ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

চসিকের হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করছে না ২ প্রতিষ্ঠান

প্রকাশিত: ০৩:৫২, ১৪ জানুয়ারি ২০১৫

চসিকের হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করছে না ২ প্রতিষ্ঠান

মাকসুদ আহমদ, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রামে সহরাধিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার জন্মলগ্ন থেকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করছে না। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের তালিকা করা হয়েছে সম্প্রতি চসিকের রাজস্ব বিভাগের পক্ষ থেকে। তবে এ তালিকায় এমন দুটি প্রতিষ্ঠানের নাম রয়েছে যা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যে সৃষ্টি হয়েছে। এ দুটি প্রতিষ্ঠান হলো- চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া পরিষদ ও চট্টগ্রাম আদালত সংলগ্ন বার এসোসিয়েসন। এ দুটি প্রতিষ্ঠান দীর্ঘ প্রায় ৩৫ বছর ধরে হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করেনি। কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে বার বার তাগাদা দেয়ার পরও তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো রাজস্ব বকেয়া রেখে কর্পোরেশনের আয় কমানোর পাঁয়তারা করছে। তালিকায় থাকা উল্লেখযোগ্য প্রথম ১০টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে প্রায় আড়াই কোটি টাকা হোল্ডিং ট্যাক্স বকেয়া রয়েছে। চসিকের রাজস্ব বিভাগের তালিকা থেকে পাওয়া গেছে, বৃহদায়তন প্রতিষ্ঠান ও বড় বড় করখেলাপীদের তালিকা তৈরি করেছে চসিক। চট্টগ্রাম জেলা বার এসোসিয়েসন হোল্ডিং নং-৯৭৬/৬৭৭ এর আওতায় জেলা আইনজীবী সমিতির কাছে ১৯৮২ সাল থেকে চলতি সন পর্যন্ত ৩৪ বছরে ৬৮ লাখ ৬৪ হাজার ৬৬৮ টাকা হোল্ডিং ট্যাক্স পাওনা হয়েছে চসিক। চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার (সিজেকেএস) কাছেও দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে বকেয়া পড়েছে হোল্ডিং ট্যাক্স। প্রতিবছরই কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে স্থাপনার পরিমাপ করা হয়। কিন্তু বার বার তাগাদা দেয়ার পরও রাজস্ব পরিশোধে পিছিয়ে রয়েছে। এ বিষয়ে সিজেকেএস দোটানায় ছিল তবে হাইকোর্টের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে রাজস্ব পরিশোধের জন্য। এ ব্যাপারে চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আহমদ উল্লাহ জনকন্ঠকে জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে রাজস্ব আদায়ের ব্যাপারে কথাবার্তা চলছে। কিন্তু চট্টগ্রাম জেলা বার এসোসিয়েসন রাজস্ব পরিশোধের বিষয়ে কোন ধরনের যোগযোগ রক্ষা করছে না। কর্পোরেশনের রাজস্ব আদায়ে ব্যাঘাত ঘটায় নগর উন্নয়ন বিঘিœত হচ্ছে। মাদারীপুরে লালসার শিকার কিশোরী নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর, ১৩ জানুয়ারি ॥ মাদারীপুরে বাড়ির মালিকের লালসার শিকার ভাড়াটিয়া কিশোরী। নাম সাথী আক্তার (ছদ্মনাম)। বয়স ১৩ বছর। এ বছর ৫ম শ্রেণী পাস করে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে উঠার কথা। এখনও তার খেলার বয়স পার হয়নি। সেই বয়সে তাকে খেলার সাথীদের ছেড়ে থাকতে হচ্ছে ঘরের মধ্যে লোকলজ্জায়। গর্ভের সন্তানকে একটু একটু করে নিজের মধ্যে বড় করছে সাথী। এ কারণে পরিবারের সবাই অনাগত সন্তানের পিতৃ পরিচয় নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছে। জানা গেছে, সাথীর পিতা মুকসেদ খাঁ জর্ডান প্রবাসী, মা সেলিনা বেগম থাকেন ঢাকায়। সাথী তার ছোট ভাইকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরের শিবচর পৌর এলাকার ডিসি রোডে ভাড়াবাড়িতে থাকে। সাথীর ওপর নজর পড়ে বাড়ির মালিক রফিক কাজীর। কৌশলে কিশোরীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে একদিন জোর করে ধর্ষণ করে সে। ধর্ষণের পর ঘটনাটি কাউকে না বলার জন্য হুমকিও দেয় সাথীকে। হুমকির কারণে ভয়ে সে ঘটনাটি কাউকে বলেনি। একদিন সাথী টের পায় তার পেটে অন্যের অস্তিত্ব। একশিশু বাস করছে তার গর্ভে। জানাজানি হয়ে যায় পরিবার ও পাড়া প্রতিবেশীদের কাছে। পরে কিশোরীর মা সেলিনা বেগম বাদী হয়ে ২২ ডিসেম্বর মাদারীপুর দায়রা জজ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
×