ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সুপ্রীমকোর্টে প্রথম আলো সম্পাদকের নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ৬ জানুয়ারি ২০১৫

সুপ্রীমকোর্টে প্রথম আলো সম্পাদকের নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সুপ্রীমকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে পার পেলেন প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান ও যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান। সোমবার প্রধান বিচারপতি মোঃ মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে আপীল বিভাগের আট বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে নিঃশর্ত ক্ষমার আবেদন করেন তারা। পরে আদালত তাদের নিঃশর্ত ক্ষমার আবেদনটি গ্রহণ করে বিষয়টি নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আদালতে তাদের পক্ষে শুনানি করেন ড. কামাল হোসেন ও ব্যারিস্টার এম আমীর উল ইসলাম। শুনানিতে আদালত বলেন, আদালত সম্পর্কে যিনিই লিখুন, তাকে দায়িত্বশীল হয়ে আদালতের ভাষা বুঝে লিখতে হবে। বিচার বিভাগকে কোন অবস্থাতেই হেয় করা যাবে না। শুনানিতে ড. কামালকে উদ্দেশ্যে করে প্রধান বিচাপতি বলেন, আপনার অভিজ্ঞতা থেকে দেখবেন, আগে যারা আদালত রির্পোটিং করতেন, তারা বেশিরভাগই আইনজীবী ছিলেন। আদালতের ভাষা বুঝতে হবে। এরপর লিখতে হবে। প্রধান বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে এক নিবন্ধের কারণে আদালত অবমাননার রুল জারি করে গত ১৫ ডিসেম্বর মতিউর রহমান ও মিজানুর রহমান খানকে তলব করেন সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগ। প্রথম আলোতে ‘প্রধান বিচারপতি বেছে নেওয়া’ শিরোনামে মিজানুর রহমান খানের লেখা ওই নিবন্ধে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ১৬ জানুয়ারি ২০১৫ অবসরে যাওয়ার কারণে আরেকজন নতুন প্রধান বিচারপতি নিয়োগের বিষয়টি সামনে এসেছে। এই পদে নিয়োগে কী প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে, তা নিয়ে তেমন আলোচনা কখনও হয়নি। ওই নিবন্ধের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতেই সোমবার তাদের আপীল বিভাগে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। তাদের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগে ব্যবস্থা নেয়া হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছিল রুলে। আদালতের গুরুতর অবমাননার দায়ে এর আগেও মিজানুর রহমান খানকে সাজা দিয়েছিল আদালত, সতর্ক করে দেয়া হয়েছে প্রথম আলোকেও। এদিকে, শুনানিতে ড. কামাল হোসেন তার বক্তব্যের শেষ সময়ে ওই বেঞ্চের বিচারপতি এএইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের উদ্দেশে একটি কুবাক্য ব্যবহার করেছেন বলে গুঞ্জন শোনা গেছে। গণমাধ্যমকর্মীরা এজলাসের একটু পেছনের দিকে থাকায় বিষয়টি শুনতে পায়নি। তবে গুঞ্জন শোনা যায়, ড. কামাল হোসেন তার বক্তব্যের শেষে মাইক্রোফোন বন্ধ করে নিচু স্বরে ওই শব্দটি ব্যবহার করেন। এ সময় বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী তাকে উদ্দেশ করে বলেন, হোয়াট ডু ইউ সে? জবাবে ড. কামাল বলেন, আই ডোন্ট সে এ্যানি থিংস।
×