পরিযায়ী পাখিরা হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে ঠিক জায়গাটিতেই পৌঁছে যায়। কী করে সম্ভব? বিজ্ঞানীদের মতে, পাখিরা পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রটিকে এ ক্ষেত্রে কাজে লাগায়। চৌম্বকক্ষেত্র কাজে লাগানোর তালিকায় আছে গবাদি পশু, শিয়াল, হরিণ আর কয়েক প্রজাতির মাছ।
এবার তালিকায় যোগ হয়েছে কুকুরও। চেক রিপাবলিকে অবস্থিত চেক ইউনিভার্সিটি অব লাইফ সায়েন্স এবং জার্মানির ইউনিভার্সিটি অব দুইসবার্গ-এসেনের বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণে কুকুরের চৌম্বকক্ষেত্র অনুসরণের বিষয়টি ধরা পড়েছে। তাঁরা দেখেছেন, গুটিসুটি মেরে শুয়ে থাকা আর মলত্যাগ- এ দুটি ব্যাপারেই কুকুর উত্তর-দক্ষিণ বরাবর অবস্থান করে।
বিজ্ঞানীরা জানান, চৌম্বকক্ষেত্র পুরোপুরি শান্ত থাকলেই কেবল কুকুর মল ত্যাগের সময় উত্তর-দক্ষিণমুখী হয়। চৌম্বকক্ষেত্র অস্থির থাকলে তখন কুকুরের মধ্যে উত্তর-দক্ষিণমুখী হওয়ার কোন প্রবণতা দেখা যায় না। বাঁধা অবস্থায় থাকলেও কুকুরগুলো এমন আচরণ করে না বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।
গবেষণার জন্য বিজ্ঞানীরা ৭০টি কুকুর একটি খোলা মাঠে ছেড়ে দেন এবং সেগুলোর কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করেন। এতে দেখা যায়, মলত্যাগের সময় কুকুরগুলো উত্তর-দক্ষিণ বরাবর অবস্থান করে।
Ñসায়েন্স ডেইলি অবলম্বনে
ইব্রাহিম নোমান
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: