ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পুঁজিবাজারে ফের সূচকের পতন

প্রকাশিত: ০৪:৩৩, ১৫ জানুয়ারি ২০১৫

পুঁজিবাজারে ফের সূচকের পতন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ টানা দুই দিনের সূচকের উর্ধগতির পর বুধবার দেশের উভয় পুঁজিবাজারে মূল্যসূচক কমেছে। বেশিরভাগ কোম্পানির দরপতনের দিনে প্রধান বাজার ঢাকা স্টক একচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। মূলত বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর হিংসাত্মক কর্মসূচীর কারণে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বাজার পর্যবেক্ষণে থাকায় সূচক ও লেনদেন কমেছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। তাঁদের মতে, অবরোধ ও জ্বালাও-পোড়াওয়ের মতো কর্মসূচীর কারণে বড় ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা আরও কিছুটা সময় নিতে চাচ্ছেন বিনিয়োগের জন্য। যাই হোক বুধবার ডিএসইর ৬০ ভাগ কোম্পানির দর হারানোর দিনে সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট। বাজার পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, সকালে সূচকের উর্ধগতির মধ্যদিয়ে লেনদেন শুরুর পর বুধবার দিনশেষে ডিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে ১৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে চার হাজার ৯শ’ ৫১ পয়েন্টে। সেখানে লেনদেন হওয়া ৩শ’ ৭টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৮৪টির, কমেছে ১শ’ ৮৫টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮টি কোম্পানির শেয়ার দর। সারাদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩শ’ ৯০ কোটি ৬৪ লাখ ১২ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। মঙ্গলবার ডিএসইর সার্বিক সূচকের অবস্থান ছিল চার হাজার ৯শ’ ৬৯ পয়েন্টে। ওইদিন লেনদেন হয়েছিল চার শ’ চার কোটি ৯৭ লাখ ৮৬ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। সে হিসাবে বুধবার ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ১৪ কোটি ৩৩ লাখ ৭৪ হাজার টাকা বা ৩.৫৪ শতাংশ। দিনটিতে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমসের। দিনভর এ কোম্পানির ৪৩ লাখ ৮৮ হাজার ১শ’ ৪৩টি শেয়ার ২৩ কোটি ৫৫ লাখ নয় হাজার টাকায় লেনদেন হয়েছে, যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ৬.০২ শতাংশ। এছাড়া আইডিএলসির ১৩ কোটি ৩২ লাখ, অগ্নি সিস্টেমসের ১০ কোটি ৯৪ লাখ, এ্যাকটিভ ফাইনের ১০ কোটি ৮১ লাখ, অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের ১০ কোটি সাত লাখ, ডেসকোর আট কোটি ৩০ লাখ, সাইফ পাওয়ারটেকের সাত কোটি ৪৬ লাখ, গ্রামীণফোনের সাত কোটি ৪৫ লাখ, সামিট এ্যালায়েন্স পোর্টের সাত কোটি তিন লাখ এবং স্কয়ার ফার্মার ছয় কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ডিএসইর দরবৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো- ম্যাকসন স্পিনিং, ওরিয়ন ইনফিউশন, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স, মেট্রো স্পিনিং, অলটেক্স, গ্লোবাল হেভি কেমিক্যাল, এ্যাপেক্স স্পিনিং, ইস্টার্ন কেবল কোম্পানি লিমিটেড ও এ্যাকটিভ ফাইন। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলোÑ কাসেম ড্রাইসেল, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ, বিকন ফার্মা, বেঙ্গল উইন্ডসর থার্মোপ্লাস্টিক, লিব্রা ইনফিউশন, ফু-ওয়াং, খুলনা প্রিন্টিং প্যাকেজিং কোম্পানি লিমিটেড, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং ও দেশ গার্মেন্টস। দিনশেষে অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক ৩৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে নয় হাজার ২শ’ পাঁচ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২শ’ ৪৩টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৬২টির, কমেছে ১শ’ ৫২টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টি কোম্পানির। সেখানে লেনদেন হয়েছে ২৬ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের দিন এ সময়ে লেনদেন হয়েছিল ৩০ কোটি ৭৯ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
×