ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে পুলিশ সেজে ছিনতাই, ৬ জন পাকড়াও

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ১৫ জানুয়ারি ২০১৫

চট্টগ্রামে পুলিশ সেজে ছিনতাই, ৬ জন পাকড়াও

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রামে ভুয়া পুলিশের দল ধরা পড়ল আসল পুলিশের হাতে। বেশ কিছুদিন ধরে সংঘবদ্ধভাবে এই ভুয়া পুলিশের দল কর্ণফুলী ব্রিজ এলাকায় গ্রেফতারের নামে ছিনতাই এবং চাঁদাবাজিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে দলটি একই কায়দায় অপরাধ করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় বাকলিয়া থানার একটি সারপ্রাইজ চেকপোস্টে। ধরা পড়ে ভুয়া পুলিশ চক্রের ৬ সদস্য। বাকলিয়া থানা পুলিশের কাছে তারা দীর্ঘদিন ধরে সিএনজি টেক্সিযোগে ছিনতাই এবং চাঁদাবাজির ঘটনা স্বীকার করে। উদ্ধার করা হয় হাতকড়া, ওয়াকিটকিসহ কিছু পুলিশী সরঞ্জাম। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সংঘবদ্ধ চক্রটি ডিবি পুলিশ পরিচয়ে শাহ আমানত সেতু সংযোগ সড়কে যাত্রী, পথচারী এবং বিভিন্ন লোকজনকে আটক করে গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা, মোবাইল ফোনসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনতাই করত। তারা নানাভাবে চাঁদাবাজির ফাঁদও পেতেছিল। গত কয়েক বছর ধরে এ ধরনের তৎপরতায় লিপ্ত ছিল সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্যরা। মঙ্গলবার রাতে সুজন দাশ নামে একজনকে প্রতারণার মাধ্যমে আটক এবং ছিনতাইয়ের জন্য অন্যত্র সিএনজি টেক্সিযোগে নেয়ার সময় ধরা পড়ে যায় বাকলিয়া থানা পুলিশের চেকপোস্টে। ভুয়া পুলিশ দলের ৪ সদস্যসহ সুজনকে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টার সময় বাকলিয়া থানার তুলাতুলিতে সারপ্রাইজ চেকপোস্টের মুখে পড়ে যায়। সুজন কালামিয়া বাজারে বান্দরবান যাওয়ার উদ্দেশ্যে সন্ধ্যায় তার বন্ধুসহ অপেক্ষা করছিল। কিন্তু ডিবি পরিচয় দিয়ে ঐ ছিনতাইকারীরা তাকে গ্রেফতার করে সিএনজি টেক্সিতে তুলে নেয়। কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণপারে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টার সময় ঐ চেকপোস্টের মুখোমুখি হলে সুজন উপস্থিত পুলিশকে সহজ স্বীকারোক্তি দিয়ে জানায়, আমাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমার কোন অপরাধ নেই। বিষয়টি আসল পুলিশের নজরে আসে। তাৎক্ষণিকভাবে তারা সিএনজি টেক্সিটি ঘিরে ফেলে। ভুয়া পুলিশের দল কিছু বুঝে ওঠার আগেই আসল পুলিশের হাতে পাকড়াও হয়ে যায়। তবে সিএনজি চালক ওসমান গনি পালিয়ে যায়। পুলিশ ঐ সিএনজি থেকে ৪ অপরাধী হুমায়ুন কবির, ইব্রাহিম খলিল প্রকাশ জসিম, ইমরান আলী ও মোঃ মনাকে গ্রেফতার করে। পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শাহজাহান হোসেন মুন্না ও ইমরান হোসেন শওকতকে গ্রেফতার করে। অপরাধ চক্রের মূল হোতা হুমায়ুন কবির। সে ২০১২ সালে বিদেশ থেকে ওয়ার্লেস সেট ও পুলিশী সরঞ্জাম সংগ্রহ করে ভুয়া পুলিশ পরিচয়ে অপরাধে নেমে পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে চক্রটির হাতে অনেকে নিগৃহীত হয়েছে। ঐ দিন সুজনের কাছ থেকে তারা ৪ হাজার ৮শ’ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এ ব্যাপারে বাকলিয়া থানা পুলিশ এই ভুয়া পুলিশ চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
×