স্টাফ রিপোর্টার, বেনাপোল ॥ বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা অবরোধের প্রথম দিন মঙ্গলবার দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি অন্য দিনের তুলনায় অনেক কম হয়েছে। অবরোধ ডেকে মাঠে নেই ২০ দলীয় জোটের কোন নেতাকর্মী। অবরোধের প্রথম দিনে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলপথে দুদেশের মধ্যে দু’শ পণ্যবাহী ট্রাক আমদানি হয়েছে। খুলনা-বেনাপোলের মধ্যে যাত্রীবাহী কমিউটার ট্রেন চলাচল করলেও তাতে যাত্রী ছিল হাতেগোনা কয়েকজন। লোকাল আর দূরপাল্লার বাস চলাচল করেনি। ব্যাংক-বীমা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অফিস আদালত খোলা থাকলেও কাজকর্ম ছিল অনেক কম।
বন্দরে কার্যক্রম একেবারে নেই বললেই চলে। অল্প সংখ্যক গাড়ি লোড হলেও তা বন্দর ছেড়ে যেতে পারবে কিনা তা অনিশ্চিত। ভারত থেকে ফেরত আসা শত শত পাসপোর্ট ধারী যাত্রী বেনাপোলের বিভিন্ন পরিবহন অফিসে আটকা পড়েছে। দুরপাল্লার কোন বাস স্টেশন ছেড়ে যাবে না বলে জানিয়েছেন পরিবহন ম্যানেজাররা। নিকটবর্তী যাত্রীদের অনেকে বিকল্প হিসেবে মোটরসাইকেল, ভ্যান-রিক্সা ও নসিমনে করে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। বেনাপোল, শার্শা, নাভারন ও বাগআঁচড়ার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ টহল দিচ্ছে।
বেনাপোল পোর্ট ও শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান ও শহিদার রহমান জানান, অবরোধে বেনাপোল বন্দরসহ শার্শা উপজেলার কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ টহল দিচ্ছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার আতিকুর রহমান জানান, অবরোধে বেনাপোল কাস্টমস হাউস ও চেকপোস্ট কার্গো শাখায় কাজ অন্য দিনের তুলনায় অনেক কম হয়েছে। সকাল থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি হয়েছে মাত্র দু’শর কিছু বেশি ট্রকি।
বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ট্রাফিক) নিতাই চন্দ্র সেন জানান, অবরোধে বন্দরের কাজকর্ম অনেক কমে গেছে। ভারত থেকে পণ্যবাহী দু’শ’ ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করলেও লোড-আনলোড হয়েছে হাতেগোনা কয়েকটি ট্রাক। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বন্দরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ওসি আকতার হোসেন জানান, ভারত-বাংলাদেশ পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার একেবারেই কম। তার পরও যেসব যাত্রী ভারত থেকে দেশে ফিরেছে তারা গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে না।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: