ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

উন্নয়ন ও রাজনৈতিক ঐক্যের সংঘাত

প্রকাশিত: ০৫:০৪, ১৩ জানুয়ারি ২০১৫

উন্নয়ন ও রাজনৈতিক ঐক্যের সংঘাত

অনুকূল-প্রতিকূল পরিবেশের ভেতর দিয়ে ৫ জানুয়ারি সরকারের এক বছর অতিক্রান্ত হলো। ২০১৩ সালের শেষদিকে যেখানে কেউ ভাবতেও পারেননি যে, একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সরকার গঠন করা সম্ভব হবে- সেখানে নির্বাচন হওয়া এবং সরকার গঠন করে এক বছর পার করাটাই আসলে আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে গণ্য হওয়া উচিত। কিন্তু উল্লেখ করার মতো বিষয় হলো, এখন সরকারের কট্টর সমালোচকরাও এ কথা স্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছেন যে, সরকার উন্নয়নে সফলতা দেখাতে সক্ষম হয়েছে। এর আগের আওয়ামী লীগ সরকার এ দেশে যে সমস্ত কাজ শুরু করেছিল, তা ক্রমশ শেষ হওয়ার পথে, মাঝপথে থামিয়ে দেয়ার মতো কোন সরকার এ দেশে আসেনি। আর দ্বিতীয় মেয়াদে এসে শেখ হাসিনার সরকার অত্যন্ত শক্ত হাতেই ‘উন্নয়নকে’ প্রাধান্য দিয়েছে, যে কারণে তার ফলও রাতারাতিই পাওয়া যাচ্ছে। মজার ব্যাপার হলো, এতদিন যারা উন্নয়ন, উন্নয়ন বলে চিৎকার করেছে এবার তারাই বলতে শুরু করেছে যে, উন্নয়ন হয়েছে তো কি হয়েছে? সরকার তো রাজনৈতিক ঐক্য প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হয়েছে। অর্থাৎ আওয়ামী লীগ যাই-ই করুক, তাই-ই যথেষ্ট নয়। এটা একদিকে ভাল, কারণ এতে স্পষ্ট হয় যে, এখনও এই রাজনৈতিক দলটির কাছে জনগণের সীমাহীন চাওয়ার বোঝা রয়েছে। কোন দল রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেলে তাদের কাছে জনগণের আর কোন চাওয়া-পাওয়া থাকে না, কিন্তু দীর্ঘ ছয় দশক প্রায় বয়স হওয়ার পরেও আওয়ামী লীগের কাছে জনগণের চাওয়ার তালিকাটি দীর্ঘতর রয়েছে বলেই দলটিকে প্রশংসা করতে হবে। কারণ স্বাধীনতার পর জন্ম নিয়েও, স্বাধীন দেশে রাজনীতি করেও, সরকার চালিয়েও তাদের কাছে জনগণের চাওয়ার তালিকাটি একেবারেই শূন্য, এরকম রাজনৈতিক দলের পক্ষে টিকে থাকাই তো মুশকিলের। কিন্তু আজকে যারা রাজনৈতিক ঐক্য করতে না পারার ব্যর্থতার দায় আওয়ামী লীগের ঘাড়ে চাপাচ্ছেন, তারা কি এ প্রশ্ন কখনও করেছেন যে, ঐক্য কার সঙ্গে? কিসের ঐক্য? এরকম প্রশ্ন এখন তোলাটা জরুরী এবং এর উত্তর খুঁজতে গেলে আমরা দেখতে পাই যে, আওয়ামী লীগকে সেই রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে ঐক্য করতে বলা হচ্ছে যারা আসলে রাজনীতি দিয়ে নয়, নির্বাচন দিয়ে নয়, জনগণকে নিয়ে নয়, পেশিশক্তি দিয়েই আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চায়। ১৯৭৫ ও ২০০৪ সালের আগস্ট মাসে যে ঘটনা এ দেশে ঘটেছে এবং এর পেছনে যারা সক্রিয় থেকেছে, তার সঙ্গে আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক ঐক্য করার কথা বলাটা আর নিজেকে জবাই করার জন্য নিজেকেই ছুরি ধার দিতে বলার মতো ভয়ঙ্কর আবেদন। হতে পারত, আওয়ামী লীগকে আজকে বাধ্যও করা যেত যদি বিএনপি-জামায়াত নামক রাজনৈতিক জোটটি এ দেশের মূলধারার রাজনীতিতে গঠনমূলক কোন রাজনীতি করত। ২০১৩ সাল ধরে যারা মারণঘাতী তাণ্ডব চালিয়েছে সারাদেশে, ক্ষমতা দখলের জন্য যারা দেশটাকে গণিমতের মালের মতো দখল করার চেষ্টা করেছে, তারা যে ’৭৫ বা ২০০৪ সালের আগস্ট-কাণ্ড থেকে সরে আসেনি তা বলাই বাহুল্য। সর্বশেষ বিএনপির ভবিষ্যত কা-ারি তারেক জিয়া লন্ডনে বসে যেভাবে এ দেশের মুক্তিযুদ্ধ, জাতির পিতা এবং শহীদদের নিয়ে নোংরামি শুরু করেছেন তাতে বিএনপির সঙ্গে রাজনৈতিক ঐক্য করতে হলে তো আওয়ামী লীগকেও সে সব মেনে নিয়েই ঐক্য করতে হবে। কিন্তু আওয়ামী লীগও যদি মুক্তিযুদ্ধকে এরকম নোংরামি দিয়ে ঢেলে ফেলে তাহলে তার তো আর কোন জায়গা থাকে না দাঁড়ানো, থাকে কি? প্রশ্ন হলো, আমাদের দেশের বিদ্বজনেরা এ সব বিষয়কে একেবারেই এড়িয়ে যেতে চান, তাঁরা কেবল প্রশ্ন তোলেন ৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে। যেহেতু সে নির্বাচনে সকলের অংশগ্রহণ ছিল না, সেহেতু আরেকটি নির্বাচন দিতে হবে। মোদ্দাকথা, তাঁরা কেবল শেখ হাসিনাকে ক্ষমতার বাইরে দেখতে চান, ব্যাস। কিন্তু এত যৌক্তিক প্রশ্ন তুলতে কাউকেই আগ্রহী হতে দেখা যায় না। না আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীবীদের, না একদা বামবর্গের রাজনীতি করে এখন আওয়ামী লীগ থেকে পরিত্যক্ত হয়ে বিএনপি-জামায়াতের এপিজমেন্ট পলিসি নিয়ে টকশো কাঁপানো বকেয়া-বাম রাজনীতিবিদ, না মিডিয়ায় নামকরা সম্পাদকবৃন্দ, না বিদেশী সাহায্যনির্ভর এনজিও কর্মকর্তা, না কতিপয় টকশোজীবী। এদের সকলেই মৌলিক বিষয় এড়িয়ে নির্বাচন নিয়ে হম্বিতম্বি করেন কেবল, এই বিজ্ঞজনেরা গণতন্ত্রের মৃত্যু নিয়ে যারপরনাই চিন্তিত, বাক্-স্বাধীনতা নিয়ে চিন্তিত, যদিও তারা এই গণতন্ত্রহীনতার(?) কালেও, বাক্্-স্বাধীনতাহীনতার(?) কালেও রাজপথ, টেলিভিশন দাপিয়ে ফিরছেন এবং কেউ কেউ প্রতিদিন একাধিক টেলিভিশনে কথা বলছেন। অথচ মাত্র বছর আটেক আগেই এ দেশে একুশে টেলিভিশন বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল, কেউ কথা বলেননি; শাহরিয়ার কবির, ড. মুনতাসীর মামুন, সাবের হোসেন চৌধুরী, প্রিসিলা রাজদের ধরে নিয়ে জেলে ভরা হয়েছিল, একাধিক সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছিল- তখন তারা তাদের বাক্্যন্ত্রটি বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে জমা করে রেখেছিলেন, এখন সে যন্ত্রটি যথেষ্ট সুদ-শক্তি সঞ্চয় করে প্রচ- মত্ত হয়ে উঠেছে!! দ্বিতীয় যে প্রশ্নটি এখানে তুলেছি তা হলো, কিসের ঐক্য? ওপরে যাদের কথা উল্লেখ করেছি তারাও কিন্তু এ প্রশ্নটি কেউ তোলেন না, কিসের ঐক্য করতে ব্যর্থ হয়েছে আওয়ামী লীগ। রাজনৈতিক ঐক্য? এটি একটি আপেক্ষিক টার্ম। কারণ ২০১৩ সালে যখন জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত তারানকো এ দেশে এসেছিলেন রাজনৈতিক ঐক্য গঠনে তখন আওয়ামী লীগ প্রায় রাজি হয়ে গিয়েছিল, শেখ হাসিনাকে সরকারপ্রধান রেখে এবং তার ক্ষমতাকে খর্ব করে বিএনপি থেকে একজন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিয়োগ দিয়ে একটি নির্বাচন করার পক্ষে। আজকে আবার এ কথা বলছেন, বিএনপির পোষ্য বুদ্ধিজীবী এমাজউদ্দিন আহমেদ। কিন্তু তখন বিএনপি এ সমাধান মেনে নেয়নি, এক রাত চিন্তা করার সময় নিয়ে পরদিন সেটা নাকচ করে দিয়েছে। গোপন খবর যে, তারেক জিয়া শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে কোনভাবেই নির্বাচনে যাবেন না, কারণ তাতে যদি বিএনপি জিতেও যায়, তাতে বিএনপির নাকি শান্তি হবে না। জানি না, কোন্্ ভরসায় আজকে এমাজউদ্দিন সাহেব আবার সেই রিজেক্টেড প্রোপোজাল নিয়ে কথা বলছেন, তারেক জিয়া জানলে হয়ত তারও গালমন্দ খাওয়ার সম্ভাবনা। কথিত আছে যে, হাওয়া ভবনে যে ক’জন বুদ্ধিজীবী তারেক জিয়ার ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুযোগ লাভ করেছিলেন এমাজউদ্দিন সাহেব তাদের মধ্যে অন্যতম। যা হোক, সেটি তখন বিএনপির কারণেই হয়নি। অপরদিকে শেখ হাসিনা যখন বললেন যে, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনটি আসলে সংবিধান রক্ষার নির্বাচন এবং অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে আরেকটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তখন বিএনপি-জামায়াতের করণীয় কি ছিল? তারা সেই নির্বাচনটি নির্বিঘেœ হতে দিতে পারত এবং অপেক্ষা করত শেখ হাসিনা কথিত ‘দ্রুততম সময়ের’ জন্য। কিন্তু তারা তা করেনি, তারা ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ তো নেয়ইনি, তারা সেই নির্বাচনকে প্রতিহত করার জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে এবং আগেই বলেছি যে, এ দেশ তখন পাকিস্তান, আফগানিস্তান বা সোমালিয়ার মতো একটি সংঘর্ষের কারাগারে পরিণত হয়েছিল। প্রশ্ন হলো, তারা তো শেখ হাসিনার সংবিধান রক্ষার নির্বাচন নির্বিঘেœ হতে দেয়নি, তাহলে কেন শেখ হাসিনা তাদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিটি মানবেন? শর্তের একাংশ একপক্ষ মানলে অপরপক্ষকে শর্তের দ্বিতীয় অংশ মানতে বাধ্য করা যায় কিন্তু বিএনপি-জামায়াত তো শর্তের প্রথম অংশই মানেনি, তাহলে শর্তের দ্বিতীয় অংশ কি আর বলবত থাকে? আমাদের বিজ্ঞ বুদ্ধিজীবীকুল কি এ প্রশ্নটি নিয়ে একবারও ভেবেছেন? সংবিধানের আইনী সকল কাঠামো বিশেষ করে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক বাতিল করে সেই সংবিধানের আলোকে নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং নির্বাচনের আগে দেয়া শর্ত ভাঙ্গার কারণে নতুন নির্বাচন না দেয়া, কোনটিই কি আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনার বেআইনী পদক্ষেপ? যদি না হয়, তাহলে আজকে যারা একেকজন বা সম্মিলিত ঐক্যবাজ সাজছেন, তারা কেন একবারও এই প্রশ্ন নিজেকেই করছেন না? এরপরও ধরছি, শেখ হাসিনা যেহেতু ক্ষমতায়, তারই দায়িত্ব বেশি ‘রাজনৈতিক ঐক্যের’। কিন্তু ঐক্য করার জন্য যে শান্ত পরিবেশ দরকার তা কি বিএনপি সৃষ্টি করতে পেরেছে? আপনারা একদিকে ঐক্য চাইবেন আরেকদিকে দেশব্যাপী জ্বালাবেন রাজনীতির আগুন, তাহলে আগুনের পাশে বসে মনুষ্য-মাংসের কাবাব খেতে খেতে কি ঐক্য হবে আপনাদের সঙ্গে? আমাদের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিরাও কি এরকম পোড়া-ঐক্য চাইছেন? হুম আমরা সমালোচনা করতে পারি বালির ট্রাক দিয়ে বেগম জিয়াকে তাঁর বাড়িতে আটকে রাখার। কিন্তু আপনারা কি এই ভয়ঙ্কর তথ্যও দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়তে শোনেননি যে, এই মুহূর্তে বেগম জিয়াকে যদি হত্যা করা যায় তাহলেই বিএনপি-জামায়াতকে রাজনৈতিকভাবে রক্ষা করা সম্ভব এবং একই সঙ্গে শেখ হাসিনাকেও ক্ষমতা থেকে নামানো যাবে। রাজনৈতিকভাবে জীবিত বেগম জিয়ার গুরুত্ব ফুরিয়েছে এবং তাঁর লাশই কেবল পারে বেনজীর ভুট্টোর মতো বিএনপি-জামায়াতকে ক্ষমতায় নিয়ে যেতেÑ সামাজিক গণমাধ্যমে এ তথ্য এমনভাবে ছড়িয়েছে যে, সরকার যদি বেগম জিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নেয়, তাহলে সরকারকে দোষ দেয়া যাবে কি? হ্যাঁ, আগেই বলেছি যে, বালির ট্রাক কিংবা পিপার স্প্রের মতো ব্যবস্থা নয়, নয় ২১ আগস্টের মতো গ্রেনেড হামলাও, আওয়ামী লীগের মতো একটি আপাদমস্তক রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে এরকম সাংঘর্ষিক কোন কিছু আমরা চাই না। কারণ আওয়ামী লীগের পক্ষে বেগম জিয়ার চলাফেরায় বাধা সৃষ্টি করাটাকে বৈধতা দেয়ার মতো কোন ‘বাক্-স্বাধীনতাধারী’ নেই, যেমনটি রয়েছে বিএনপির পক্ষে, যারা ১৫ ও ২১ আগস্টকেও প্রকাশ্যে সমর্থন দিতে দ্বিধান্বিত নন। টেলিভিশন টকশোতে সত্য আর মিথ্যের ডালচাল দিয়ে এমনভাবে মিশিয়ে দেন যে, আওয়ামী লীগের পক্ষে যিনি থাকেন তাঁকে সত্য-মিথ্যা বাছতে বাছতেই সময় পার করে দিতে হয়, তাঁর বলার কথা কিছুই অবশিষ্ট থাকে না। বাংলাদেশ একটি একান্নবর্তী পরিবার হলেও হতে পারত কিন্তু ২০১৫ সালে আমরা কোন টেলিভিশন সোপ অপেরা দেখছি না যেখানে বিএনপি একটি কুচুটে শাশুড়ি আর আওয়ামী লীগ নবপরিণীতা ছেলের বউ এবং জামায়াত দেশের শকুনি মামা, যে টেলি-সিরিয়ালের অন্তে সকল পক্ষই মিলেমিশে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হবে এবং সকলেই অবশেষ সুখে-শান্তিতে বাস করবে। এমনটা হলে ভালই হতো, কিন্তু আমরা তো বাস করছি একটি ভয়ঙ্কর সময়ে; যখন বাংলাদেশকে সংঘাতের শেষপ্রান্তে নিয়ে গিয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে ক্ষমতা পরিবর্তনই মূল লক্ষ্য। এখানে ঐক্যের কথা বলার আগে অনেক প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হচ্ছে আমাদের। উন্নয়ন হয়েছে কিন্তু রাজনৈতিক ঐক্য হয়নিÑ এ কথা বলার সঙ্গে এখন সময় হয়েছে জনগণকে এ কথা বলারও সুযোগ দেয়া যে, জনগণ আসলে কোন্টি চায়? উন্নয়ন নাকি রাজনৈতিক ঐক্য? আশার কথা যে, সরকারের কঠিন সমালোচকদেরও কেউ কেউ এ কথা এখন বলতে শুরু করেছেন যে, উন্নয়নের জন্য রাজনৈতিক ঐক্যের প্রয়োজন কিন্তু রাজনৈতিক ঐক্যের জন্য উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। ঢাকা ॥ ১২ জানুয়ারি, সোমবার, ২০১৫ ॥ [email protected]
×