স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ টানা অবরোধে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে রাজশাহী অঞ্চলের রাতের মহাসড়ক। দিনে সুবিধা করতে না পেরে রাতের অন্ধকারে অবরোধকারীরা চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে সড়ক-মহাসড়কে নাশকতা চালাচ্ছে। অবরোধকারীদের এই চোরাগোপ্তা হামলা ঠেকাতে পারছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বিশেষ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসান থেকে রাজশাহীর পুঠিয়া পর্যন্ত মহাসড়ক চরম ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। এক সপ্তাহ ধরে অবরোধকারীদের অব্যাহত চোরাগোপ্তা হামলায় সাধারণ যানবাহন তো দূরের কথা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রাতে এ মহাসড়কে চলাচল করতে ভয় পাচ্ছে। যানবাহনে বোমা হামলা ও অগ্নিসংযোগসহ এ মহাসড়কের দুই পাশের কয়েক শ’ গাছও কেটে ফেলেছে অবরোধকারীরা। এদিকে নাশকতার আশঙ্কায় সোমবার রাত থেকে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে রাজশাহী নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থেকে পুঠিয়ার বেলপুকুর পর্যন্ত শহর বাইপাসের ১২ কিলোমিটার মহাসড়কে। ফলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী সকল যানবাহন শহরের ভেতর দিয়ে চলাচল করছে। রাজশাহী পরিবহন গ্রুপের তথ্য মতে, বিএনপি-জামায়াতের অবরোধের এক সপ্তাহে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহাসড়কে ১২টি পণ্যবাহী গাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি রাজশাহী ও চারটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়। যার মধ্যে নয়টি পুড়ানো হয়েছে রাতে কানসান থেকে পুঠিয়া মহাসড়কের ৯০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে। এছাড়াও এ মহাসড়কে শতাধিক পণ্যবাহী যানবাহন ভাংচুর করা হয়েছে। ইটপাটকেল, বোমা ও বল কাটায় যানবাহনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন প্রায় অর্ধশতাধিক গাড়ির চালক ও শ্রমিক। সোমবার রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর পরিদর্শন শেষে ফেরার পথে পুলিশ কর্মকর্তাদের গাড়ি বহরে বোমা হামলা চালায় অবরোধকারীরা। শিবগঞ্জের কায়লাবাড়িতে এই বোমা হামলায় আহত হন চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার বশির আহম্মেদের গাড়ির চালক মোজাম্মেল হোসেন। বোমার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় গাড়িটিও।
বরিশালে ১০ দোকান পুড়ে ছাই ॥ ক্ষতি ৫০ লাখ টাকা
স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ গভীর রাতে চার্জার ভ্যানের শর্টসার্কিট থেকে ভয়াবহ অগ্নিকা-ে দশটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে। এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে জেলার গৌরনদী উপজেলার সরিকল ইউনিয়নের সাঁকোকাঠী মিশুকস্ট্যান্ডে। বুধবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সরিকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনজুর হোসেন মিলন জানান, ওই স্ট্যান্ডের সুমন মীরার কাপড়ের দোকান থেকে বিদ্যুতের সাইড লাইন নিয়ে দেয়া চার্জার ভ্যানের শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। মুহূর্তের মধ্যে আগুন পার্শ¦বর্তী দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে গৌরনদী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা স্থানীয়দের সহায়তায় প্রায় দু’ঘণ্টা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ততক্ষণে স্ট্যান্ডের সুমন মীরার কাপড়ের দোকান, কমল দাসের চালের আড়ত, সাহস ঋণদান সমবায় সমিতির কার্যালয়, অমূল্য পোদ্দারের চায়ের দোকান, সুনীল পোদ্দারের গার্মেন্টস, শ্যামল শীলের ক্রোকারাইজ, গোকুল দাসের মুদি মনোহরী, আবুল কালাম আজাদের বইয়ের লাইব্রেরী ও জুতার দোকান সম্পূর্ণ এবং গৌতম সাধুর মুদি-মনোহরীর পাইকারির দোকান ও হোটেল আংশিক পুড়ে যায়।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: