ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

ভারত ও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক ॥ ভারসাম্য আনতে চায় শ্রীলঙ্কা

প্রকাশিত: ০৫:০৯, ১৩ জানুয়ারি ২০১৫

ভারত ও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক ॥ ভারসাম্য আনতে চায় শ্রীলঙ্কা

চার মাস আগে এক রবিবার একটি নৌযান অঘোষিতভাবেই শ্রীলঙ্কার কলম্বো পোতাশ্রয়ে ভেড়ে। সেটি ছিল চীনা নৌবাহিনীর সাবমেরিন গ্রেট ওয়াল লঙ্ঘন। টর্পেডো, একটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ৩৬০ পাউন্ডের ওয়ারহেড বহন করতে সাবমেরিনটি তৈরি করা হয়েছিল। শ্রীলঙ্কার প্রতিরক্ষামন্ত্রী একে ‘চলাচলের পথে শুভেচ্ছা সফর’ বলে হাল্কাভাবে উড়িয়ে দেন। কিন্তু এটি নয়াদিল্লী অবধি উদ্বেগের সঞ্চার করে। সেখানে এ সফরকে ভারতের পশ্চাদভূমিতে চীনের উপস্থিতির স্পষ্ট ঘোষণা বলে দেখা হয়। শ্রীলঙ্কার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসের আশীর্বাদেই এটি ঘটেছে বলে মনে করা হয়। ইন্টারন্যাশনাল নিউইয়র্ক টাইমস। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শ্রীলঙ্কা নিয়ে চীনের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা যাই ছিল না কেন, তা শুক্রবার সকালে হঠাৎ করে ধাক্কা খায়। সেদিন রাজপাকসে নির্বাচনে হেরে যান। এটি ছিল এক আকস্মিক বিপর্যয়। অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্ট্র্যাটেজিক এ্যান্ড ডিফেন্স স্টাডিজ সেন্টারের ভিজিটিং ফেলো ডেভিড ব্রিউস্টার বলেন, এটি ক্ষমতা ক্রমশ কুক্ষিগত করেছিল এমন এক সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার মূল্য। তিনি বলেন, কেবল এক ব্যক্তির সঙ্গেই আপনার যোগাযোগ রাখা প্রয়োজন বলে আপনি মনে করতে পারেন। তারপর যদি আপনি সেই ব্যক্তিকে হারান তা হলে সম্পর্কের ওপর এর গুরুতর প্রভাব পড়বে। গত কয়েক বছর ধরে চীনের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার সুদৃঢ় মৈত্রী গড়ে ওঠে। সেই সময়ে পশ্চিমা দেশগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে রাজাপাকসের কড়া সমালোচনা করে এবং চীন তাকে নতুন নতুন বন্দর ও রাস্তা নির্মাণের জন্য শত শত কোটি ডলারের ঋণ দিয়ে তুষ্ট করে। অবশেষে উদ্ধার বিধ্বস্ত এয়ার এশিয়ার ব্ল্যাকবক্স ১৬২ জন আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত এয়ার এশিয়ার ব্ল্যাকবক্স ডাটা রেকর্ডার সোমবার ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনীর ডুবুরিরা উদ্ধার করেছে। সকালে আবহাওয়া ভাল থাকায় নৌবাহিনীর কয়েক ডজন ডুবুরি জিনিসটি উদ্ধার করে বলে একজন সরকারী কর্মকর্তা জানিয়েছেন। প্লেনটি দুর্ঘটনাকবলিত হওয়ার দুই সপ্তাহ পর ব্ল্যাকবক্সটি উদ্ধার হলো। এর আগে আবহাওয়া প্রতিকূল থাকার কারণে উদ্ধারকাজ বিলম্বিত হয়। ২৮ ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর সুরাবায়া থেকে সিঙ্গাপুর যাওয়ার পথে প্লেনটি দুর্ঘটনার শিকার হয়। অর্ধেক পথ যাওয়ার আগেই ঝড়ো আবহাওয়ার কবলে পড়ে ফ্লাইট কিউজেড৮৫০১ প্লেনটির সঙ্গে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর কয়েক দিন অনুসন্ধানের পর জাভা সাগরে এর ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পাওয়া যায়। সেখান থেকে এ পর্যন্ত ৪৮ জন আরোহীর লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। প্লেনের মূল কাঠামোর সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি। -ওয়েবসাইট
×