ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

১ জুলাই থেকেই নতুন বেতন স্কেলে অন্তর্ভুক্তির দাবি বাকবিশিসের

প্রকাশিত: ০৪:২৯, ১০ জানুয়ারি ২০১৫

১ জুলাই থেকেই নতুন  বেতন স্কেলে অন্তর্ভুক্তির দাবি বাকবিশিসের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সরকারী শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সঙ্গে আগামী ১ জুলাই থেকেই নতুন জাতীয় বেতন স্কেলে অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (বাকবিশিস)। শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্যতম এ সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ এ দাবি জানিয়েছেন। শিক্ষক নেতারা বলেছেন, সরকার প্রতিশ্রুত নতুন পে-স্কেল আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর করা হবে। কিন্তু বেসরকারী শিক্ষক-কর্মচারীদের এতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে এর ছয় মাস পর থেকে। যা বৈষম্যমূলক, অগণতান্ত্রিক ও শিক্ষাবান্ধব নীতি পরিপন্থী। কমিশনের এ সুপারিশে দেশের ৫ লক্ষাধিক বেসরকারী শিক্ষক-কর্মচারী মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের পক্ষে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সমিতির নির্বাহী সভাপতি ও তেঁজগাও কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুর রশীদ। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বাংলাদেশ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি শিক্ষাবিদ ড. মোঃ আখতারুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সিরাজুল হক আলো, সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ অধীর চন্দ্র সরকার, সহ-সভাপতি এ এফ এম নজরুল মজিদ বেলাল, বাংলাদেশ অধ্যক্ষ পরিষদের সভাপতি কাজী মিজানুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোনতাজ উদ্দিন মোর্তজা প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সরকার প্রতিশ্রুত নতুন পে-স্কেল আগামী ১ জুলাই ২০১৫ থেকে কার্যকর করা হবে। কিন্তু বেসরকারী শিক্ষক-কর্মচারীদের এতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে এর ছয় মাস পর থেকে। যা বৈষম্যমূলক, অগণতান্ত্রিক ও শিক্ষাবান্ধব নীতি পরিপন্থী। শিক্ষার সামগ্রিক পরিবেশ সুন্দর রাখার জন্য নতুন পে-স্কেলে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মতো বেসরকারী শিক্ষক-কর্মচারীদের এতে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানিয়ে তা বাস্তবায়নের দাবি জানায় সংগঠনটি। অধ্যক্ষ আব্দুর রশীদ বলেন, সরকার গঠিত ‘অষ্টম জাতীয় পে এ্যান্ড সার্ভিসেস কমিশন’ প্রতিশ্রুতি মোতাবেক প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য একটি যুগোপযোগী বেতন কাঠামো প্রস্তাব করেছে। কিন্তু প্রস্তাবিত বেতন কাঠামোতে সকলের নতুন স্কেলে বেতন প্রদান আগামী জুলাই থেকে কার্যকরের সুপারিশ করা হলেও বেসরকারী শিক্ষক-কর্মচারীদের ক্ষেত্রে ৬ মাস দেরিতে কার্যকরের সুপারিশ করা হয়েছে। কমিশনের এই সুপারিশে দেশের ৫ লক্ষাধিক বেসরকারী শিক্ষক-কর্মচারী মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ। এই বৈষম্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ১৯৯৭ সালে পঞ্চম পে-কমিশনের সুপারিশক্রমে প্রজাতন্ত্রের সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মতো এমপিওভুক্ত বেসরকারী শিক্ষক-কর্মচারীদেরও নতুন বেতন কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। তৎকালীন শেখ হাসিনার সরকার বলেছিল, শিক্ষকদের বেতনের জন্য আর কখনও আন্দোলন করতে হবে না। এরপর ২০০৫ সালে ষষ্ঠ ও ২০০৯ সালে সপ্তম পে-কমিশনেও ১৯৯৭ সালের ধারবাহিকতা বজায় ছিল। কিন্তু এখন অষ্টম পে-কমিশনে বেসরকারী শিক্ষক-কর্মচারীদের নতুন বেতন কাঠামোয় অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে পশ্চাদমুখী নীতি অনুসরণ করা হয়েছে। এ সময় প্রস্তাবিত বেতন কাঠামো বাস্তবায়নে বৈষম্যমূলক নীতির অবসান ঘটাতে প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর প্রতি সংগঠনের পক্ষ থেকে আহ্বান জানান অধ্যক্ষ আব্দুর রশীদ। শিক্ষক নেতৃবৃন্দ শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে সরকারের নেয়া পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন। একই সঙ্গে বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত জোটের হরতাল অবরোধে শিক্ষা কার্যক্রম ক্ষতিগস্ত হচ্ছে। সরকারী কলেজকে ওয়েবসাইট তৈরির নির্দেশ ॥ দেশের সকল সরকারী কলেজের ওয়েবসাইট তৈরির নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কলেজ কর্তৃপক্ষকে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ডাইনামিক ওয়েবসাইট করে এর ঠিকানা মন্ত্রণালয়কে জানানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সকল সরকারী কলেজের অধ্যক্ষদের কাছে নির্দেশ পাঠানো হয় বলে জানা গেছে। মন্ত্রণালয় বলছে, এ সব ওয়েবসাইটে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিভাগভিত্তিক ছবিসহ ডাটাবেজ এবং বিগত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিভাগভিত্তিক ছবিসহ ডাটাবেজ (আর্কাইভ), একাডেমিক ক্যালেন্ডার, বিভাগভিত্তিক ক্লাস রুটিন (কোন শিক্ষক ছুটিতে থাকলে তাঁর পরিবর্তে শিক্ষকের নাম অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে) থাকবে।
×