ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

হাবিপ্রবিতে শিক্ষক লাঞ্ছিত প্রতিবাদে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ

প্রকাশিত: ০৬:২৪, ১৩ জানুয়ারি ২০১৫

হাবিপ্রবিতে শিক্ষক লাঞ্ছিত প্রতিবাদে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ সোমবার সকাল থেকে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। হাবিপ্রবির জনসংযোগ শাখা সূত্রে জানা গেছে, ১১ জানুয়ারি শনিবার দুপুর ১টার দিকে হাজী দানেশ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইফতেখারুল ইসলাম রিয়েলের নেতৃত্বে হাবিব, শাওন, মিল্টন, রানা, বহিষ্কৃত ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অরুন কান্তি রায়, ছাত্রলীগ নেতা জাহিদ হাসান, অনিন্দ্য দত্ত অন্তুসহ কয়েক ছাত্র হাবিপ্রবির শিক্ষকদের প্রশাসনিক কাজে বাধা দেয় এবং লাঞ্ছিত করে। এরই প্রেক্ষিতে শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটরিয়ামে শিক্ষক সমিতির এক জরুরীসভা প্রফেসর মোঃ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রশাসনিক কাজে বাধা এবং শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার জন্য শিক্ষক সমিতি তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শান্তি না হওয়া পর্যন্ত সোমবার সকাল থেকে সকল প্রকার একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের অভিযোগ দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জামায়াত-বিএনপির অবরোধ কর্মসূচী পালন করছে বলে অভিযোগ করেছে ছাত্রলীগ। সোমবার দুপুরে দিনাজপুর প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি ইফতেখারুল ইসলাম রিয়েল বলেন, গত ২৯ জানুয়ারি থেকে ৩টি দফায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ টানা এক মাস ১২ দিন হল বন্ধ ও ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রেখেছে। মূলত এই হল ও ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রাখার উদ্দেশ্য ছিল জামায়াত-বিএনপির অবরোধ কর্মসূচী পালন করা। গত ১১ জানুয়ারি হল খুলে দেয়া হলেও এখনও স্থায়ীভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটগুলো খুলে দেয়া হয়নি। পাশাপাশি গত কয়েকদিন আগে ভাগ-বাটোয়ারার মাধ্যমে জামায়াত-বিএনপির শিক্ষকদের নিয়ে শিক্ষক সমিতি গঠন করা হয়েছে যা অনিয়মতান্ত্রিক। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন শাখার ২ কোটি টাকার দুর্নীতি তদন্ত করে দেখা হয়নি এবং এ ব্যাপারে দায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রেজিস্ট্রার ড. বলরাম রায়কে সাসপেন্ড কিংবা তঁাঁর বিরুদ্ধে থানায় ডায়েরি পর্যন্ত করা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর রুহুল আমিন পাবলিক সম্পত্তিকে ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে পরিণত করেছেন এবং ইচ্ছেমাফিক যা খুশি তাই করে যাচ্ছেন। ক্যাম্পাস বন্ধ করে জামায়াত-বিএনপিকে প্রতিষ্ঠিত ও দুর্নীতিবাজদের বাঁচিয়ে দিয়ে উপাচার্য যে ঘৃণ্য কাজ করছেন সেটাই প্রমাণ করে যে এই উপাচার্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকার কোন যোগ্যতা নেই এবং এরই ধারাবাহিকতায় ছাত্রলীগ তাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেয়া হয়।
×