স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ কিশোরীগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার ও অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। খাস জমি বন্দোবস্ত থেকে, খারিজের নামে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে। ফলে পদে পদে হয়রানির শিকার হচ্ছে ভূমিহীনরা। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ থেকে জানা গেছে, উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার রিপন কুমার ও অফিস সহকারী মামুনুর রশীদ খাস ও অর্পিত সম্পত্তি বরাদ্দ ও পুনর্বরাদ্দ দেয়ার নামে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা এবং দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে অসহায় মানুষজন কে জিম্মি করে ফেলেছে।
উপজেলা সদরের চেয়ারম্যানপাড়ার আলিমুদ্দিনের ছেলে আজিমুদ্দিন তার পূর্বের অর্পিত সম্পত্তির বরাদ্দের দেড় শতক জমিতে ৮ সদস্যের পরিবার নিয়ে বসবাসে কষ্ট হওয়ায় তিনি আরও হাফ শতক জমি বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করেন উপজেলা ভূমি কর্মকর্তার কাছে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি কমল কুমার ঘোষ তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অফিসের সার্ভেয়ার রিপন কুমারকে দায়িত্ব দেন। আর এ জন্য সার্ভেয়ার রিপন কুমার ২০ হাজার টাকা দাবি করে পান দোকানি আজিমুদ্দিনের কাছে। কিন্তু আজিমুদ্দিন ১০ হাজার টাকা যোগাড় করে সার্ভেয়ার রিপন কুমার দেয়। এখন আরও ১০ হাজার টাকা দিতে না পারায় তার নামে অর্ধ শতক জমি বরাদ্দ না দিয়ে তাকে অফিস থেকে বের করে দিয়েছে।
এদিকে একই পাড়ার ফজলুল হকের ছেলে নূরুল হক বিপ্লবের পিতার নামে ৭ শতক অর্পিত জমি বরাদ্দ ছিল। পিতার মৃত্যুর পর বিপ্লবরা দুই ভাই সাড়ে তিন শতক করে সম্পত্তি নিজ নিজ নামে বরাদ্দের জন্য আবেদন করে। কিন্তু এ জন্য উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার রিপন কুমার ও অফিস সহকারী মামুনুর রশীদ ২০ হাজার করে ৪০ হাজার টাকা দাবি করেন। এর মধ্যে অফিস সহকারী ও সার্ভেয়ার ১০ হাজার টাকা করে ২০ হাজার টাকা নিয়েছে। কিন্তু আজও তাদের দুই ভাইয়ের নামে জমি বরাদ্দ দেয়া হয়নি। এ ব্যাপারে সার্ভেয়ার রিপন কুমার ও অফিস সহকারী মামুনুর রশীদ বলেন তাদের বিরুদ্ধে অনিত অভিযোগ সঠিক নয়। লিখিত অভিযোগ পেয়ে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি কমল কুমার ঘোষ বলেন, বিষয়গুলো তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: