেরও পরামর্শ দিয়েছেন নিজ দক্ষতা বাড়ানোর দিকে মনোযোগী হতে। এ বিষয়ে তরুণ ক্রিকেটার সৌম্য সরকার বলেছিলেন, ‘এখন যেহেতু বিশ্বকাপের কাছাকাছি চলে এসেছে। নতুন কিছু শেখানো হচ্ছে না। যার যেটা শক্তিশালী পয়েন্ট সেটা নিয়েই কাজ করা হচ্ছে।’ অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের উইকেটের পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন রকমের। উইকেটে বল পড়ার পর বেশ দ্রুতবেগে স্কিড করে আসে বলটা। যথেষ্ট বাউন্সও আছে। আর শর্ট অব লেন্থ বলেই বাংলাদেশী ক্রিকেটারদের মূল দুর্বলতা। সেজন্য সেসব দিকেই মনোযোগ দেয়া হয়েছে গত তিনদিনের অনুশীলনে। উইকেটে পাথর বিছিয়ে দেয়া হয়েছে। টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং করানো হয়েছে দীর্ঘক্ষণ নতুন বলে। উইকেটে পাথর দিয়ে এমন অনুশীলন করার কারণ হিসেবে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান এনামুল হক বিজয় বলেছিলেন, ‘উইকেটটা একটু স্কিড করে। ব্যাটে খুব দ্রুতবেগে আসে। এ জন্যই এটা করা। উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নেয়া। উইকেটে যদি বাউন্স থাকে; শুরুতে ব্যাটিং করার সময় স্কিড করে। এই জিনিসটা করলে আমাদের ওখানকার কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সুবিধা হবে।’ দুই সেশনে ব্যাটিং-বোলিং অনুশীলন করা হয়েছে। নতুন বলে পেসারদের বোলিংয়ে টপঅর্ডারদের ব্যাটিং অনুশীলনে মূলত হুক, পুল এবং স্কয়ার কাট করার ওপর জোর দেয়া হয়েছে অনুশীলনে। আর পুরনো বলে দ্বিতীয় সেশনে মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যানদের অনুশীলন করানো হয়েছে পেসার এবং স্পিনারদের বলে। অধিকাংশ সময় বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানদের সøগ ওভারগুলোয় রান দ্রুত তোলার ক্ষেত্রে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়েছে। এ কারণে সøগ ওভারে কিভাবে রান বাড়ানোর মতো ব্যাটিং করা যায় সেসব অনুশীলনও করা হয়েছে। তবে টপঅর্ডারদের জন্য খুব বেশি মনোযোগ দেয়া হয়েছে উইকেটে টিকে থাকার দিকেও। উইকেটে থাকতে পারলেই রান করা সম্ভব এমন নীতিকে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে এনামুল বিজয় বলেন, ‘যখন আমি উইকেটে থাকি বল কিছু নষ্ট করলেও আমার মনে হয় দলের রানও আড়াই শ’র ওপরে থাকে। আমার উইকেটে থাকাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমি উইকেটে থাকার চেষ্টা করব।’ আগামী কয়েকদিন এভাবেই অনুশীলন চালিয়ে যাবেন ক্রিকেটাররা। আজ থেকে সেই অনুশীলন আবারও শুরু হচ্ছে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে সকাল থেকে।
×