ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বইপড়া কর্মসূচীর পুরস্কার বিতরণ ১৬ জানুয়ারি শুরু

প্রকাশিত: ০৬:০১, ১৩ জানুয়ারি ২০১৫

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বইপড়া কর্মসূচীর পুরস্কার বিতরণ ১৬ জানুয়ারি শুরু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বইপড়া কর্মসূচী ২০১৫‘র পুরস্কার বিতরণী আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে। ঢাকা মহানগরীর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আগামী ১৬-১৭ জানুয়ারি রমনা বটমূলে, চট্টগ্রাম মহানগরীর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আগামী ২৩ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল মডেল হাই স্কুল মাঠ ও খুলনা মহানগরীর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আগামী ৩০ জানুয়ারি খুলনা সরকারী করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়। এসময় জানানো হয়, গত ১০ বছর ধরে বইপড়া কর্মসূচীর পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে বেসরকারী মোবাইলফোন অপারেটর গ্রামীণফোন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবছর ১২০০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১৫ লাখ শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। এদের মধ্যে পুরস্কারের জন্য মনোনীত শিক্ষার্থীদেরকে স্বাগত, শুভেচ্ছা, অভিনন্দন ও সেরাপাঠক এই চার ক্যাটাগরিতে পুরস্কার হিসেবে মোট ৬৫ হাজার বই দেয়া হবে। ঢাকা মহানগরীর বইপড়া কর্মসূচীতে অংশ নেয় ৩০ হাজার শিক্ষার্থী। তাদের ৬০৯২ জন পুরস্কার পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে। এছাড়া চট্টগ্রাম মহানগরীর এই কর্মসূচীতে অংশ নেয় ৪৫৯৬ শিক্ষার্থী এবং খুলনা মহানগরীর বইপড়া কর্মসূচীতে অংশ নেয় ৩২৪২ শিক্ষার্থী। অনুষ্ঠানে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, ১৯৮৩ সালে ৩৫০০ শিক্ষার্থী নিয়ে বইপড়া কর্মসূচী শুরু হয়। আজ এই সংখ্যা ১৫ লাখ। তিনি বলেন, ছাত্র-ছাত্রীরা মুখস্থবিদ্যা, কোচিং আর প্রাইভেটের চাপে পাঠ্য বইয়ের বাইরে অন্য বই পড়ার সুযোগ পায় না। ছাত্রজীবনে এই বই শিক্ষার্থীদেরকে এত কষ্ট দিয়েছে, যে কারণে বই যে স্বপ্ন ও আনন্দের তা তাদের মনে হয় না। এরপরও বিশ্বসাহিত্যকেন্দ্র বইয়ের মাধ্যমে স্বপ্ন দেখানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। মানুষকে আলোকিত করার কাজ করছে। বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় এই বইপড়া শিক্ষার্থীদের মান উন্নয়নে অবদান রাখবে বলে মত দেন অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণ ফোনের হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিকেশন সৈয়দ তালাত কামাল, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের উপদেষ্টা অঞ্জন কুমার দে ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক শরিফ মোঃ মাসুদ।
×