ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ফার্মেসিতে অবাধে বিক্রি হচ্ছে ফুড সাপ্লিমেন্ট, ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ মানুষ

প্রকাশিত: ০৫:১৩, ৭ জানুয়ারি ২০১৫

ফার্মেসিতে অবাধে বিক্রি হচ্ছে ফুড সাপ্লিমেন্ট, ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ মানুষ

নিখিল মানখিন ॥ সারাদেশে ফার্মেসিতে অবাধে বিক্রি হচ্ছে ফুড সাপ্লিমেন্ট (খাদ্যসম্পূরক)। বিক্রেতারা মানছে না সরকারী নিষেধাজ্ঞা। খাদ্য সম্পূরকের বিষয়ে দেশে আইন নেই। এগুলো কি উপাদানে তৈরি, তা দেখার কর্তৃপক্ষ দেশে নেই। বাজারজাত করতেও অনুমোদন লাগছে না। ওষুধের দোকানে বা সামনের টেবিলে সাজানো থাকে নানা খাদ্যসম্পূরক। পাইকারি বাজার থেকে তা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। বিক্রিও প্রচুর বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। চিকিৎসকরাও ব্যবস্থাপত্রে নাম লিখছেন। আর্থিক ও শারীরিকভাবে ক্ষতির শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এখন থেকে ফার্মেসিতে কোনপ্রকার ফুড সাপ্লিমেন্ট বিক্রি করা যাবে না। শুধুমাত্র অনুমোদিত ওষুধ বিক্রি করতে পারবেন তারা। সম্প্রতি এ বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর হোসেন মল্লিক স্বাক্ষরিত এক সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তির অনুলিপি কেমিস্টস্ এ্যান্ড ড্রাগিস্ট্স সমিতির কার্যালয়ে পৌঁছানো মাত্র তা সব ফার্মেসি মালিকদের কাছে পাঠানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ফার্মেসিতে শুধু জীবনরক্ষাকারী ওষুধ সামগ্রী বিক্রি হওয়ার কথা। কিন্তু এখন ফার্মেসিতে শুধু ওষুধ নয়, বিভিন্ন খাদ্য, কসমেটিকস, নিউট্রিশনাল সাপ্লিমেন্ট, ফুড সাপ্লিমেন্ট এবং টেস্টি স্যালাইনসহ অনেক কিছুই কিনতে পাওয়া যায়। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ওষুধ আইন ১৯৪০ অনুযায়ী যে কোন ধরনের ওষুধ ও ওষুধ আইনের সংজ্ঞাযুক্ত সার্জিক্যাল আইটেম উৎপাদন, সংরক্ষণ, প্রদর্শন, বিক্রি ও বিতরণের জন্য ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর থেকে লাইসেন্স গ্রহণ করা বাধ্যতামূলক। লাইসেন্সবিহীন ওষুধের ব্যবসা করা আইনত শাস্তিযোগ্য অপরাধ। লাইসেন্সধারী ফার্মেসিতে আইনত শুধু বৈধ ওষুধ সংগ্রহ, সংরক্ষণ, প্রদর্শন, বিক্রি ও বিতরণ করা যাবে। কোন প্রকার ফুড বা ফুড সাপ্লিমেন্ট/নিউট্রিশনাল সাপ্লিমেন্ট, হার্বাল ফুড বা সাপ্লিমেন্ট, টেস্টি স্যালাইন, এনার্জি ড্রিংকস, কসমেটিকস ইত্যাদি সংগ্রহ, সংরক্ষণ, প্রদর্শন, বিক্রি ও বিতরণ করা যাবে না। ফার্মেসিতে উল্লেখিত পণ্যগুলো পাওয়া গেলে তা জব্দ করাসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ওষুধ প্রস্তুত ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এবং ফার্মেসি মালিকরা ওষুধ কেনাবেচার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর করা যথাযথ ইনভয়েস/ক্যাশ মেমো গ্রহণ ও সংরক্ষণ করবেন। সংশ্লিষ্টরা ওষুধ কেনাবেচার ক্ষেত্রে ইনভয়েস/ক্যাশ মেমো গ্রহণ, সংরক্ষণ ও প্রদান করতে বাধ্য থাকবেন। এমনকি ওষুধ পরিদর্শক চাওয়ামাত্রই তা দেখাতে বাধ্য হবেন। না হলে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর জানিয়েছে, খাদ্য সম্পূরক উৎপাদন ও বিক্রির ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ নেই। অন্যদিকে বিএসটিআই বলছে, এগুলো খাদ্যের তালিকায় পড়ে না। বিপণনে তাদের অনুমতির দরকার নেই। সম্প্রতি কেরানীগঞ্জের ছোট কুশিয়ারবাগে একটি বাড়ির তৃতীয় তলায় র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত খাদ্যসম্পূরক তৈরির কারখানার সন্ধান পান। আদালত কারখানার বর্ণনায় লিখেছেন : মেঝেময় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে কতগুলো লালরঙের ক্যাপসুল, কৌটা, কৌটার ওপর লাগানোর স্টিকার, বিভিন্ন ধরনের ওষুধের পাতা (স্ট্রিপ)। মাঝখানে একটি তোশক ভাঁজ করে গদি তৈরি করা। এখানে বসে ক্যাপসুলের ভেতর ময়দা, স্যালাইন ঢুকিয়ে তৈরি হয় ‘হরমোন বর্ধক’সহ বিভিন্ন ধরনের ওষুধ। কম দামী ওষুধের মোড়ক পরিবর্তন করে ‘বেশি দামী’ করার কাজটিও এখানে হয়ে থাকে। র‌্যাব সূত্র জানিয়েছে, রাজধানী ও এর আশপাশে রাসেলের কারখানার মতো শতাধিক কারখানায় তৈরি হচ্ছে ভিটামিন, মাল্টিভিটামিন, ক্যালসিয়াম, ফ্রুট ভিটামিন, এ টু জেড ভিটামিন। বড়ি, সিরাপ, ক্যাপসুল, নরম ক্যাপসুল (সফট ক্যাপসুল) আকারে এসব বাজারজাত করা হচ্ছে। চটকদার মোড়কে বিএসটিআই কর্তৃক অনুমোদিত, জাতীয় বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের ফর্মুলা অনুযায়ী তৈরি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান বিভাগে বা পরমাণু শক্তি কমিশনে পরীক্ষিতÑ এসব কথা লেখা আছে। তবে এসব প্রতিষ্ঠানের অনুমতি নেই বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। র‌্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ এম আনোয়ার পাশা বলেন, উৎপাদনকারী ও বিক্রেতারা ‘খাদ্যসম্পূরক’-জাতীয় পণ্যগুলোকে ওষুধ হিসেবে দাবি করেন না। তাই এগুলো ওষুধ আইন ১৯৪০ ও ওষুধ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৯২-এর আওতায় পড়ছে না। তা ছাড়া বাংলাদেশের পণ্য মাননিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠান বিএসটিআই’র বাধ্যতামূলক পণ্যের তালিকায় না থাকায় এগুলোর ক্ষেত্রে বিএসটিআই’রও কোন কর্তৃত্বও নেই। ব্যবসায়ীরা জানান, মিশ্রণ যন্ত্র, সিদ্ধ করার যন্ত্র, মোড়কজাত করার যন্ত্র, ক্যাপসুল জোড়ার যন্ত্র দেশেই তৈরি হচ্ছে। দেড় থেকে দুই লাখ টাকায় এসব যন্ত্র কিনে অনেকেই খাদ্যসম্পূরকের কারখানা খুলে বসেছেন। কেরানীগঞ্জের আরেকটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত দেখে, একটি পাত্রে লাল রঙের ঘন আঠালো তরল সিদ্ধ করা হচ্ছে। চিনির দ্রবণ আর কাপড়ের রং দিয়ে ওই মিশ্রণ তৈরি হয়েছে। ওই তরল বাজারজাত হচ্ছে ‘ভিটামিন সিরাপ’ হিসেবে। এর আগে আমিনবাজারের হিজলা পশ্চিম পাড়ায় রং, চক পাউডার আর চিনির তরল মিশিয়ে তৈরি করা শক্তিবর্ধক ‘ভাইটন প্লাস’ সিরাপের কারখানায় অভিযান চালায় র‌্যাব। ট্যাবলেটের ঘোষণা বাজার ॥ মিটফোর্ডে ট্যাবলেট বা বড়ির খোলা বাজার আছে। ৩০ থেকে ৫০ পয়সা দামে এসব বড়ি বিক্রি হয়। বোতল কিনতে পাওয়া যায় পাশের আরমানীটোলা ও বাবুবাজারে। হাজার হিসেবে বড়ি কিনে তা বোতলে ভরা হয়। তারপর প্রতিষ্ঠিত ওষুধ কোম্পানির ছাপ তাতে লাগান হয়। নিজেদের তৈরি করা মোড়কে বোতল ঢুকিয়ে বাজারে ছাড়া হয়। কখনও নামের বানানে একটু এদিক-ওদিক করে তৈরি হয়ে যায় নতুন নাম। বড়িগুলো কি উপাদানে তৈরি তা জানেন না বাজারজাতকারীরাও। চীনা ওষুধ যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি ॥ গত বছর র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত পল্লবীর একটি বাড়িতে গিয়ে ভিটামিন বড়ি মোড়কজাত করার সময় এফএম মেডিরয়েল ওভারসিজের মালিক মনিরুল আলমকে আটক করেন। মনিরুল রয়্যালবোন, রোবন, রোমেগা, কেফরিল, রয়্যাল প্লাস নামের মোড়কের ছোট কৌটায় (৩০টির) সবুজ ও সোনালি রঙের নরম ক্যাপসুল বাজারজাত করতেন। মোড়কের গায়ে লেখা : মেড ইন ইউএসএ, ম্যানুফ্যাকচার্ড বাই বস্কোজেন ইনক, ক্যালিফোর্নিয়া, ইউএসএ, মার্কেটেড বাই মেডিরয়্যাল ওভারসিজ, ঢাকা, বাংলাদেশ। তবে ওই বড়ি চীন থেকে আমদানি করা হয়েছিল। আমদানিসংক্রান্ত কাগজপত্রে দেখা যায়, চীনের সিরিও ফার্মা থেকে পাঁচ লাখ বড়ি আমদানি করা হয় দুই হাজার ৯৫০ মার্কিন ডলারে। খুচরা হিসেবে একটি বোতলে ভরা ৩০টি বড়ির মূল্য দাঁড়ায় ১৫ টাকার মতো। সব বোতলে ভরা একই ট্যাবলেট, ৩০টি করে। অথচ দাম আলাদা। রোবনের বোতলের দাম ৩৭৩ টাকা। আবার রয়্যাল প্লাসের দাম ৬৪০ টাকা। দেখার নেই কেউ ॥ ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের পরিচালক সেলিম বারামি বলেন, খাদ্যসম্পূরক ওষুধের মধ্যে পড়ে না। তাই অধিদফতর এগুলো নিয়ন্ত্রণ বা দেখভাল করে না। তিনি বলেন, ওষুধ আইন ১৯৪০ ও ওষুধ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৯২-এর কোথাও খাদ্যসম্পূরকের উল্লেখ নেই। এদিকে, ভেজালবিরোধী অভিযানের মধ্যেই রাজধানীসহ সারাদেশের ফার্মেসিতে অবৈধভাবে অবাধে বিক্রি হচ্ছে ফুড সাপ্লিমেন্টের (খাদ্য সম্পূরক) ব্যানারে স্টেরয়েড সমৃদ্ধ ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, মিনারেল ও জিং সমৃদ্ধ ওষুধ। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের আরোপিত বিধিনিষেধও মানছেন না অসাধু ব্যবসায়ীরা। এসব ফুড সাপ্লিমেন্ট ও ওষুধ উৎপাদন-বাজারজাতের সঙ্গে জড়িত রয়েছে প্রায় এক শ’ কোম্পানি। বৈধ লাইসেন্সের আড়ালে এবং অবৈধভাবে ফুড সাপ্লিমেন্ট ও ওষুধ উৎপাদন ও বাজারজাত করে অসাধু চক্র হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। এতে প্রতারিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সূত্র জানিয়েছে, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর এক প্রজ্ঞাপণের মাধ্যমে ওষুধের ফার্মেসিতে ফুড সাপ্লিমেন্ট সামগ্রী বিক্রি, প্রদর্শন ও মজুদ নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু এ বিধিনিষেধের তোয়াক্কা করছে না মুনাফাখোর অসাধু চক্র। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশে প্রায় পাঁচ শ’ কোটি টাকার ফুড সাপ্লিমেন্টের বাজার রয়েছে। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ফায়দা লুটছে এ অসাধু ব্যবসায়ী চক্রটি। নামীদামীসহ নামকাওয়াস্তের অনেক ওষুধ কোম্পানি অবৈধভাবে ফুড সাপ্লিমেন্টের ব্যানারে স্টেরয়েড সমৃদ্ধ ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, মিনারেল ও জিঙ্ক সমৃদ্ধ ওষুধসহ বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সামগ্রী উৎপাদন ও বাজারজাত করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফুড সাপ্লিমেন্ট উৎপাদন ও বাজারজাত করতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ফুড সাপ্লিমেন্ট ডিভিশন এবং এ জাতীয় পণ্য বিক্রির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন থাকতে হবে এবং তা ফার্মেসিতে বিক্রি করা যাবে না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব ফুড সাপ্লিমেন্টের অধিকাংশ মোড়কে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) পরীক্ষিত বলে উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু অনুমোদনের কথা বলা নেই। ভোক্তাদের আস্থা অর্জনে এই কৌশলের আশ্রয় নেয়া হয় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসব ফুড সাপ্লিমেন্ট কিনতে সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থাপত্রে (প্রেসক্রিপশন) লিখে থাকেন চিকিৎসকরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কেমিকো ফার্মাসিউটিক্যালস, গার্ডিয়ান হেলথ কেয়ার, সিলগালা করে দেয়া ইউনিভার্সেল ফার্মাসিউটিক্যালসসহ বিভিন্ন কোম্পানি চীন, কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, পাকিস্তানসহ দেশী-বিদেশী বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নামে ফুড সাপ্লিমেন্ট উৎপাদন ও বাজারজাত করছে। দেশের প্রায় ওষুধের দোকানে তা বিক্রিও হচ্ছে অবাধে। কেমিকো ফার্মাসিউটিক্যালস বায়োজিন, প্রতীক জুনিয়র ও প্রতীক সিনিয়র নামে ৩টি ওষুধ ফুড সাপ্লিমেন্ট নামে উৎপাদন ও বাজারজাত করছে। এ ধরনের ফুড সাপ্লিমেন্ট উৎপাদন করতে হলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির পৃথক প্ল্যান থাকার নিয়ম থাকলেও এ কোম্পানির তা নেই। গার্ডিয়ান হেলথ কেয়ার ডাবের পানি ও টেস্টিসেল-এন নামে দুটি ফুড সাপ্লিমেন্ট উৎপাদন ও বাজারজাত করছে। বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ জনকণ্ঠকে জানান, এদেশের ফার্মেসিতে অপ্রয়োজনীয় অনেক উপকরণ পাওয়া যায়। দেখার কেউ নেই। ডাক্তারী পরামর্শ নিয়ে কিছু সংখ্যক ফুড সাপ্লিমেন্ট কোন কোন রোগীর চিকিৎসার অংশ হিসেবে দরকার হয়ে থাকে। তবে সেগুলো ফার্মেসিতে রাখার বিষয়ে চিকিৎসকদের করার কিছুই নেই। আর সেগুলো ফার্মেসিতে রাখার সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নেবেন।
×