ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

যুদ্ধাপরাধী বিচার

ননী ও তাহেরের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের শুনানি ১৮ জানুয়ারি

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ৮ জানুয়ারি ২০১৫

ননী ও তাহেরের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের শুনানি ১৮ জানুয়ারি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত নেত্রকোনার মুসলিম লীগ নেতা আতাউর রহমান ননী (৬২) ও নেজামে ইসলামের ওবায়দুল হক তাহেরের (৬৪) বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠনের বিষয়ে শুনানির দিন পিছিয়ে ১৮ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে। আসামি পক্ষের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ বুধবার এ আদেশ প্রদান করেছে। ট্রাইব্যুনালে অন্য দু’সদস্য ছিলেন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি আনোয়ারুল হক। এদিকে ওবায়দুল হক তাহের তার দুই আইনজীবী পরিবর্তন করে নতুন এক আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছেন। বুধবার এই মামলার চার্জ গঠনের ওপর শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্ত আসামি পক্ষ তাদের আগের আইনজীবী পরিবর্তন করে নতুন আইনজীবী হিসেবে মোঃ শাহাবুদ্দিনকে নিযোগ করেন। তিনি ট্রাইব্যুনাল শুনানির জন্য আরও সময় প্রার্থনা করেন। এ সময় প্রসিকিউশন পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান বাদল ও প্রসিকিউটর সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নি। এর আগে ৪ ডিসেম্বর আসামি আতাউর রহমান ননী ও ওবায়দুল হক তাহেরের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন পক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে ছয়টি অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেন। গত ১২ আগস্ট ট্রাইব্যুনাল থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির এ দুই আসামিকে গ্রেফতারের পরদিন ১৩ আগস্ট তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ৫ নবেম্বর একটি মামলার আসামি ওবায়েদুল হক তাহের ও আতাউর রহমান ননীর বিরুদ্ধে তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এই দুই রাজাকারের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, বাড়িঘরে আগুন ও লুটপাটের মোট চারটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে । এর মধ্যেÑহত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, বাড়িঘরে আগুন ও লুটপাট। ১৫ জনকে অপহরণের পর নির্যাতন করে হত্যা, প্রায় সাড়ে ৪শ’ বাড়িঘরে লুটপাট করে আগুন ধরিয়ে দেয়ার অভিযোগ। তদন্ত সংস্থা চারটি অভিযোগ থেকে প্রসিকিউশন যাচাই-বাছাই করে পরবর্তীতে ছয়টি অভিযোগ দািখল করেন। মামলাটি তদন্ত করেছেন তদন্ত সংস্থার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ শাহজাহান কবীর। গত ৬ জুন থেকে তদন্ত চালিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। ৯ নবেম্বর এ প্রতিবেদন জমা দেয়া হয় প্রসিকিউশনে। এর ভিত্তিতে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ তৈরি করছেন প্রসিকিউশন। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওবায়েদুল হক তাহের নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া উপজেলার ভোগাপাড়ার শুনই এলাকার মৃত মঞ্জুরুল হকের ছেলে। তিনি নেত্রকোনা পৌর শহরের তেরীবাজারে থেকে ব্যবসা করেন। অন্যদিকে আতাউর রহমান ননী, একই জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কচন্দরা এলাকার মৃত আহছান আলী ওরফে আছান আলী ওরফে হাছেন আলীর ছেলে। ননী পৌর শহরের মোক্তারপাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং একজন সাবেক ফুটবলার। ১২ আগস্ট এ দুজনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন। ১৩ আগস্ট তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। ২০১০ সালে মুক্তিযোদ্ধা আলী রেজা কাঞ্চন বাদী হয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে গ্রেফতারকৃত দু’জনসহ ১২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিলের পর আদালত তাদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করলে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
×