ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বিএনপির সঙ্গে ’১৯ সালের আগে কোন সমঝোতা নয়

প্রকাশিত: ০৫:০৩, ১২ জানুয়ারি ২০১৫

বিএনপির সঙ্গে ’১৯ সালের আগে কোন সমঝোতা নয়

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আগামী ২০১৯ সালের আগে বিএনপির সঙ্গে সমঝোতা নয় বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। বিএনপির চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, জনসম্পৃক্ততা না থাকায় তাদের ডাকা অবরোধ হচ্ছে না। যে রাজনৈতিক দলটি প্রতিনিয়ত অসত্য তথ্য পরিবেশন করে সেখানে তারা কী আন্দোলন-সংগ্রাম করবে? রবিবার সচিবালয়ে ‘বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার কার্যাবলী পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা সংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ের কমিটির বৈঠক শেষে দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। চলমান পরিস্থিতিতে দেশ গৃহযুদ্ধের দিকে চলে যেতে পারে এমন আশঙ্কা করে রাজনৈতিক সমঝোতার কথা কেউ কেউ বলছেন সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ বলেন, পেট্রোল বোমা মেরে, গাড়ি পুড়িয়ে আপনি আমার সঙ্গে সমঝোতা করবেন? আমরা কি সেই রকম দল, সেই রকম গবর্নমেন্ট? যারা ২০১৩ সালে এসব করেও নির্বাচন বানচাল করতে পারেনি, তারা আজ একটি সরকারের অগ্রগতিকে কীভাবে রোধ করবে? অসম্ভব। তিনি বলেন, বিএনপির সঙ্গে রাজনৈতিক সমঝোতা হবে আগামী নির্বাচনের জন্য। আগামী নির্বাচন হবে ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারির আগের ৯০ দিনের যে কোন দিন। সমঝোতা হবে সেই সময়, এর আগে নয়। বিএনপির ঘোষিত অবরোধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অবরোধ তো হচ্ছে না। এর সঙ্গে জনসম্পৃক্ততা কোথায়? আন্দোলন করেছি আমরা। একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সবাই চলে যেতেন পল্টন ময়দানে। এখন সব কিছু এ্যাবসলুটলি নরমাল। গত দু’দিনও ঢাকার রাজপথে ট্রাফিক জ্যাম দেখেছি। গত একদিনে সারাদেশে বিভিন্ন আন্তঃজেলা রুটে ৯ হাজার ৯৪০টি বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করেছে। অন্যদিকে অবরোধের নামে চলছে গুপ্ত হামলা, সন্ত্রাসী কর্মকা- ও জঙ্গী তৎপরতা। এমনকি বিশ্ব এজতেমা উপলক্ষেও কোন ছাড় দেয়া হয়নি। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া প্রসঙ্গে তোফায়েল আহমেদ বলেন, তিনি বিএনপি কার্যালয়ে আছেন, ইচ্ছে করলেই বাসায় যেতে পারেন। কিন্তু তিনি তা না করে অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে কোন লাভ হবে না। এজতেমা শেষ হওয়ার পর পরই আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনী এসব প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। গুপ্তহত্যা ও গুপ্ত হামলা প্রতিরোধেও বাস্তব পদক্ষেপ নেয়া হবে। গুপ্তহত্যা কীভাবে প্রতিরোধ করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গুপ্তহত্যা কীভাবে ঠেকানো হবে, অপেক্ষা করেন দেখবেন। আমরা কলকাতা ছিলাম নয় মাস, তখন নকশালীদের বোমার শব্দে রাতে ঘুমাতে পারতাম না। আর এখন বাটি চালান দিয়েও নকশালীদের খুঁজে পাওয়া যাবে না। এ অবস্থা হবে বাংলাদেশে। নিরাপত্তার জন্য পুলিশ সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করলেও সরকারী দল আওয়ামী লীগ সোমবার সমাবেশ করার উদ্যোগ নিয়েছেÑ এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা পুলিশের অনুমতি নিয়েই সভা করব। আর এ সমাবেশ হবে শান্তিপূর্ণ। আর অন্যরা সমাবেশ করতে চায় গুপ্ত হামলার জন্য। একবার সমাবেশ করতে পারলে দেখবেন আগুন কীভাবে জ্বালায়, জনসভার নামে কী অরাজকতার সৃষ্টি হয়। গত ৫ জানুয়ারি বিএনপিকে চট্টগ্রামে সমাবেশ করতে দেয়া হয়েছিল সেখানে কী হয়েছে, রাজশাহীতে সমাবেশ করতে দেয়া হয়েছিল সেখানে কী হয়েছে? তারা সমাবেশ করতে চান বিশৃঙ্খলা করার জন্য। ভারতের বিজেপি নেতা অমিত শাহ’র সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপার্সনের ফোনালাপ নিয়ে মিথ্যাচারেরও সমালোচনা করেন তোফায়েল আহমেদ।
×