ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

অবরোধ হরতালে এজতেমাফেরত মুসল্লিরা বিপাকে

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ১৩ জানুয়ারি ২০১৫

অবরোধ হরতালে এজতেমাফেরত মুসল্লিরা বিপাকে

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাজীপুর ও টঙ্গী, ১২ জানুয়ারি ॥ বিএনপি আহূত লাগাতার অবরোধ ও ছাত্রদলের ডাকা হরতালে ভাংচুর বা অগ্নিসংযোগের আশঙ্কায় গাজীপুর বা রাজধানীর টার্মিনালগুলো থেকে ছেড়ে যাচ্ছে না দূরপাল্লার বাস, ট্রাক বা কোন যানবাহন। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন গাজীপুরের টঙ্গীর বিশ্ব এজতেমায় আগত আখেরি মোনাজাত শেষে বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে রওনা হওয়া অসংখ্য মুসল্লি। উদ্বিগ্ন এসব মুসল্লির এজতেমার পরদিন সোমবার বিকেল পর্যন্ত শীতের মাঝেও গাড়ির জন্য বিভিন্ন টার্মিনাল ও স্টপেজে তাদের ব্যাগ ও বিভিন্ন সরঞ্জামাদি নিয়ে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। ফলে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে ধর্মপ্রাণ এসব মুসল্লির। যশোর থেকে টঙ্গীর বিশ্ব এজতেমায় যোগ দিতে আসা মোঃ শাখাওয়াত হোসেনসহ কয়েক মুসল্লি ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ জমায়েত টঙ্গীর এ বিশ্ব এজতেমাকে সামনে রেখে বিএনপি জামায়াত নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ কর্মসূচী ঘোষণা দেন। বিশ্ব এজতেমার মুরুব্বিগণ এজতেমা উপলক্ষে এ কর্মসূচী প্রত্যাহারের জন্য তাকে বারবার অনুরোধ করলেও বেগম খালেদা জিয়া সে অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে মুরুব্বিদের ফিরিয়ে দিয়ে অবরোধ কর্মসূচী অব্যাহত রাখেন। তার এ একগুঁয়েমির কারণে এবারের এজতেমায় মুসল্লিদের উপস্থিতি ছিল তুলনামূলক অনেক কম। আর যেসব ধর্মপ্রাণ মুসল্লি টঙ্গীর এজতেমাস্থলে এসেছেন, যানবাহনের অভাবে তাদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। যানবাহন না পেয়ে আবার অনেকে টঙ্গীর উদ্দেশে রওনা হয়েও বাড়ি ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। শুধু এখানেই শেষ নয়। একই জোট আখেরি মোনাজাতের পরদিন সোমবার গাজীপুরে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহ্বান করেছে। ফলে এজতেমা শেষে মুসল্লিদের বাড়ি ফেরার পথে বিএনপি জামায়াত নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের এ কর্মসূচী প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছে। এ যেন মড়ার উপর খঁড়ার ঘা। একে তো অবরোধ কর্মসূচী, তার উপর হরতাল- এ দু’কারণে গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের আশঙ্কায় দূরপাল্লার কোন যানবাহন গাজীপুর ছেড়ে যেতে রাজি হচ্ছে না। এতে মুসল্লিদের চরম বিড়ম্বনা ভোগ করতে হচ্ছে। অনেক মুসল্লি বাড়ির উদ্দেশে এজতেমাস্থল ছেড়ে গেলেও গাড়ি না পেয়ে বিভিন্নস্থানে আটকা পড়ে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। তারা কিভাবে বাড়ি ফিরে যাবেন তা তারা জানেন না।
×