স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ কালো পতাকা সমাবেশে সহিংসতার ঘটনার পর মামলার আসামি হয়ে গ্রেফতার আতঙ্কে গা-ঢাকা দিয়ে আছেন চট্টগ্রামের বিএনপি নেতারা। অবরোধ কর্মসূচী চলমান থাকলেও মাঠে নেই তারা। শুধু সভা-সমাবেশ নয়, টেলিফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না বিএনপি নেতাদের। এদিকে, বুধবার চট্টগ্রামে অবরোধ কর্মসূচী পালিত হয়নি বললেই চলে। নগরীতে যানবাহন চলাচল ছিল একেবারেই স্বাভাবিক। দূরপাল্লার বাসও চলাচল করেছে। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রাম নগরীতে বুধবার সকাল থেকেই সড়কে অন্যান্য দিনের মতোই যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। সড়কগুলোতে সিটিবাসও চলাচল করে। ফলে যাত্রীদের কোন দুর্ভোগ পোহাতে হয়নি। সরকারী-বেসরকারী অফিস, বাণিজ্য কেন্দ্র, শিল্প এলাকা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে উপস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারিও হয়েছে। রেলস্টেশন থেকে সব ট্রেন ছেড়ে গেছে এবং অন্য জেলা থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনগুলো চট্টগ্রামে এসে পৌঁছেছে। অবরোধের সমর্থনে বিএনপি-জামায়াতের কোন তৎপরতাই পরিলক্ষিত হয়নি। কোথাও রাস্তায় নামেননি নেতাকর্মীরা। গত ৫ জানুয়ারি চট্টগ্রামের কাজির দেউড়ি এলাকায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের সমাবেশে সহিংসতার ঘটনার পর দায়ের করা দুটি মামলায় আসামি হয়েছেন নগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ডাঃ শাহাদাতসহ ৫ শতাধিক নেতাকর্মী। এর মধ্যে গ্রেফতার রয়েছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আসলাম চৌধুরী ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহ সভাপতি এনামুল হক এনামসহ ২৯৭ জন।
গত মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রামের মুখ্য মহানগর হাকিম মশিউর রহমানের আদালতের নির্দেশে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার বাকি আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত আছে। চট্টগ্রামে বিএনপি ও জামায়াতের নেতারা এখন আর প্রকাশ্যে নেই। তারা গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে রয়েছেন। দলের কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচী থাকলেও এর সমর্থনে কোন সভা-সমাবেশ কিংবা মিছিল-মিটিং নেই। নুর আহমদ সড়কে অবস্থিত নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়েও সুনসান নীরবতা। বুধবার কার্যালয়ে কোন নেতা আসেননি।