ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৪:২৮, ১০ জানুয়ারি ২০১৫

উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ৯ জানুয়ারি ॥ শিক্ষক সঙ্কট, আবাসন সমস্যা, লোকবলের অভাব এবং অবকাঠামোগত সমস্যার মধ্যে দিয়েই যাত্রা শুরু হচ্ছে বহু প্রতীক্ষিত টাঙ্গাইল মেডিক্যাল কলেজের কার্যক্রম। ১০ জানুয়ারি শনিবার টাঙ্গাইল মেডিক্যাল কলেজসহ ছয়টি নতুন সরকারী মেডিক্যাল কলেজ ও পাঁচটি নতুন আর্মি মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে। ওই দিন বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে টাঙ্গাইল সরকারী মেডিক্যাল কলেজের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করবেন। ১৯৭৪ সালে জেলায় প্রথম ৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল স্থাপনের পর দাবি ওঠে একটি মেডিক্যাল কলেজের। সেই দাবির ৪১ বছর পর জেলায় চালু হতে যাচ্ছে সরকারী মেডিক্যাল কলেজ। সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আব্দুল মান্নান ২৫.২ একর প্রাচীরঘেরা সীমানায় স্থাপন করেন টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল। সেই সময় থেকেই টাঙ্গাইলবাসী দাবি করে আসছিলেন একটি সরকারী পরিপূর্ণ মেডিক্যাল কলেজের। কালের বিবর্তনে জেনারেল হাসপাতালটি ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের বিষয়টি স্বপ্নই থেকে গিয়েছিল। ২০১২ সালের ৩০ জুন টাঙ্গাইলের একটি জনসভায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দেন ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হতে পারলে টাঙ্গাইলে মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হবে। নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পরই সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করে টাঙ্গাইল মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠার। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল মেডিক্যাল কলেজ প্রশাসনিক অনুমোদন পায়। এর কিছুদিন পর অধ্যক্ষ ও প্রকল্প পরিচালক হিসেবে অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী খানকে নিয়োগ দেয়া হয়। ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে ৫১ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। নিজস্ব সংবাদদাতা জামালপুর থেকে জানান, জামালপুরে নব প্রতিষ্ঠিত মেডিক্যাল কলেজের ক্লাস শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে। জামালপুরের ঐতিহ্যবাহী বৈশাখী মেলা মাঠের মুক্ত মঞ্চে স্থাপিত বিশাল স্ক্রিনে সকাল ৯টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্লাস উদ্বোধন করবেন। এ নিয়ে জেলা প্রশাসন, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। অনুষ্ঠানস্থলটি সাংস্কৃতিক আবহে সাজানো হয়েছে। প্রচুর লোক সমাগমের আশা করছে স্থানীয় প্রশাসন। নিজস্ব সংবাদদাতা পটুয়াখালী থেকে জানান, পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হতে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন এ শিক্ষা কার্যক্রমের। ২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস কোর্সে ৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির মধ্য দিয়ে প্রাাথমিক ভাবে পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে। নিজস্ব সংবাদদাতা রাঙ্গামাটি থেকে জানান, অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে দেশের ২৯তম সরকারী মেডিক্যাল কলেজ হিসাবে আজ ১০ জানুয়ারি শনিবার হতে কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামবাসীর বহুল প্রত্যাশিত রাঙ্গামাটি মেডিক্যাল কলেজের যাত্রা শুরু হওয়ায় ছাত্রছাত্রীরা আনন্দিত। ৫২ জন শিক্ষার্থী এমবিবিএস প্রথম বর্ষের শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর মাধ্যমে রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালের পাশে করনারি ইউনিট ভবনে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে শুরু হচ্ছে এই নতুন মেডিকেল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার সকাল ৯টায় রাঙ্গামাটি মেডিক্যাল কলেজের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশে সিং-এর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাঙ্গামাটি মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রমের উদ্বোধন ঘোষণা করবেন। তবে মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের বিরোধিতা করে আসা পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি এবং এর সহযোগী অঙ্গসংগঠনসমূহ মেডিক্যাল কলেজের যাত্রার শুরুর দিন রাঙ্গামাটিতে সড়ক ও নৌ-পথ অবরোধ কর্মসূচী পালনের ঘোষণা দিয়েছে এবং যে কোন মূল্যে রাঙ্গামাটি মেডিক্যাল কলেজের কার্যক্রম প্রতিরোধের ঘোষণা দিয়ে রাঙ্গামাটি মেডিক্যাল কলেজের কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।
×