ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রাঙ্গামাটিতে মেডিক্যাল স্থাপন নিয়ে সংঘর্ষ, ১৪৪ ধারা

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ১১ জানুয়ারি ২০১৫

রাঙ্গামাটিতে মেডিক্যাল স্থাপন নিয়ে সংঘর্ষ, ১৪৪ ধারা

নিজস্ব সংবাদদাতা, রাঙ্গামাটি , ১০ জানুয়ারি ॥ রাঙ্গামাটিতে মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের প্রতিবাদে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ আহ্বানকারীদের সঙ্গে সরকার দলীয় লোকের দফা দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় সাংবাদিকসহ ২০ ব্যক্তি আহত ও বেশকিছু দোকান ভাংচুর হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য জেলা প্রশাসন শনিবার সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত রাঙ্গামাটি শহরে ১৪৪ ধারা জারি করেছে। এই ঘটনার পরপর শহরে সেনা, বিজিবি ও পুলিশ এবং ৪টি ভ্রাম্যমাণ আদলত টিম শহরে দিলে সংর্ঘষ থেমে যায়। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে ওই দিন সকাল থেকে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের ছাত্ররা জেলা প্রশাসকের সামনের সড়ক অবরোধ করে রাখে। সকাল ৯টার সময় মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের দাবিতে সরকার সমর্থক একটি দল মিছিল নিয়ে মেডিক্যাল কলেজ প্রাঙ্গণে যেতে গেলে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সঙ্গে এদের সংর্ঘষ লেগে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যে এই সংঘর্ষ রনরূপা চম্পক নগর ও ফরেস্ট কলোনী এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। দ্রুত নিরাপত্তা বাহিনী পদক্ষপ গ্রহণ করায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। আহত ১১ জনকে রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরা হলেনÑ মনির, জাকির হোসেন, জহিরুল আলম, হারুন, মোঃ মনির ও জব্বার। আহত সাংবাদিকরা হলো ইন্ডিপে-েন্ট পত্রিকার প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেন, দেশ টিভি প্রতিনিধি সোলাইমান ও আর টিভি প্রতিনিধি সোহেল রানা। আহত অন্যরা স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা নিয়েছে। তাদের নাম জানা যায়নি। প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শনিবার সকালে রাঙ্গামাটিসহ দেশের ১১টি মেডিক্যাল কলেজ উদ্বোধন করার ঘোষণা আসার পর পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ রাঙ্গামাটিতে সড়ক ও নৌপথ অবরোধের ডাক দেয়। অপরদিকে মেডিক্যাল কলেজ বাস্তবায়ন কমিটি এটি বাস্তবায়নের দাবিতে মাঠে নামে। যার কারণে এই সংর্ঘষ হয়। সংঘর্ষে পূবালী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, সন্ধ্যানী লাইফ ইনস্যুরেন্স, ডক্টর ল্যাব ও টেলিটক কাস্টমার কেয়ার অফিসের কাচ ভাংচুর হয়েছে। এব্যাপারে রাঙ্গামাটির ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোঃ মোস্তফা জামান জানান, সকালে মেডিক্যাল কলেজের পক্ষে বিপক্ষে দু’টি গ্রুপ সংর্ঘষে লিপ্ত হলে প্রশাসন শহরে ১৪৪ধারা জারি করে। যা পরবর্তী নিদেশ না দেয়া পর্যন্ত বলবত থাকবে। বর্তমানে শহরের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এবিষয়ে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার পারভেজুল ইসলামের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, সংঘর্ষে তেমন কোন ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি আমরা দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি । বর্তমানে শহরে ১৪৪ধারা বলবত রয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি পৃুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বর্তমানে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার সীমান্ত বৈঠকে ভারতের আগর তলায় রয়েছেন। অবরোধের কারণে শহরে জীবনযাত্রা ভেঙ্গে পড়েছে। দেখা দিয়েছে আতঙ্ক । এদিকে এই পরিস্থিতির কারণে শহরে সেনা পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে বলে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসণ জানান। এদিকে জেলা আওয়ামী লীগ এই ঘটনায় তাদের কর্মী ও পথচারীসহ ১৫০ জন আহত হয়েছে বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করেছে। তারা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও অবিলম্বে পিসিপির সন্ত্রাসীদের প্রেফতারের দাবি জানান।
×