ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নিয়োগ নিয়ে দ্বন্দ্বে স্থবির রাজারহাট উপজেলার কার্যক্রম

প্রকাশিত: ০৩:২৫, ৯ জানুয়ারি ২০১৫

নিয়োগ নিয়ে দ্বন্দ্বে স্থবির রাজারহাট উপজেলার কার্যক্রম

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম থেকে, রাজারহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হাশেমের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি এবং সরকারী কাজে অসহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে। বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে ভাইস চেয়ারম্যানসহ উপজেলা পরিষদের অন্য সদস্যরা। প্রত্যাশিত সেবা না পেয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সেবা গ্রহীতারা। পাশাপাশি টানা চারমাস থেকে উন্নয়ন সমন্বয়সহ সকল নীতি নির্ধারণী সভায় অনুপস্থিত থাকায় সরকারের সকল প্রকার উন্নয়নমূলক কর্মকা- স্থবির হয়ে পড়েছে। গোয়েন্দা বিভাগের তথ্য মতে, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা হওয়ায়, সরকারকে বিব্রত করতে নানা অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। চাকির পশার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহীদ সোহরাদ্দী বাপ্পী বলেন, উন্নয়ন সমন্বয় মিটিং হলো উপজেলা পরিষদের চাবিকাঠি। উপজেলা চেয়ারম্যানের খেয়াল-খুশি আচরণের কারণে গত চার মাস থেকে সরকারী উন্নয়ন কর্মকা- অচল হয়ে পড়েছে। নিজ স্বার্থের ব্যাঘাত ঘটায় নিয়োগ প্রক্রিয়া ঝুলিয়ে রেখেছেন। দ্বন্দ্বে জড়িয়ে গেছেন ইউএনওর সঙ্গে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এলাকার মানুষ। বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম জানান, উপজেলা চেয়ারম্যানের প্রার্থী নিয়োগ পরীক্ষায় পাস করতে না পারায় ক্ষুব্ধ হয়ে ৪ মাস থেকে উন্নয়ন সমন্বয় মিটিং-এ অনুপস্থিত থাকছেন। ইউএনও সাজেদুর রহমানের নেতৃত্বে কৃষিকর্মকর্তা ষষ্টি চন্দ্র রায়, প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ নাজমূল হুদা, সমবায় কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলাম নিয়োগ বোর্ডে ছিলেন। যথাযথ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ সম্পন্ন হয়। অথচ এখন এ নিয়োগ নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। সিনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাদেকুল ইসলাম নুরু বলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউএনও’র দ্বন্দ্বের কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তবে শুধুমাত্র একটি নিয়োগের কারণে সার্বিক কার্যক্রম স্থবির করে রাখা ঠিক হচ্ছে না। ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জানান, নিয়োগে চেয়ারম্যানের প্রার্থী নির্বাচিত না হওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজেদুর রহমান উদ্ভূত পরিস্থিতির কথা স্বীকার করে জানান, ২ জন অফিস সহায়ক নিয়োগে ৫৩ জন আবেদন করেন। নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেয় ৩৬ জন। এর মধ্যে সুবল চন্দ্র রায় ও রঞ্জু আহমেদ প্রথম ও ২য় স্থান অধিকার করে। নিয়োগ কমিটি নির্বাচিত দু’জনকে নিয়োগ দেয়ার জন্য চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় উপস্থাপন করে। কিন্তু উপজেলা চেয়ারম্যানের নিজস্ব প্রার্থী মিলন ইসলাম ও রোকনুজ্জামান রনি মেধা তালিকায় নির্বাচিত না হওয়ায় তিনি ক্ষুব্ধ হন। রাজারহাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল হাশেম, তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ না হওয়ায় তিনি স্বাক্ষর করছেন না। সরকারকে বিব্রত করার কোন ইচ্ছা তার নেই।
×