ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

এ ধরনের রুলের কথা জানা নেই ॥ মাহবুব

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ৮ জানুয়ারি ২০১৫

এ ধরনের রুলের কথা জানা নেই ॥ মাহবুব

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আইনের দৃষ্টিতে পলাতক বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার ও প্রকাশে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে সন্ত্রাসী সংগঠন আল কায়দার শীর্ষ নেতাদের কথা প্রচারের বিষয়টি সামনে আনলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন। তিনি বলেন, আদালত যে রুল ইস্যু করেছে, তা পাক-ভারত উপমহাদেশের জন্য নতুন ধরনের রুল। বিদেশেও এ ধরনের আদেশের কথা আমার জানা নেই। সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের অন্যতম উপদেষ্টা। আদালতের আদেশের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে খন্দকার মাহবুব সাংবাদিকদের বলেন, এটা একটা বিচারাধীন বিষয়। রুল শুনানির পর যদি দেখা যায়, যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা বেআইনী, তখন যা হওয়ার আইন অনুসারে হবে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা অতীতে দেখেছি অনেক আন্ডারগ্রাউন্ড নেতা, ফেরারি আসামি বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে। তাদের বক্তব্য সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশে কোন বিধি-নিষেধ সরকার দেয়নি, আদালতই দেননি। তিনি বলেন, আলকায়দার নিউজ দিচ্ছে না? বড় সন্ত্রাসীরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থেকে বক্তব্য দিচ্ছে না? বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে তারেক রহমানের বাক স্বাধীনতা রয়েছে জানিয়ে বিএনপিপন্থী এই আইনজীবী নেতা বলেন, তারেক রহমান যদি কোন বক্তব্য দিয়ে থাকেন, তিনি তার সাংবিধানিক সেই অধিকারের বলেই বলেছেন। সেটা কতটা আইনী বা বেআইনী, তা আদালতই নির্ধারণ করতে পারে। আমি যা বলেছি, সেটা বাক স্বাধীনতার পরিধি অতিক্রম করা হয়েছে কি-না, (রুল শুনানির পর) সেটা আদালত নির্ধারণ করবে। তার আগেই সেটাকে বন্ধ করে দেয়া সঠিক না। তবে বাক স্বাধীনতার মানে ‘যা খুশি, তাই বলা বা করা নয়’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, দেশের প্রচলিত আইন মেনেই বাক স্বাধীনতা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যে পর্যন্ত এটা আদালত কর্তৃক নির্ধারিত না হবে, সে পর্যন্ত আমার বাক স্বাধীনতা রোধ করার ক্ষমতা আদালতের কতটুকু আছে, তা আদালতকেই নির্ধারণ করতে হবে। সবশেষে সিদ্ধান্ত হওয়ার পর আদালতের রায় আমরা মেনে নেব। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, বাক স্বাধীনতা খর্ব করে আদালত শেষ পর্যন্ত কোন নির্দেশনা দেবেন না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
×