ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সিরাজগঞ্জে আওয়ামী লীগ এখন অনেক সংগঠিত

প্রকাশিত: ০৩:১৬, ১৬ জানুয়ারি ২০১৫

সিরাজগঞ্জে আওয়ামী লীগ এখন অনেক সংগঠিত

স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ ॥ বিএনপি-জামায়াত জোটের হরতাল অবরোধের নামে দেশব্যাপী সন্ত্রাস, নাশকতা ও ধ্বংসাত্মক কর্মকা-ের প্রতিরোধে অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় সিরাজগঞ্জে আওয়ামী লীগ এখন অনেক সংগঠিত এবং শক্তিশালী। রাজপথে তাদের সরব উপস্থিতি তারই প্রমাণ । রাজনৈতিক কর্মসূচীর নামে রাজপথে যে কোন নাশকতা মোকাবেলায় দলীয় নেতাকর্মীরা একযোগে মাঠে থাকছে। শুধু জেলা সদর নয়, কাজীপুর, বেলকুচি, উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর এবং তাড়াশসহ দলের ১২ সাংগঠনিক থানার নেতাকর্র্মীরা উজ্জীবিত হয়ে উঠেছে। জেলার প্রতিটি ইউনিটের নির্বাচনে পুরনো এবং নতুনের সমন্বযে গঠিত কমিটি সক্রিয় ভূূমিকা পালন করছে। জেলায় ১৪ দলীয় জোটও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। যে কারণে ১৩ দিনের হরতাল অবরোধে বিচ্ছিন্ন দু’একটি ঘটনা ছাড়া বড় কোন ঘটনা ঘটেনি। যেমনটি ঘটেছিল ২০১৩ সালে। সে সময় সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চ-িদাসগাতিতে ২ জন বেলকুচিতে ৪ জন, উল্লাপাড়ায় একজনসহ মোট সাতজন নিহত হয়েছিল। বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছিল আন্দোলনকারীরা। নিত্যদিন হামলা ভাংচুরের ঘটনায় সাধারণ মানুষ থেকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও ছিল আতঙ্কে। এদিকে বিএনপি-জামায়াত কর্মসূচী ঘোষণা করে নেতাকর্মীরা মাঠে না থাকায় কর্মসূচীতে দুর্বৃত্তায়ন শুরু হয়েছে। বাসে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা, গাড়িতে ঢিল ছোড়া, গুপ্ত হামলাসহ নানা নাশকতায় মানুষ বিরোধী দলের কর্মসূচীর প্রতি বিরূপ মনোভাব পোষণ করছে। শান্তিপ্রিয় মানুষের শান্তি বিনষ্টের জন্য জনগণ বিরোধীদল বিএনপি জামায়াতের আন্দোলন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছে। বাসে আগুন দিযে মানুষ হত্যা, গাড়িতে ঢিল ছোড়া, ট্রাক পোড়ানো, গুপ্ত হামলা কোন রাজনৈতিক কর্মসূচীর আওতায় পড়ে না বলে মনে করছে সাধারণ মানুষ। ইতোমধ্যেই জনগণের সহায়তায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নাশকতা করাকালীন সময়ে বিএনপি-জামায়াতের তিন কর্মীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে। গত ১২ দিনে পুলিশ জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে দেশী-বিদেশী অস্ত্রসহ বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের শতাধিক কর্মীকে গ্রেফতার করেছে বলে পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে জানা গেছে। ফটিকছড়িতে তিন বনকর্মী অপহৃত নিজস্ব সংবাদদাতা, ফটিকছড়ি, ১৫ জানুয়ারি ॥ উপজেলার কর্ণফুলী চা-বাগানের নিকটে পাহাড়ী এলাকা দূইদ্দ্যেছড়ি এলাকা থেকে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ (ইউপিডিএফ) বুধবার সন্ধ্যায় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্থানীয় বন বিভাগের তিন কর্মচারীকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। এরা হলো- এজাহার মিয়া (৪৫), হোসেন বলি (৪৭) এবং আইযুব বলি (৪৮)। স্থানীয় খিরাম সেনা ক্যাম্প, সর্ত্তা বনবিট এবং পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন। সর্ত্তা বনবিট কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক জানান, অপহৃত তিন কর্মচারী দীর্ঘদিন ধরে অস্থায়ীভিত্তিতে বনে কাজ করে আসছিল। নিত্যদিনের মতো তারা স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে গেলে বুধবার সন্ধ্যায় পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে নিয়ে যায়। তাদের বাড়ি উপজেলার নানুপুর ঢালকাটা গ্রামে। সেনা ক্যাম্প সূত্রে জানানো হয়, যেহেতু ঘটনাস্থলটি ক্যাম্পবহির্ভূত এলাকায়, সেহেতু এ ব্যাপারে বন বিভাগ অপহৃতদের উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজ উদ্দিন জানান, অপহৃতদের মুক্ত করার জন্য পাহাড়ী এলাকায় অভিযান চালানো হচ্ছে।
×