ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ৯ জানুয়ারি ২০১৫

উবাচ

লজ্জা করে না! স্টাফ রিপোর্টার ॥ এক সময় বিএনপির রাজনৈতিক মিত্র ছিলেন সাবেক সেনা প্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও তাঁর দল জাতীয় পার্টি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে নাকি তিনি ‘ভাবি’ বলে সম্বোধন করতেন। রাজনৈতিক কারণেই দু’জনের অবস্থান পাল্টে যায়। দু’জনার দুটি পথ...। সম্প্রতি দলের মহাসমাবেশে যোগ দিয়ে এরশাদ বিএনপি ও খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘আমাকে অন্যায়ভাবে জেলে পাঠিয়েছিলেন আপনি। তখন মাসে একবার স্ত্রী, মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে পারতাম। কিন্তু এখন খালেদা জিয়ার দুই ছেলে দুই জায়গায়। কতদিন দেখা হয়নি, তার কোন হিসাব নেই। কবে দেখা হবে, তারও কোন নিশ্চয়তা নেই। তিনি বিএনপির উদ্দেশে আরও বলেন, দেশ ক্রিকেট, ফুটবল বা অন্য কোন খেলায় চ্যাম্পিয়ন হয়। কিন্তু, বিএনপি সরকার বাংলাদেশকে পর পর চারবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে। লজ্জা করে না আপনাদের! আপনারা আবার কোন মুখে ক্ষমতায় আসতে চান! কোন মুখে আপনারা রাজনীতি করেন! দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ বানিয়ে আমাদের পৃথিবীর কাছে হেয় করেছেন। জঙ্গী সৃষ্টি করেছেন। বাংলাভাই বানিয়েছেন। সারাদেশে একযোগে বোমা হামলা করেছেন। বিচারক হত্যা, কৃষক হত্যা, কানসাটে হত্যা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে মানুষ হত্যা করে আবারও ক্ষমতায় যেতে চান? এক জানুয়ারি জাপার ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মহাসমাবেশের পর পরবর্তীতে বিএনপির পক্ষ থেকে এরশাদের বক্তব্যের ব্যঙ্গ-বিদ্রƒপ করে নানাভাবে জবাবও দেয়া হয়েছে। তাতে কি। এরশাদ যা বলেছেন হয়ত পুরোটাই রাজনীতির প্রয়োজনে। বলার জন্য বলা। যে কোন সময় আবারও বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক ঝালাইও করতে পারেন তিনি। তুহিন মালিকের ধৃষ্টতা স্টাফ রিপোর্টার ॥ পবিত্র হজের পর মুসলিম বিশ্বের বৃহত্তর জমায়েত বিশ্ব এজতেমাকে “পিকনিক” বলে অভিহিত করেছেন বিএনপি-জামায়াত ঘরানা কথিত বুদ্ধিজীবী ডক্টর তুহিন মালিক। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও গণজাগরণ মঞ্চের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কথিত এ সংবিধান বিশেষজ্ঞ সম্প্রতি একুশে টেলিভিশনের টকশোতে এ ঔদ্ধত্যপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। জামায়াত-শিবিরের ‘বাঁশের কেল্লা’য়ও ফলাও করে প্রচার করা হচ্ছে তাবলীগ জামাত ও বিশ্ব এজতেমা বিরোধী মন্তব্য। বাঁশের কেল্লায় তুহিন মালিককে কোট করে বলা হয়েছে, বিশ্ব এজতেমা তুরাগ পাড়ের পিকনিক। এদিকে তুহিন মালিকের এজতেমা বিরোধী অবস্থানে ফুঁসে উঠেছে তৌহিদী জনতা। সমালোচনার ঝড় বইছে ফেসবুসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অবিলম্বে তুহিন মালিকের গ্রেফতারের দাবি উঠেছে। দেশের বৃহত্তম ঐতিহাসিক ঈদগাহ শোলাকিয়া ঈদগার ইমাম আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বলেছেন, দ্বীনি দাওয়াতের আন্তর্জাতিক এই বিশ্ব এজতেমাকে যে পিকনিক হিসেবে আখ্যায়িত করে সে ইসলামের দুশমন। ডক্টর তুহিন তুরাগ পাড়ের বিশ্ব এজতেমাকে ‘পিকনিক’ বলে যে ধৃষ্টতা দেখিয়েছে তা ক্ষমার অযোগ্য। এর আগে এজতেমার মাঝেও বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে তুহিন মালিক বলেছেন, ‘বিশ্ব এজতেমার জন্য আন্দোলন কর্মসূচী স্থগিত করা কোন ক্রমেই ঠিক হবে না। ফেরাউনকে ক্ষমতার মসনদে বসিয়ে তুরাগ পাড়ে পিকনিক করলে ইসলামের দুই পয়সার উপকার হবে না বরং ফেরাউনের অবস্থান সুসংহত হবে। তাই এজতিমার অজুহাতে আন্দোলন কোন ক্রমেই বন্ধ রাখা যাবে না’। বিশ্ব এজতেমা উপলক্ষে অবরোধ কর্মসূচী স্থগিত করা হবে কি হবে না, এমন একটি প্রশ্ন যখন সামনে চলে আসে ঠিক তখনই বিএনপি-জামায়াতপন্থী এ নেতা বিশ্ব এজতেমাকে উপেক্ষা করেই আন্দোলন চালিয়ে যাবার আহ্বান জানালেন এবং মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই সমাবেশকে নিয়ে কটূক্তিও করলেন। দাবি উঠেছে তার গ্রেফতারের। তুহিন মালিক একজন বিশিষ্ট আইনজীবী। তিনি পুরান ঢাকার অধিবাসী। তুহিন মালিক তেজগাঁও ল’ কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন বেশ কিছুদিন। এছাড়াও তিনি ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির একজন পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বৃহত্তর ঢাকা যুব ফোরাম গঠন করার মাধ্যমে তিনি রাজনীতিতে আসেন। মিডিয়াতে বিভিন্ন সময়ে নানা বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে একাধিকবার সমালোচিত হয়েছেন ডক্টর তুহিন মালিক। ইতোপূর্বে তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করে আলোচনায় আসেন। সর্বশেষ মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমাবেশ বিশ্ব এজতেমাকে নিয়ে কটূক্তি করে পুনরায় আলোচনায় এলেন তিনি। বাঁশের কেল্লায় তুহিন মালিককে কোট করে বলা হয়েছে বিশ্ব এজতেমা তুরাগ পাড়ের পিকনিক। এদিকে বাংলাদেশ জমিয়াতুল উলামার চেয়ারম্যান ও দেশের বৃহত্তম ঐতিহাসিক ঈদগাহ শোলাকিয়ার ইমাম আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ তুহিন মালিককে ইসলামের দুশমন হিসাবে অভিহিত করেছেন। খিলগাঁওয়ে ইকরা মিলনায়তনে আলেমদের মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সম্মানকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়ার ঘৃণ্য চক্রান্ত হিসেবেই ডক্টর তুহিন এসব কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। তাকে অনতিবিলম্বে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। ফখরুলের ২৪ ঘণ্টা স্টাফ রিপোর্টার ॥ একটি শীর্ষ রাজনৈতিক দলের নেতা গ্রেফতারের ভয়ে এখানে সেখানে পালিয়ে বেড়াতে পারেন? নিজ দলের পক্ষ থেকে দেশব্যাপী কর্মসূচী দিয়ে নিরাপদ ও স্পর্শকাতর স্থানে আশ্রয় নেন। হয়ত দলের সাধারণ নেতাকর্মীরাও মির্জা ফখরুলের এহেন কা-ে চোখ কপালে তুলেছেন। নেতার এরকম মেরুদ-হীন কা-ে দীর্ঘশ্বাস ফেলেছেন। কেউ কেউ তীব্র ভাষায় দলের শীর্ষ নেতাদের সমালোচনা করেছেন। পাঁচ জানুয়ারি দেশব্যাপী কালো পতাকা কর্মসূচী দিয়ে প্রায় ২৪ ঘণ্টা নিখোঁজ ছিলেন বিএনপির এই ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব। কেউ তাঁর সন্ধান বের করতে পারেনি। জনসম্মুখে আসেন বিকেলে। যোগ দেন সাংবাদিকদের একটি অনুষ্ঠানে। এরপর আশ্রয় নেন জাতীয় প্রেসক্লাবে। সেখানে ২৪ ঘণ্টা অতিবাহিত করেন। তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। ছয় জানুয়ারি সন্ধ্যার দিকে গ্রেফতার হন তিনি। গ্রেফতার হওয়ার আগে প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। অথচ তাঁর এই সংবাদ ব্রিফিংয়ের জন্য সংবাদকর্মীরা অন্তত পাঁচ ঘণ্টা অপেক্ষা করেন। এর আগে খালেদা জিয়ার গুলশানের কার্যালয়ে পুলিশ তালা লাগিয়ে দিলে ফখরুল বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতার মতো বলেন, ‘লাথি মেরে ভাঙরে তালা’। কিন্তু সেখানে কোন বিদ্রোহী নেতা ছিলেন না। বিপ্লবী কর্মীদের কাউকে দেখা যায়নি কার্যালয়ের আশপাশে। তাই তালাও ভাঙা হয়নি। যেমন ছিল তেমনি রয়ে যায়। প্রেসক্লাবে আশ্রয় গ্রহণের পর থেকেই দেখা দেয় টানটান উত্তেজনা। ক্লাবের চারপাশ ঘিরে রাখে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এই বুঝি তিনি বেরিয়ে এলেন। এ নিয়ে তৈরি হয় শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি। ফখরুলের এই কা-ে রাতভর কষ্ট করতে হয়েছে সংবাদকর্মীদের। অথচ তিনি পরদিন বেলা সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ঘুমিয়েছেন। অনেকে বলছেন, জাতীয় প্রেসক্লাব ঘিরে বিএনপির এই রাজনৈতিক উত্তেজনা পরিকল্পিত। কারণ জাতায়াত-শিবিরসহ ছাত্রদলের অন্তত দুই শতাধিক নেতাকর্মী ছিল প্রেসক্লাবের ভেতরে বাইরে। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের নেতাদের অনেকে অভিযোগ করে বলেছেন, মির্জা ফখরুল রাত্রি যাপন করে ক্লাবের ইতিহাসকে কলংকিত করেছেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের ইতিহাসে এমন ঘটনা এই প্রথম। রিজভীর কাণ্ড! স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজনীতিতে শেষ বলতে কিছু নেই। রাজনীতির প্রয়োজনে নেতারা সবই করতে পারেন। বলতেও পারেন। তা কখনও ইতিবাচক হয়। কখনও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এমন কথা সমাজে বেশ প্রচলিত। সরকারের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে বিএনপির নেয়া কর্মসূচীকে ঘিরে প্রমাণ দিয়েছেন দলটির শীর্ষ নেতারাই। তাই সমাজে এসব কথা হয়ত আরও প্রচলিত থাকবে। টিকে থাকবে যুগ যুগ। মহাকাল পর্যন্তও। বিষয়টি যদি একটু খোলাসা করে বলতে হয়; তাহলে দফতরের দায়িত্বে থাকা বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমদের কথাই বলা যেতে পারে। পাঁচ জানুয়ারির কর্মসূচীকে ঘিরে এর আগের দিন মধ্য রাতে দলের নয়া পল্টন কার্যালয় থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। ভর্তি করা হয় এ্যাপোলো হাসপাতালে। পরদিন ভোর রাতে তুঘলকি কা- ঘটিয়েছেন তিনি। কাউকে না বলে ব্যক্তিগত সহকারীদের নিয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে আসেন এই নেতা! এরপর গুলশানের একটি বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন তিনি। অতঃপর গণমাধ্যমে ভিডিও বার্তা পাঠান। এতে অবরোধ চলবে বলে; দলের পক্ষে ঘোষণা দেন তিনি। বিষয়টি এরকম হাসপাতাল থেকে পালিয়ে না আসলে দলের পক্ষে কর্মসূচী চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়ার মতো হয়ত কেউ ছিল না। একারণেই হয়ত তিনি পালিয়ে এসেছেন। তাই বলে বিল শোধ না করে। বিলের কারণেও ঘটে গেছে মহা কেলেঙ্কারি। বকেয়া বিল ও রিজভী নিখোঁজ ইস্যুতে থানায় জিডি করে এ্যাপোলো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। খবরটি দ্রুত সংবাদ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ কারণে অনেকটা সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাকে। পরে হাসপাতালে ভাইকে পাঠিয়ে বিল পরিশোধ করেন রিজভী। এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নির্দিষ্ট কিছু টেলিভিশনের ‘বোম’ নিয়ে গিয়ে গুলশানের একটি বিশেষ ভবন থেকে ভিডিও করে রাজনৈতিক কর্মসূচী চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। পরে এই বার্তাটি সবখানে পাঠানো হয়। বার্তা দেয়ার পর আবারও স্থান পরিবর্তন করেন রিজভী। বৃহস্পতিবার ফের অজ্ঞাত স্থান থেকে কর্মসূচী চালিয়ে যাবার আহ্বান জানান সাবেক এই বাম নেতা। তবুও গ্রেফতার করেনি পুলিশ স্টাফ রিপোর্টার ॥ ইচ্ছে ছিল গ্রেফতার হবেন! রাজনীতির মাঠে আলোচনায় আসবেন ২০ দলীয় জোটের অন্যতম মিত্র জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান। তাকে ঘিরে উত্তপ্ত হবে রাজনীতির ময়দান। চলবে প্রতিবাদ সভা-সমাবেশ। নিজ দলের কেউ যদি থেকে থাকেন তারাও হয়ত বিক্ষোভ দেখাবেন। কিন্তু বিধি বাম। পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনের কাছে তিনি তেমন একটা গুরুত্বপূর্ণ নন। তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে দেখেও না দেখার ভান করে গেছেন। এই সুযোগে প্রধান এমন একটা ভাব দেখিয়েছেন যেন কৌশলে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে গেছেন তিনি। পাঁচ জানুয়ারি বিএনপির গণতন্ত্র হত্যা দিবসকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই নিখোঁজ ছিলেন দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দুপুরের পর হঠাৎ করেই জাতীয় প্রেসক্লাবে এসে তিনি বিএনপি-জামায়াতপন্থী সাংবাদিকদের সমাবেশে যোগ দেন। এরপর থেকেই এই বীর নেতা! গ্রেফতার হওয়ার ভয়ে দ্বিতীয় তলায় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের রুমে গিয়ে আশ্রয় নেন। সেখানেই রাত কাটান। ঘুমান। তাকে ঘিরে ছিলেন দলীয় সমর্থিত সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। ফখরুল যখন প্রেসক্লাবে প্রবেশ করেন তখন সঙ্গে ছিলেন শফিউল আলম প্রধান। পুলিশের কারণে রাতে তিনি বের হচ্ছেন না এমন সিদ্ধান্তের পরেই প্রধান বাসায় চলে যান। সকালে আবারও আসেন প্রেসক্লাবে। প্রস্তুতি নেন ফখরুলের সঙ্গে বের হওয়ার। গ্রেফতার হওয়ার পূর্ণ ইচ্ছা ও প্রস্তুতি নিজে নিজেই নিয়েছিলেন তিনি। সন্ধ্যার ঠিক আগে আগে ফলরুল প্রেসক্লাব থেকে বের হবার পরই গোয়েন্দা পুলিশ তাকে নিয়ে ডিবি কার্যালয়ে যায়। শত অপেক্ষার পরও প্রধানকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। যত নষ্টের মূল তারাই। শত চেষ্টারও পরও গুরুত্বপূর্ণ! এই নেতাকে গ্রেফতার করা হলো না। ব্যর্থ হয়ে নিজের প্রাইভেটকারে প্রেসক্লাব ছেড়ে যান শফিউল আলম। সব মিলিয়ে বলতেই হয়-‘হায়রে কপাল মন্দ...চোখ থাকিতেও অন্ধ’।
×