ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কন্টেনার হ্যান্ডলিং সক্ষমতায় চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান চার ধাপ এগিয়ে ৮৬

প্রকাশিত: ০৬:০৪, ৯ জানুয়ারি ২০১৫

কন্টেনার হ্যান্ডলিং সক্ষমতায় চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান চার ধাপ এগিয়ে ৮৬

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ কন্টেনার হ্যান্ডলিং ও সক্ষমতা বিবেচনায় বিশ্বের সক্রিয় বন্দরগুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর চার ধাপ এগিয়ে এখন ৮৬তম অবস্থানে। শিপিং বিষয়ক খ্যাতনামা সংবাদ মাধ্যম লয়েড লিস্ট গত অক্টোবর মাসে এ তালিকা প্রকাশ করে। বৃহস্পতিবার আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদের হাতে এই সনদ তুলে দেন লয়েড রেজিস্টার ফ্যাসিলিটেটর। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাহাজান খান এমপি। নৌপরিবহনমন্ত্রী শাহাজান খান তাঁর বক্তব্যে বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের এই উন্নয়ন দেশের সার্বিক উন্নয়নেরই স্বীকৃতি। কারণ, দেশের উন্নয়ন না ঘটলে বন্দরেরও উন্নয়ন হতো না। দেশ এগুচ্ছে বলেই এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বন্দর উন্নত হচ্ছে। বন্দর ও দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়ন বিষয়ে আলোকপাত করতে গিয়ে নৌপরিবহনমন্ত্রী বলেন, ছয় বছর আগে চট্টগ্রাম বন্দরের রিজার্ভ ফান্ড ছিল সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা। বর্তমানে এ তহবিল ৭ হাজার ৩শ’ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। এ সরকার বিদ্যুত উৎপাদন ৩ হাজার ৭শ’ মেগাওয়াট থেকে বাড়িয়ে ১০ হাজার ৩শ’ মেগাওয়াটে উন্নীত করেছে। দারিদ্র্যের হার ৩৩ শতাংশ থেকে কমে ২৬ শতাংশে নেমে এসেছে। ক্রমবর্ধমান চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিতে আরও বন্দরের প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিষয়টি বিবেচনায় রেখে পায়রা বন্দর উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে। গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণকে অগ্রাধিকার হিসেবে নিয়েছে বর্তমান সরকার। মংলা এক সময় লোকসানী বন্দর ছিল। পাঁচ বছর আগেও মংলা ১১ কোটি টাকা লোকসান দিয়েছিল। আর বর্তমান সরকারের চার বছরের চেষ্টায় গত অর্থবছরে মংলা ৪৮ কোটি টাকা লাভ করেছে। চট্টগ্রাম বন্দর দেশের উন্নয়নে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। আর সে বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই নির্মিত হতে যাচ্ছে ৪০তলা বিশিষ্ট চট্টগ্রাম বন্দর টাওয়ার। এটিই হবে এ পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে উঁচু ভবন, যা মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। দেশের রাজনীতি প্রসঙ্গে নৌমন্ত্রী শাহাজান খান বলেন, তেলে-জলে মেশে না। তেমনিভাবে রাজাকার আলবদর ও স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের জনগণের মিলবে না। স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে কোন সংলাপ হতে পারে না। বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সাত দফা দাবি দিয়েছেন। এর মধ্যে যুদ্ধাপরাধী ও দুর্নীতিবাজদের রাজবন্দী আখ্যায়িত করে তাদের মুক্তির দাবিও রয়েছে। তারা যুদ্ধাপরাধী ও দুর্নীতিবাজদের মুক্ত করার আন্দোলনে নেমেছেন। তারা আন্দোলনের নামে বিগত সময়ে গাড়িতে আগুন দিয়ে ৫৫ জন পরিবহন শ্রমিক ও ১৭ পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে। দেশে ৬০ হাজার গাছ কেটেছে। মসজিদে আগুন দিয়েছে, মন্দিরে ভাংচুর চালিয়েছে, শহীদ মিনার ভেঙ্গেছে। এগুলো কি গণতন্ত্রের আন্দোলন। দেশের জনগণ ঐ আন্দোলনকারীদের প্রত্যাখ্যান করেছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব শফিক আলম মেহেদী। বক্তব্য রাখেন বন্দরের মেম্বার (হারবার এ্যান্ড মেরিন) কমডোর মোঃ শাহজাহান ও লয়েড রেজিস্টারের ফ্যাসিলিটেটর ক্যাপ্টেন জিল্লুর রহমান।
×