ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিলের জমি দখলে বেকার পাঁচ শতাধিক জেলে

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ৭ জানুয়ারি ২০১৫

বিলের জমি দখলে বেকার পাঁচ শতাধিক জেলে

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ৬ জানুয়ারি ॥ সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মরুয়াদহ বিলের জমি অবৈধ দখলদারের কবলে চলে যাওয়ায় ৫ শতাধিক জেলে বেকার হয়ে পড়েছে। ফলে জীবন জীবিকা নির্বাহে পৈত্রিক পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় নিয়োজিত হতে বাধ্য হচ্ছে। জানা গেছে, সুন্দরগঞ্জের এই মরুয়াদহ বিলটি প্রায় ২৯ একর জমি জুড়ে আবহমান কাল থেকেই বিরাজ করছে। এই বিলে মাছ ধরে আশপাশের এলাকার প্রায় ৫ শতাধিক জেলে পরিবার তাদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। সম্প্রতি বিলের উজানে মুখ বন্ধ হওয়ায় ক্রমান্বয়ে তলদেশ ভরাট হলে কতিপয় প্রভাবশালী ভূমিদস্যু বিল সংলগ্ন পতিত জমিগুলোতে মাটি ভরাট করে চাষাবাদ করতে শুরু করেছে। ফলে এভাবেই দিনের পর দিন বিলটির অধিকাংশ জমি অবৈধ দখলদারদের কবলে চলে গেছে। জেলেদের মাছ ধরার সুযোগও তাই অনেক কমে গেছে। সেই সঙ্গে এই বিলনির্ভর দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন মাছের সরবরাহ কমে যাওয়ায় মৎস্যপ্রধান এতদঞ্চলের এখন মাছের সংকট বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম মরুয়াদহ বিলের জমি অবৈধ দখলদারদের খপ্পরে পড়েছে বলে স্বীকার করেন। মৎস্যজীবী ক্ষিতিশ চন্দ্র, জয়ন্ত, সুশীল দাস, দেবেল দাসসহ অনেকে জানান, অবৈধ দখলদারদের কবলে ঐতিহ্যবাহী মরুয়াদহ বিলটি চলে যাওয়ায় বাপ-দাদার পেশা মৎস্য শিকার বন্ধ হয়ে পড়ায় তাদের আয়ের উৎস বলতে আর কিছুই নেই। ফলে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। তাদের পক্ষ থেকে বিলটি অবৈধ দখলদারমুক্ত করতে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন মৎস্যজীবীরা। কিন্তু এখন পর্যন্ত বিলটি দখলমুক্ত করার কোন উদ্যোগ প্রশাসন গ্রহণ করেনি। বরিশালে ইরি ব্লকে পানি না দেয়ায় হামলা ॥ আহত ৫ স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ চলতি ইরি-বোরো মৌসুম শুরু হওয়া সত্ত্বে¡ও ব্লক ম্যানেজার কর্তৃক জমিতে পানি না দেয়ার বিষয়ে জানতে চাওয়ায় কৃষকসহ ৫জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। আহত তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সন্ধ্যায় জেলার গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ডুমুরিয়া গ্রামে। পশ্চিম ডুমুরিয়া ইরি ব্লকের ম্যানেজার আশরাফ আলী সরদার মৌসুম শুরু হওয়ার পরেও জমিতে পানি না দেয়ায় কৃষকরা চাষাবাদ করতে পারছেন না। আশরাফের ভাই মতি সরদারের পুত্র রুবেল সরদারের কাছে পানি দেয়ার বিলম্বের বিষয়ে জানতে চাইলে সে (রুবেল) ক্ষিপ্ত হয়ে মোকসেদ মোল্লাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এনিয়ে উভয়ের মধ্যে বাগ্বিত-া হয়। এ ঘটনার জেরধরে ওইদিন সন্ধ্যায় রুবেল ও তার সহযোগীরা অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে কৃষক মোকসেদ মোল্লা, তাঁর স্ত্রী ময়না বেগম, ভাই ছালাম মোল্লা, ভাতিজা ইমারাত, জুলহাসকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে।
×