ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশে আসছেন ম্যারাডোনা

প্রকাশিত: ০৬:২৬, ১৭ জানুয়ারি ২০১৫

বাংলাদেশে আসছেন ম্যারাডোনা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিশ্ব ফুটবলের জীবন্ত কিংবদন্তি। অসাধারণ সব কীর্তি গড়ে নিজেকে নিয়ে গেছেন ইতিহাসের সোনালি পাতায়। তাই দিয়েগো ম্যারাডোনার বাংলাদেশে আসার ব্যাপারটি নিয়ে ছিল ঘোর সংশয়। তবে সংশয়ের কালো মেঘ কেটে দিলেন ভারতের সেলিব্রেটি ম্যানেজমেন্ট (সিএমজি) গ্রুপের প্রধান নির্বাহী ভাস্বর গোস্বামী। শুক্রবার দুপুরে এক বিবৃতিতে তিনি জানান, বাংলাদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ফুটবল টুর্নামেন্টের চেয়ারম্যান হতে রাজি হয়েছেন আর্জেন্টাইন ফুটবলের এই জাদুকর। এর ফলে বাংলাদেশের ফুটবলের সঙ্গে যুক্ত হতে যাচ্ছেন ৫৪ বছর বয়সী দিয়েগো ম্যারাডোনা। গত ডিসেম্বরে শেষ হয় ভারতের ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ফুটবল টুর্নামেন্ট আইএসএল। সেই আদলে বাংলাদেশেও একটি ফুটবলের জমজমাট আসর আয়োজনের কথা ভাবে ভারতীয় একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান। এরপর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে) প্রস্তাবও দেন তারা। কিন্তু প্রস্তাবের জবাবে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই বলেননি বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। প্রস্তাবে সেলিব্রেটি ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ এটাও জানায় যে, এই আসরের চেয়ারম্যান করা হবে কিংবদন্তি ফুটবলার দিয়েগো ম্যারাডোনাকে। আনা হবে ইউরোপ ও লাতিন ফুটবলের বেশকিছু তারকা ফুটবলারও। দেশের সাতটি বিভাগ ছাড়াও ময়মনসিংহ জেলার নামে আটটি দল গড়া হবে। তবে ম্যারাডোনা ফ্র্যাঞ্জাইজিভিত্তিক লীগের চেয়ারম্যান হবেন কী না সেটাই ছিল ভক্ত-অনুরাগীদের আগ্রহের মূল কেন্দ্র। তবে শুক্রবার সে বিষয়টি ভারতের আইসিএল পরিচালনা করা গ্রুপটি নিশ্চিত করায় চলতি বছরের শেষ দিকেই বিশ্বকে চমকে দিতে পারে বাংলাদেশ। তবে সিএমজি এর আগেও কিছু চমক দেখিয়েছে। ২০১১ সালে প্রথমবারের মতো বাফুফে আর্জেন্টিনা এবং নাইজেরিয়ার মধ্যকার আন্তর্জাতিক যে প্রীতি ম্যাচের আয়োজন করেছিল। তার সহায়তা করেছিল এই সিএমজি। এবার তারাই বাংলাদেশে দিয়েগো ম্যারাডোনাকে আনার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন। প্রাথমিক প্রস্তাবে জানানো হয়, এ লীগে অংশ নেবে মোট আটটি দল। প্রত্যেক দলেই অংশ নেবেন বিশ্ব ফুটবলের নামী-দামী কোচ এবং খেলোয়াড়। দুই দশকেরও বেশি সময় আগে আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানান ম্যারাডোনা। আর্জেন্টিনার হয়ে ৯১ ম্যাচ খেলে প্রতিপক্ষের জালে ৩৪ বার বল জড়িয়েছেন তিনি। এই সময়ের মধ্যে চারটি বিশ্বকাপ খেলেন ম্যারাডোনা। ১৯৮৬ সালে তার একক নৈপুণ্যেই বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পায় আর্জেন্টিনা। খেলোয়াড় হিসেবে বুটজোড়া তুলে রাখার পর কোচ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। নিজের দেশ আর্জেন্টিনা ছাড়াও আল ওয়াসলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। কিন্তু কোচ হিসেবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি বার্সিলোনা, নেপোলি এবং বোকা জুনিয়র্সে দ্যূতি ছড়ানো দিয়েগো ম্যারাডোনা।
×