ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

উখিয়ায় কম্পিউটারের দোকানে গেলেই মেলে ভুয়া সনদপত্র

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ১৩ জানুয়ারি ২০১৫

উখিয়ায় কম্পিউটারের দোকানে গেলেই মেলে ভুয়া সনদপত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা, উখিয়া, ১২ জানুয়ারি ॥ কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা সদরসহ উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ও স্টেশনের কম্পিউটারের দোকানে নকল জন্ম নিবন্ধন, জাতীয় পরিচয় পত্রসহ বিভিন্ন ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে দেয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অসাধু কম্পিউটার দোকানদাররা বেশি অঙ্কের টাকার বিনিময়ে এ সব নকল সার্টিফিকেট মিয়ানমার এবং বাংলাদেশী বিভিন্ন বয়সের নাগরিকদের পরিবর্তন করে দেয়ায় তারা পাসপোর্ট ও ভিসার কাজসহ তা বিভিন্ন অফিস আদালতে ব্যবহার করছে বলে জানা গেছে। এসব বন্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কোন তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। কিংবা এ নিয়ে কোন অভিযান এ পর্যন্ত হয়নি বলে জানায় সূত্রটি। সূত্রে জানা যায়, জেলার বিভিন্ন এলাকার বিদেশ গমনেচ্ছুক লোকজন ও মায়ানমার থেকে আসা জেলার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নাগরিকরা এসব কর্মকা-ে জড়িত। তাদের এই অপরাধ কর্মকা-ে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে অতি লোভী কম্পিউটার ব্যবসায়ী ও অপারেটাররা। এসব ভুয়া আইডি কার্ডধারী বিভিন্ন ভাড়া বাসায় থেকে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত হয়ে পড়ছে। অপর সূত্রে জানা গেছে, কম বয়সী লোকদের আসল জন্ম সনদের বয়স পরিবর্তন করে নকল জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট নিয়ে হজ ও ওমরাহ হজের নামে মায়ানমার লোকজনদের অসাধু আদম ব্যাপারীদের যোগসাজশে কম্পিউটার দোকানদাররা এ সব নকল সনদ তৈরি করে দিচ্ছে। এই নকল পরিচয়পত্র ও জন্মনিবন্ধন তৈরি করে বিদেশ গিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম করে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœœ করছে মিয়ানমারের লোকজন। আবার অনেক সময় পুলিশের তদন্তে এসব ভুয়া সনদপত্র ধরা পড়ছে। জুবায়ের হত্যার আসামি মাসুদকে চাকরি থেকে অব্যাহতি জাবি সংবাদদাতা ॥ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের ৩৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জুবায়ের হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত চার্জশীটভুক্ত আসামি মাসুদকে পরিবহন অফিসের চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের অনুমোদনক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক স্বাক্ষরিত অফিস আদেশের মাধ্যমে তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। জানা যায়, ২০১২ সালের ৯ জানুয়ারি ইংরেজী বিভাগের শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ প্রতিপক্ষ ছাত্রলীগ কর্মীদের হাতে নিহত হন। হত্যাকা-ে জড়িত থাকার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রশাসন ৭ জনকে আজীবন ও ৬ জনকে দুই বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করে এবং একই সময়ে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় বাদী হয়ে তাদের সকলের নামে মামলা দায়ের করে। কিন্তু ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ মাহমুদুল হাসান মাসুদ জুবায়ের হত্যাকা-ের চার্জশীটভুক্ত আসামি এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত হওয়া সত্ত্বেও সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন এবং তৎকালীন পরিবহন অফিসের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক ড. খাইরুল বসর মাস্টাররোলে মাসুদকে পরিবহন অফিসে নিম্নমান সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে নিয়োগ দেন। আদালতে মামলাটি এখনও বিচারাধীন থাকায় বর্তমান প্রশাসন মাসুদকে পরিবহন অফিসের ঐ চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। জুবায়ের হত্যার বিচার দাবিতে ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।
×