ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

খুলনার পাইকগাছায় চলছে দখলদারের দৌরাত্ম্য

প্রকাশিত: ০৫:২৮, ১২ জানুয়ারি ২০১৫

খুলনার পাইকগাছায়  চলছে দখলদারের  দৌরাত্ম্য

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ পাইকগাছা উপজেলায় অবৈধ দখলদারের দৌরাত্ম্য চলছে। সরকারী খাস জমি, খাস খাল, নদ-নদী যে যেভাবে পারছে দখল করে নিয়েছে এবং নিচ্ছে। চরভরাটি কাঁটাখালী নদী দখল করে কেউ কেউ সেখানে মাছের ঘের করেছে, আবার কেউ কেউ দখলকৃত নদীর চর প্লট আকারে বিক্রি করে দিচ্ছে। এক শ্রেণীর সুবিধাবাদী রাজনীতিক, প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে এই অবৈধ দখল চলছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগে জানা যায়, পাইকগাছা উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের চাঁদখালী বাজার গড়ে উঠেছে সরকারী জমির ওপর। স্থানীয় ভূমি অফিসের অসাধু কর্মকর্তার সহায়তায় কেউ কেউ কাগজপত্র তৈরি অবৈধ দখলকে ‘বৈধ’ করে নিয়েছে। আবার কিছু অবৈধ দখলদারদের মধ্যে কাগজপত্র ও দখলস্বত্ব নিয়েও বিরোধ রয়েছে। চাঁদখালী বাজারের অবৈধ দখল ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা থাকলেও তা কার্যকর হয়নি। একই ইউনিয়নের চরভরাটি কাঁটাখালী নদীটি সম্পূর্ণ গিলে ফেলেছে অবৈধ দখলদাররা। দখল প্রক্রিয়ায় পাল্টা দখলের ঘটনা ঘটেছে। একাধিকবার সংঘাত-সংঘর্ষও হয়েছে। মরিচ্চাপের মুখ থেকে শিববাড়ি ইঁদুরকাটা মুখ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার নদীর চর ভরাটি জায়গার সামান্য অংশও এখন আর বাকি নেই। দখলদাররা সেখানে মাছের ঘের, বসতবাড়িসহ বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছে। কপিলমুনি বাজারের গা ঘেঁষা কপোতাক্ষ নদ দখলেরও প্রতিযোগিতা চলছে। ইতোমধ্যে এ নদের পাড়ের বিস্তীর্ণ জায়গা দখল করে অনেক পাকা স্থাপনা-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা হয়েছে। পাইকগাছা পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন জিরো পয়েন্ট এলাকায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের রাস্তার দুই পাশে অসংখ্য দোকান বানানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে এসব অবৈধ দখলকারীদের নোটিস করে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিলেও তা কার্যকর হয়নি। পাইকগাছা পৌর বাজার খেয়াঘাট এলাকায় শিবসা নদীর পাড়ে শহর রক্ষা বাঁধের ওপর অনেক দোকান ঘর বানানো হয়েছে। সোলাদানা ইউনিয়নের আমুরকাটা বাজার এলাকাতেও স্থানীয় ভূমিদস্যুরা তৎপর রয়েছে। তারা রাস্তার দুই পাশ দখল করে দোকান ঘর তৈরি করতে শুরু করেছে।
×