ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

খালেদা ও অমিত শাহ্’র দশ মিনিট টেলি-আলাপের পূর্ণ বিবরণী

প্রকাশিত: ০৩:০৬, ১৫ জানুয়ারি ২০১৫

খালেদা ও অমিত শাহ্’র দশ মিনিট টেলি-আলাপের পূর্ণ বিবরণী

[খালেদা জিয়া ও ভারতীয় জনতা পার্টিপ্রধান অমিত শাহ’র দশ মিনিট টেলিফোনে যে বাতচিত হয় তার ভাষা ছিল কিছু হিন্দী, কিছু উর্দু ও কিছু ইংরেজী। গুগল ট্রান্সলেটর আবিষ্কার হওয়ার পাঁচ হাজার সাত শ’ তেরো বছর আগে সুরাটের আরব সাগর তীরের এক মুদি দোকানদারের উদ্ভাবিত সব ভাষার ট্রান্সলেটরের মাধ্যমে ওই ফোনালাপটি বাংলায় অনুবাদ করা হয়। সাড়ে পাঁচ হাজার বছরের বেশি আগের ট্রান্সলেটরের মাধ্যমে অনুবাদের ফলে মূল বাংলা অনুবাদটিতে সংস্কৃত, মৈথলী ও পালি শব্দের প্রাধান্য ছিল। পাঠকের সুবিধার্থে শুধুমাত্র সংস্কৃত, মৈথলী ও পালি শব্দগুলোর পরিবর্তে ব্যবহারিক বাংলা শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া পুরো টেলি-বাতচিতটিতে আর কোন পরিবর্তন আনা হয়নি।] অমিত শাহ্’র অফিস : টেলিফোনে ক্রিং ক্রিং শব্দ। অফিস এসিস্ট্যান্ট : হ্যালো, হ্যালো.. মারুফ কামাল খান : অমিত স্যার আছেন, ঢাকা থেকে বলছি, ম্যাডাম কথা বলবেন। অমিত শাহ্’র অফিস এসিস্ট্যান্ট : লাইনে থাকুন, এরপরে টেলিফোনের স্পীকারটি হাতে চেপে ধরে, অফিস এসিস্ট্যান্ট অমিত শাহ্’র সেক্রেটারিকে বলেন, স্যার ঢাকা থেকে এক ম্যাডাম অমিতজীকে চায়। অমিত শাহ্’র সেক্রেটারি ধমকের সুরে বলেন, আরে গর্দভ, ঢাকায় লাখ লাখ ম্যাডাম আছে। কোন্্ ম্যাডাম, কী জন্যে কথা বলতে চায় আগে শোন। এবার সেক্রেটারির অফিস এসিস্ট্যান্ট স্পীকারের মুখ থেকে হাত সরিয়ে বলে, হ্যালো, কোন্ ম্যাডাম? কী জন্যে কথা বলবেন? মারুফ কামাল খান : ম্যাডাম, ম্যাডাম, খালেদা জিয়া, অমিত স্যারকে বলুন ম্যাডামের শরীর খারাপ এ জন্যে কথা বলতে চান। অমিত শাহ্’র সেক্রেটারির এসিস্ট্যান্ট আবার টেলিফোনের স্পীকারে হাত রেখে অমিত শাহ্র সেক্রেটারিকে বলে, স্যার ম্যাডামের নাম বলছে খালেদা জিয়া, ওনার শরীর খারাপ তাই অমিতজীর সঙ্গে কথা বলতে চান। অমিত শাহ্র সেক্রেটারি এবার ধমক দিয়ে বলেন, আরে তুই তো আচ্ছা সময় নষ্ট করছিস, বলে দে, উনি ভুল নাম্বারে ফোন করেছেন। এটা কোন ডাক্তার অমিত শাহ্’র চেম্বার নয়। অমিত শাহ্র সেক্রেটারি আবার টেলিফোনের স্পীকার থেকে হাত সরিয়ে বলেন, সাহেব আপ ভুল নাম্বারে ফোন করেছেন। এটা ডাক্তার অমিত শাহ্র চেম্বার নয়। মারুফ কামাল খান : স্যার, স্যার আমার কথা শুনুন, আপনি টেলিফোন রেখে দিবেন না। স্যার আমার কথা শুনুন..... ওদিকে অমিত শাহ্র অফিস থেকে টেলিফোন রেখে দেয়। খালেদা জিয়ার গুলশান অফিস থেকে আবার টেলিফোনে ডায়াল করা হতে থাকে। এবার মারুফ কামাল খানের পাশে এসে বসেন শমসের মবিন চৌধুরী। দুজনেই টেলিফোন সেটটি নিয়ে খালেদা জিয়ার কাছাকাছি যান। যাতে টেলিফোন লাইন রেখে দেবার আগেই খালেদা জিয়া কথা বলতে পারেন। মারুফ কামাল খান আবার সংযোগ পান। অমিত শাহ্’র সেক্রেটারির অফিস এসিস্ট্যান্ট : হ্যালো, হ্যালো। মারুফ কামাল খান : স্যার আপনি টেলিফোনটা রাখবেন না, টেলিফোনটা রাখবেন না প্লিজ, আমাদের ম্যাডাম বিজেপির সভাপতি অমিত স্যারের সঙ্গে কথা বলতে চান। ম্যাডামের শরীর খুবই খারাপ। আপনি, টেলিফোনটি দয়া করে অন্য কাউকে দেন। টেলিফোন রাখবেন না। অমিত শাহ্’র সেক্রেটারির অফিস এসিস্ট্যান্ট টেলিফোনের স্পীকার হাতের তালু দিয়ে চেপে রেখে তার স্যারকে বলে, স্যার আবার ঢাকা থেকে খালেদা ম্যাডাম ফোনে কথা বলতে চান, ওনার শরীর খারাপ, উনি আমাদের নেতা অমিতজীর সঙ্গেই কথা বলতে চান। এবার অমিত শাহ্’র সেক্রেটারি একটু চিন্তিত হলেন। মাথা চুলকিয়ে তার অফিস এসিস্ট্যান্টকে বলেন, রাখ লাইন কাটিস না, আমি অমিতজীর সঙ্গে কথা বলে নেই আগে। তিনি ইন্টারকমে অমিত শাহকে ফোন করলেন, ইন্টারকমের ও প্রান্ত থেকে অমিত শাহ্ বলেন, আমি তো এখন অফিস থেকে বেরুব, তোমার কী হলো? না স্যার, একটা জরুরী বিষয়, তাই তাড়াতাড়ি ইন্টারকমেই আপনাকে জানাচ্ছি। ঢাকার খালেদা ম্যাডাম, সম্ভবত বাংলাদেশের জামায়াত-বিএনপি নেতা খালেদা জিয়া, ওনার শরীর খারাপ এ জন্যে উনি বার বার আপনাকে ফোন করছেন। এবার অমিত শাহ বেশ বিরক্ত গলায় বলেন, আরে তোমাদের মতো লোক যদি আমার পাশে থাকে তাহলে কি আমি মোদিজীর আচ্ছে দিন আনতে পারব? তোমরা এইটুকু বোঝ না! উনি রং নাম্বারে ফোন করেছেন। অমিত শাহ্র সেক্রেটারির গলা আরও নরম; সপ্তমী বা পঞ্চমীতে নয়, একেবারে দ্বিতীয়া-তৃতীয়ায় নামিয়ে বললেন, স্যার আমি প্রথমবার তাই মনে করেছিলাম এবং পিয়নকে বলেছিলাম, ভুল নাম্বারে ফোন করেছেন জানিয়ে দিয়ে লাইন কেটে দিতে। কিন্তু তারপরে তারা আবার ফোন করে যখন বলল শরীর খারাপের বিষয় নিয়ে আপনার সঙ্গেই কথা বলতে চায়, তখন আমি বিষয়টির মূল উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে আপনাকে ইন্টারকমে জরুরী ফোন করলাম। অমিত শাহ্ আবার বিরক্ত, বললেন এর আবার মূল উদ্দেশ্য কী! অমিত শাহ্’র সেক্রেটারির আরও বিনয়ী গলা, স্যার এটা সম্পূর্ণ আমাদের মুম্বাইয়ের বিজ্ঞান কংগ্রেসের সাফল্য। আমি যতদূর জানি খালেদা জিয়া সৌদি, সিঙ্গাপুর, ইরান সব জায়াগাতে চিকিৎসা করিয়েছেন। কিন্তু কোন ফল পাননি। আমাদের বিজ্ঞান কংগ্রেসের সংবাদ পাবার পর তিনি ভারতীয় চিকিৎসা বিজ্ঞানের হাজার হাজার বছরের অতীত সাফল্যের খবর জানতে পেরেছেন। এ জন্যেই তিনি আপনাকে ফোন করেছেন। এবার অমিত শাহ্ স্বর নামালেন। বললেন, তাহলে এখন কী করবে? স্যার সে চিন্তা আমি ইতোমধ্যে করে ফেলেছি। আমি খালেদা ম্যাডামকে লাইন দেবার আগেই আমাদের আর এস এস-এর চিকিৎসা বিজ্ঞান শাখার প্রধান গুরুদেবকে টেলি-কনফারেন্সে সংযুক্ত করছি। যাতে খালেদাজীর চিকিৎসা সঙ্কট সমাধান দিতে আপনার কোন অসুবিধা না হয়। স্যার এখন কি আমি তাদের সঙ্গে কথা বলে আপনাকে লাইন দেব? অমিত শাহ্ বললেন, হ্যাঁ, লাইন দাও । তবে তুমিও টেলি-কনফারেন্সে সংযুক্ত থেকো। সেক্রেটারি : জি, স্যার, জি। অমিত শাহ্র সেক্রেটারি এবার তার অফিস সহকারীকে বলেন, এই ঢাকায় যিনি লাইনে আছেন তাকে বলো আমি কথা বলব, লাইন দাও। সেক্রেটারির অফিস এসিস্ট্যান্ট : হ্যালো, হ্যালো... মারুফ কামাল খান : জি স্যার, জি। সেক্রেটারির অফিস এসিস্ট্যান্ট : স্যার কথা বলবেন, লাইনে থাকুন। মারুফ কামাল খান : ‘জি স্যার, দেন স্যার।’ এবার মারুফ কামাল খান স্পীকারে হাত চাপা দিয়ে তাড়াতাড়ি শমসের মবিন চৌধুরীকে বলেন, স্যার আপনি কথা বলেন। অমিত শাহ্’র সেক্রেটারি : হ্যালো কে বলছেন? শমসের মবিন চৌধুরী : স্যার আমি শমসের মবিন চৌধুরী, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব, ম্যাডামের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা..... অমিত শাহ্র সেক্রেটারি : আমাকে তো বলা হলো, খালেদা ম্যাডামের শরীরের বিষয়ে তিনি কথা বলবেন..... শমসের মবিন চৌধুরী : জি, জি স্যার, ম্যাডাম কথা বলবেন, এই যে ম্যাডাম... খালেদা : হ্যালো অমিত শাহ্র সেক্রেটারি : খালেদা ম্যাডাম... খালেদা : জি, অমিত শাহ্র সেক্রেটারি : নিন, অমিতজীর সঙ্গে কথা বলুন। অমিত শাহ্ : নমস্তে, আপনার শরীরের অবস্থা কি? খালেদা : নমস্তে! হাসিনা আমার চোখে পিপার স্প্রে মেরেছে, এজন্য আমি চোখে প্রায় কিছু দেখতে পাচ্ছি না, (খালেদা খুক খুক করে একটু কাশি দেন, টিস্যু দিয়ে চোখ মোছেন) মাথা ব্যথায় ছিঁড়ে যাচ্ছে ... খালেদার লাইন হোল্ড হয়ে যায়, অমিত শাহ্ এবং আর এস এস-এর চিকিৎসা বিজ্ঞান শাখার প্রধান গুরুদেবের লাইন সচল হয়। অমিত শাহ্ : গুরুদেব উনি চোখে দেখতে পাচ্ছেন না এবং ওনার মাথা ছিঁড়ে যাচ্ছে। গুরুদেব : বুঝেছি, ছিঁড়ে যাচ্ছে না, অলরেডি ছিঁড়ে গেছে, উনি জানতে পারেননি। মা দুর্গার দ্বিতীয় ছেলের যে কেস এটাও একই। বলে দেও কোন অসুবিধা নেই। আমরা নতুন মাথার ব্যবস্থা করে দেব। নতুন মাথায় আর চোখ ও মাথা ব্যথার কোন সমস্যা থাকবে না। একেবারে ঘাড় থেকে বদলে দেব। যাতে ভবিষ্যতে কোন অসুবিধা না হয়। আমাদের প্লাস্টিক সার্জারি পাঁচ হাজার বছরের বেশি পুরনো। গণেশের প্লাস্টিক সার্জারি করতে সময় লেগেছিল পলকদ- মাত্র। এখানেও তার থেকে বেশি সময় লাগবে না। সঙ্গে সঙ্গে নতুন মাথা কাজ শুরু করে দেবে। কোন অসুবিধা নেই। গণেশের মতো হাতির মাথাই লাগিয়ে দেব। আবার খালেদা ও অমিত শাহ্র লাইন সচল হয়। অমিত শাহ : হ্যালো, আপনার কোন অসুবিধা নেই। আমরাই সব দেখব। খালেদা : দেখুন আমি মুখে যাই বলি না কেন, আমি আপনাদের প্রকৃত বন্ধু আর আপনার কথা শুনে বুঝছি, লোকজন যাই বলাবলি করুক না কেন, আপনারাই আমার প্রকৃত বন্ধু। নইলে হাসিনা আমাকে যেভাবে নাজেহাল করছে এ সময়ে এইভাবে বন্ধু ছাড়া কি সব দায়িত্ব কেউ নেয়! তা আমি এখন কী করব?.... অমিত শাহ : আপনি আমাদের এখানে চলে এলে আমরা প্লাস্টিক সার্জারি করে গণেশের মতো আপনার মাথায় হাতির মাথা লাগিয়ে দেব। খালেদা তাড়াতাড়ি টেলিফোনের স্পীকারটি হাতের তালু দিয়ে চেপে ধরে শমসের মবিন চৌধুরীকে বলেন, ওরা তো সব দায়িত্ব নিতে চাচ্ছে কিন্তু আমার মাথায় তো গণেশের মতো হাতির মাথা লাগিয়ে দিতে চায়! শমসের মবিন চৌধুরী শশব্যস্ত হয়ে বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক দরকার। অন্য কেউ কিছু করতে পারবে না সে তো বুঝতেই পারছেন। কথা চালিয়ে যান। খালেদা তাড়াতাড়ি বলেন, কিন্তু গণেশের মতো হাতির মাথা! গণেশ হিন্দুদের দেবতা না কি যেন? শমসের মবিন চৌধুরী তাড়াতাড়ি বলেন, ম্যাডাম তাহলে ওই হাতির মাথার বদলে অন্য কিছুর মাথার কথা বলেন? খালেদা : হ্যালো, দেখুন আমি তো ওই জামায়াত-ঠামাত নিয়ে রাজনীতি করি, হাতির মাথা হলে একটু.... অমিত শাহ্ : জি, রাজনীতির বিষয় তো, আচ্ছা একটু অপেক্ষা করুন... আবার খালেদা ও অমিত শাহ্র লাইনটি হোল্ড হয়ে যায়, অমিত শাহ ও গুরুদেবের লাইন সচল হয়। অমিত শাহ্ : গুরুদেব উনি তো হাতির মাথা লাগাতে একটু আপত্তি করছেন। উনি রাজনীতি করেন তো, মনে হয় হাতির মাথা ভারি হয়ে যায় বেশি। গুরুদেব : কোন অসুবিধা নেই। ওনাকে বলে দেও আমরা গাধার মাথা লাগিয়ে দেব। হাল্কাও হবে, উনিও রিলাক্সড থাকতে পারবেন। আবার অমিত শাহ্ ও খালেদার লাইন সচল হয়। অমিত শাহ : হ্যালো... খালেদা : জি, জি অমিতজী.... অমিত শাহ্ : আপনি কোন চিন্তা করবেন না, আমরা হাতির বদলে গাধার মাথা লাগিয়ে দেবার ব্যবস্থা করব। খালেদা জিয়া আবার টেলিফোনের স্পীকারে হাত চাপা দিয়ে শমসের মবিন চৌধুরীকে বলেন, ওরা তো গাধার মাথা লাগাতে চাচ্ছে। শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, ম্যাডাম ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক একান্তই জরুরী। তারেক সাহেবও দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করছেন। এ সুযোগ হাতছাড়া করা উচিত হবে না। আপনি রাজি হয়ে যান। খালেদা : হ্যালো অমিত শাহ্ : জি বলুন... খালেদা : দেখুন আপনারা আমার বন্ধু, যেটা ভালো বোঝেন তাই করেন। অমিত শাহ্ : তাহলে আপনি চলে আসুন। খালেদা : কিন্তু আসব কিভাবে, হাসিনা তো আমাকে ঘরের ভেতর আটকে রেখেছে। খালেদা ও অমিত শাহ্’র লাইন আবার হোল্ড হয়ে যায়। গুরুদেব ও অমিত শাহ্’র লাইন সচল হয়। অমিত শাহ : গুরুদেব, উনি গাধার মাথা লাগাতেই রাজি; কিন্তু হাসিনাজী নাকি ওনাকে ঘরে আটকে রেখেছেন, উনি আসতে পারছেন না। গুরুদেব : এটা কোন সমস্যা নয়। এ সমস্যার সমাধান তো ভারতীয় মুণি ঋষিরা লাখ লাখ বছর আগে করেছেন। যেগুলো এখন আমেরিকা ইউরোপের মূর্খরা কল্প বিজ্ঞানের নামে সিনেমা বানায়। আমরা ওনাকে ভস্ম করে এখানে নিয়ে আসব। এখানে আসার পরে উনি আবার ওনার দেহ ফিরে পাবেন। প্লাস্টিক সার্জারি হয়ে গেলে আবার ভস্ম করে ওখানে পাঠিয়ে দেব। ওনার ঘরের ভেতর ঢুকলেই নতুন মাথাসহ দেহ পেয়ে যাবেন। তবে একটা সমস্যা আছে, খালেদা হিন্দু না মুসলমান? অমিত শাহ্ : গুরুদেব উনি মুসলমানই হবেন। গুরুদেব : মুসলমানের ওপর এই ভস্ম বিদ্যা তো কার্যকর হবে না। এটা তো কেবল হিন্দুদের জন্য। তবে একটা কাজ করা যায়, আমরা যেটা শুরু করেছি। ওনাকে আমরা ভস্ম করার আগে হিন্দু করে নিতে পারি। অমিত শাহ্ : তাহলে তো বিষয়টিতে ওনার সম্মতির দরকার... গুরুদেব : এ বিষয়টি তুমি জেনে নেও তার কাছ থেকে। আবার খালেদা ও অমিত শাহ্’র ফোন লাইন সচল হয়। অমিত শাহ্ : হ্যালো.... খালেদা : জি, জি বলুন... অমিত শাহ্ : আমাদের ভারতীয় প্রযুক্তি দিয়ে আপনাকে ঘর থেকে বের করে আনা একেবারেই সহজ; কিন্তু একটু অসুবিধা হচ্ছে .... এই প্রযুক্তি শুধুমাত্র শুদ্ধাচারী হিন্দুর ক্ষেত্রে কার্যকর হয়। তবে আপনার জন্যে আমরা যে প্রক্রিয়া শুরু করেছি... খালেদা : দেখুন ভাই আপনারা তো আমার সব দায়িত্ব নিয়েছেন... অমিত শাহ ও খালেদার ফোন লাইন কেটে যায়। এর পরে খালেদার গুলশান অফিস থেকে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করা হয়; কিন্তু আর লাইন পাওয়া যায়নি। এদিকে বিষয়টি প্রেসে পাঠানোও জরুরী বলে সিদ্ধান্ত হয়। মারুফ কামাল খান বিষয়টি প্রেসকে জানিয়ে দেন যে, অমিত শাহ্্ টেলিফোনে ম্যাডামের শরীরের খোঁজখবর নিয়েছেন। [রাইট ব্রাদারদ্বয় জীবন বিপন্ন করে প্লেন আবিষ্কার করার লাখ বছর আগে ভারতীয় মুণি ঋষিরা এক লহমায় প্লেন আবিষ্কার করেছিলেন। যার ফলে তখন ভারতবর্ষে ঘরে ঘরে প্লেন ছিল। প্রযুক্তি এতই সহজ হয়ে গিয়েছিল যে, কেউ কেউ ধান ভাঙানো ঢেঁকিকে প্লেন বানিয়ে মহাকাশে চলে যেতেন। এমনকি তখন রকেটে চড়ে দেবতারা ডিনার বা লাঞ্চ করার জন্যে যখন তখন মর্ত্যে আসতেন। তবে দেবতারা সর্ষে ইলিশ খেতেন কিনা সেটা ঠিক জানা যায় না। মনে হয় খেতেন না। কারণ, ইলিশ তো বাংলায়, আর বাংলাতো পা-ববর্জিত দেশ। দেবতারাও একপেশে নীতি নিয়েছিল, ওরা সব পা-বের পক্ষে ছিল। যাহোক, ওই সময়ে ভারতের আকাশ ও মহাকাশের যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্যে উন্নত ট্রাফিক কন্ট্রোল যন্ত্রের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। তাই অতি উন্নত রাডার এবং স্যাটেলাইটও তখন মুণি ঋষিরা এক লহমায় আবিষ্কার করেছিলেন। পরবর্তীতে ভারতের পতিত দশার ফলে সে সব হারিয়ে যায়। সম্প্রতি হিন্দুত্বের শুদ্ধাচারের ফলে আবার সব ফিরে আসছে। ফিরে এসেছে সেই লক্ষ বছরের পুরনো স্যাটেলাইটও। ওই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পাওয়ার ফলে খালেদার গুলশান অফিস ও অমিত শাহ্’র অফিসের পূর্ণ চিত্র তুলে ধরা সম্ভব হলো।] [email protected]
×