ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

৮শ কোটি টাকা বেশি আয়

চট্টগ্রাম কাস্টমসের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম

প্রকাশিত: ০৪:০৪, ১০ জানুয়ারি ২০১৫

চট্টগ্রাম কাস্টমসের  লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম

হাসান নাসির, চট্টগ্রাম অফিস ॥ অর্থবছরের প্রথম ছয়মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ৮শ’ কোটি টাকা বেশি আয় করেছে দেশের একক বৃহত্তম রাজস্ব যোগানদাতা চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। এ অর্জন ধার্য করা টার্গেটের চেয়ে প্রায় ৭ শতাংশ বেশি। কাস্টমস সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত অর্থাৎ প্রথম ছয়মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১২ হাজার ৭৭৯ কোটি টাকা। এ সময়ের সময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ধার্য করা লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল থাকায় এ অর্জন সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন কাস্টম কর্মকর্তারা। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মাসুদ সাদিক জানান, অর্থবছরের জানুয়ারি মাসে কিছুটা রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা থাকলেও এর প্রভাব খুব একটা পড়েনি। শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতিতে প্রতিদিনই শুল্ক ভবনে আমদানি পণ্যের শুল্কায়ন হয়েছে। পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকায় আমদানিও হয়েছে সন্তোষজনক। এ অবস্থা বিরাজিত থাকলে বছর শেষেও টার্গেট অতিক্রম করা সম্ভব হবে। প্রসঙ্গক্রমে তিনি জানান, অস্থিতিশীল অবস্থা স্বল্পস্থায়ী হলে রাজস্ব আদায়ের ওপর প্রভাব পড়ে না। কারণ, এলসিগুলো আগেই খোলা হয়ে থাকে। তাছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর থেকে যেহেতু পণ্য ডেলিভারি স্বাভাবিক রয়েছে সেহেতু কাস্টম হাউসও কর্মমুখর থাকছে। শুল্ক ভবনের সহকারী কমিশনার মোঃ আবদুল বাতেন জানান, সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে জ্বালানি খাতে। এরপর যথাক্রমে রয়েছে গাড়ি, সিমেন্ট ক্লিংকার, মেশিনারিজ ও ভোজ্য তেল। তিনি জানান, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে অর্থবছরের প্রথম ছয়মাসে যে পরিমাণ রাজস্ব আদায় হয়েছে তা টার্গেটের চেয়ে ৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ বেশি। এদিকে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, ডিসেম্বরের শেষদিকের আতঙ্ক ও জানুয়ারির প্রথম দিকে আন্দোলনকারী রাজনৈতিক দলগুলোর হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচী সত্ত্বেও কাজকর্ম স্বাভাবিক রয়েছে। বন্দর অভ্যন্তরে জাহাজে পণ্য উঠানামা স্বাভাবিক থাকার পাশাপাশি বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারিও হয়েছে। প্রতিদিনই গড়ে ১ হাজার ৮শ’ থেকে প্রায় ২ হাজার টিইইউএস কন্টেনার ডেলিভারি হয়েছে। উল্লেখ্য, বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচী শুরু হয় ৬ ডিসেম্বর থেকে। লাগাতার কর্মসূচীর মধ্যে চারদিন অতিবাহিত হলেও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান চলাচল অনেকটাই স্বাভাবিক রয়েছে। মহাসড়কে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বেশ জোরদার রয়েছে।
×