স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রায় ৩৬ ঘণ্টা পর সারাদেশে পরিবহন চলাচল অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। তবে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের সড়ক ও নৌ যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন ছিল। ট্রেন চলাচলও ছিল তুলনামূলক কম। ঢাকা থেকে আন্তঃজেলা রুটে কোন পরিবহন ছেড়ে যায়নি। আসেওনি। এছাড়াও ঢাকার বাইরে একজেলা থেকে অন্য জেলায় যোগাযোগের ক্ষেত্রে একই চিত্র ছিল। কোন পূর্বঘোষণা ছাড়াই পরিবহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঢাকাসহ সারাদেশে জনদুর্ভোগ চরমে ওঠে। রাজধানীতে অফিসগামী যাত্রীরা অনেকটাই বিপাকে পড়েন। আতঙ্কে দিনভর গোটা রাজধানী ছিল অনেকটাই গণপরিবহনশূন্য ও যানজটমুক্ত। ফাঁকা ছিল রাস্তাঘাট।
পরিবহন চলাচল বন্ধ থাকায় প্রচ- ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ। পরিবহন মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ ও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিরাপত্তার স্বার্থে ও নাশকতার আশঙ্কায় গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। তাছাড়া জীবনের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে চালকরা গাড়ি চালাতে সম্মত হননি। এদিকে সোমবার সন্ধ্যা থেকে আবারও পরিবহন চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ জনকণ্ঠকে জানান, গত বছরের পাঁচ জানুয়ারির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক সহিংসতায় ৫৬ জন চালক নিহত হয়েছেন। গাড়ি চালানোর অপরাধে বিএনপি-জামায়াত কর্মীরা বাস চালকদের গামছা দিয়ে গাড়িতে বেঁধে নির্যাতন করেছে। ৫ হাজার বাস পুরোপুরি জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছিল। এছাড়াও পাঁচ হাজার বাস ভাংচুর করা হয়েছে। এমন আতঙ্ক থেকেই এবারের পাঁচ জানুয়ারিকে সামনে রেখে মালিকপক্ষ সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। নাশকতার আশঙ্কায় গাড়ি চালানো বন্ধ রাখা হয়েছিল। তিনি জানান, সোমবার বিকেলের পর থেকে আবার সারাদেশের সঙ্গে বাস যোগাযোগ স্বাভাবিক হতে শুরু করে। রাতে ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলা থেকে কোচ আসতে শুরু করবে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: